লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
1.
আমিতো খুঁজি তারে আমার হৃদয়ও অন্দরে।
যে সদা আসে মোর হৃদয় আকাশে,
নিয়ত যে মোরে বাধে প্রেমোফাঁসে,
প্রেমোসিন্ধু তীরে –
তারে আমি নিতি খুঁজে ফিরি,
আমার ধ্যানের স্বরণ পাড়ে।
2.
সহসা যেদিন সাকী গো আমায়
করাইলে পান দ্রাক্ষা শারাব,
সেদিন হতে আমি প্রেয়সীর তরে
বিমোহিত সদা মোর দীল শাদাব।
3.
ম্যায় দিওয়ানা তেরী আশেকী নিহার,
মেরী উলফাৎ আখোসে তেরী খাহেশ মাশকুর।
মেরী সাকিয়ে আজম তু হে রওশন জামির,
ইশক ইয়াজ-দানী মুর্শিদ শাফিয়ে মাহশার।
4.
প্রভু তব শক্তিরূপী নিক্তি ধরে
আমি প্রকাশ চরাচরে,
আমার এ অজুদ অন্দরে
দিনরজনী তোমার বাস-
তুমি আমি, আমি তুমি
অহর্নিশি হই প্রকাশ!
5.
মাতাল করে দে আমারে
রূপের শারাব দিয়া,
ঐ ডাগর আঁখির নেশার বাণে
বিধুক আমার হিয়া।
6.
কি আর কহিব আমি
তালে তালে মৃদঙ্গ কহিছে ফুকারি
তাঁরে চাহি দিবাযামি।
7.
আমি হেরী তারে সদা মোর জীবনে স্বপনে
আঁখির ও কাননে রয়, ও রূপখানি,
কি করে পাশরী, এত প্রেম প্রীতি ধারী
তাই জীবন সঁপিলাম তার চরণে আনি!
8.
প্রেমানন্দ! সেতো নিত্য কলঙ্ক সনে রয়,
না পুড়িলে ধূপ, তবে কি সখি, গন্ধসুধা পাওয়া যায়!?
9.
আমি কি আর ডাকি তারে
সেই তো প্রেমময়, আপন মহত্ত্বে
দিবানিশি ডাকে যে আমারে!
সে আমারে ডাকে বলেই আমি শ্রেষ্ঠ ভবে,
আমার কর্ম শুধু কর্ণ দিয়ে তার ডাক শোনা নিরবে!
সে ডাকে বারে বারে,
সেই মনোহারিণী মধূর ডাকে-
আজ ভুলো আপনারে!
10.
কন্টক পুষ্প দিয়ে সাজাবো তোমায়
বিরহ নদীর কূলে, আধো জোছনায়!
মুক্তির কারা দ্বারে, বাধিবো শক্ত করে
রাইবো তেমনি জেগে ধুলির ধরায়!
সুদূর স্বপন দিয়ে ধরিবো তোমায়!
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী