অনুকাব্য – অঞ্জলী মোর না ফিরাইও

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

1.
মানবের এ দিব্য ঘরে
নিত্যময় সে প্রাণ অন্দরে,
স্বয়ংরূপে অহর্নিশি করতেছে সে বিরাজন –
আপনাতে খুঁজলে তাহার মিলিবে সন্ধান!

2.
সহস্র শতাব্দী প্রণয়ের পরিণামে দিলে এমন পুরষ্কার!
নির্বাসন! একাকীত্বে! নরকে! তোমা হতে বহুদূর!

3.
হৃদয় অঙ্গনে ওগো, অঞ্চিত সুন্দর
আনিওনা কভূ আর অণীক যন্ত্রণার!
ধূসর ধূত এ প্রাণ, নমিত তোমায়
কেনো তায়! দাও অত্যয়, অজস্র, অঝোর?

4.
অঞ্জলী মোর না ফিরাইও আর
না ভাঙ্গিও মোর, সাধ-অধিবাস-
অন্তিক অপাঙ্গে মোর রহিও অবিরল
অর্হ-প্রণয় সাথে, হৃদে অহর্নিশ!

5.
তোমায় চিনেছি গো সুরে,
হবো না আর তোমায় হারা, যাওনা যতই দূরে!

6.
আমি তো ঢেউ নই,
আমি সমুদ্র সীমাহীন –
ক্ষত বিক্ষত শরীর, কেনো,
কূলে কূলে আছড়ে পড়বে শুধূ?
একটু ঘুমেরও প্রয়োজন!

7.
তোমাদের তরে বিলাইবো নিতি
হাসিমুখ, উজ্জল, উচ্ছল,
থাকুক না হয়, একান্তই আমার
হৃদয়ের নোনাজল!

8.
পাষাণ হিয়ায় মোর,
উঠে ব্যাথা মরুঝড়
দুলে দুলে উঠে প্রাণ, কাঁদিয়া কাঁদিয়া-
মনের মুকুলে ভারি
অভিমানী আঁখিবারি
ঝড়িতেছে নিরবধী, ওগো তোমারে স্মরিয়া…

9.
তোমার অসীম শূণ্যতায়
তিয়াসা আমার ওগো,
বারবার হারায়ে যায়,
একি বিষম অভিমানে
লুকায়ে মুখখানি
কাঁদি নিরবধি, যাতনায়!

10.
সে তো বার বার – অসুখ হয়ে আসে
বুকের বাঁ পাশে! তবু আসুক –
সে তো বার বার – যাতনা দিতেই
ভালো যে বাসে! তবু বাসুক!
সে ফুটায়ে তুলুক বেদনার বেনোজলে
বিরহ যাপনের নিশা –
আমি বাণবেঁধা ওগো, শুক-সারী সম
হৃদ-রুধিরে মিটাই তিয়াসা!

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

আপন খবর