লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
1.
আইন বিধান যত মানবের তরে
প্রেমিক হৃদয় তার পরোয়া না করে,
দাসত্ব কায়েম করে গোলাম যে জন
একত্ব কায়েম করে প্রেমিকের প্রাণ।
2.
এ নয় প্রতিমা, প্রতিক উপাসনা
বিসর্জনে যে হারায়,
জীবন্ত মুরতী যার, জাগ্রত অনিবার
অবিনাশী সে নিত্যময়।
সে প্রতিমা হৃদে সদা বিরাজিত
কভূ নাই তার বিসর্জন,
চিন্ময় রূপে রহিবে প্রাণে
দেবী দশভূজার অধিষ্ঠান।
3.
আপন হৃদপদ্মে সে বিহার করে
আপনার আপনার সে সদা ঘুরে ফিরে
ধরিতে তারে, অনঙ্গ বাসরে –
নিরবধী রূপ নিহারে থাকিও অটল
দেহমন নফি করে, ধরিও চরণ যুগল।
আমিত্ব ত্যাজ্য করে, সাবেত করো প্রাণ বন্ধুরে
তবেই জাগবে দীল দরিয়ায়, রূপের শতদল।
4.
হে সাকী মোরে পিলাও শারাব
এসেছি আজ তব নিকুঞ্জ-বনে,
ত্রিভঙ্গ রূপে তব এ দীল শাদাব
বিমোহিত হলাম ঐ নয়ন বানে।
এসেছিলাম তব হাতে পেয়ালা চাহি
দীলের নেয়াজী হলো তব রূপ হেরী,
বুঝিলাম এ প্রাণের আজিজেমান তুঁহি
এশকে ইয়াজদানি, মাশুকে আসরারী।
5.
তব মন রেখা প্বার্থ, যতন করে
পূজার ডালি ভরে করতে নিবেদন,
স্থির হয়ে বসো তব প্রাণের সভায়
প্রভূর মধূর ডাক,করতে শ্রবন।
করো নির্মাণ আপনারে
তাহার যোগ্য করে-
সাজাও মনের মতো আপন মন প্রাণ
তবেই জাগিবে মনে, রাঙা শ্রী চরণ।
6.
আহাদিয়াত জাতি নূরে
প্রেম প্রকাশে ‘তিনি’র তরে
এইনা আদম অজুদ ধরে
জাহেরাতে হয় প্রকাশ।
এই মানবেই আদি অন্ত
প্রভূর পরম সুখের বাস।
7.
আসা যাওয়ার খবর জানো মন আমার
অরুপ হতে স্বরুপেতে নাযিল হলে কি প্রকার।
নিঃশব্দে ঐ নিরাকারে, ছিলে যখন লা আকারে
ইল্লাল্লাহ এর জোশে ভেসে, আসিলে এই ভবের পর।
8.
তোমার হৃদয়ের আলো দিয়ে গড়ে নাও তব পথ
সে পথে তুমি সারথী হয়ে চালাও তোমার স্বর্ণরথ।
হৃদয়গগনে জ্বেলে আশার প্রদীপ, নিরবধী বয়ে যাও আপন মনে,
সত্য, সুন্দর-সেতো তোমাতেই রহে, সব পাইবে খুঁজে তব আত্মবনে।
9.
আমি দাড়িয়ে সদা বোধির দ্বারপ্রান্তে
অনুভবে আঁকি শুধু তোমারেই,
আমার মানসলোকে সব চাওয়া পাওয়ার মাঝে
তোমারেই, বার বার, পাই-হারাই!
10.
চেতনায় নিয়ত যারা করে বাস
মহাচৈতন্যের দীপ্তধামে,
প্রভুর চরণকমলে যার নিত্য বসবাস
যে রহে মগ্ন সদায় প্রভূর প্রেমে!
ধরার মাঝে ধন্য সে জন, অমৃতের সন্তান,
তার তরে, নিরবধি, বহমান- জগতের কল্যাণ।
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী