অনুকাব্য – বোধির দ্বারে দাড়াও প্রভু

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

1.
ভবে লীলাময় সে স্বরূপ রসে
নিত্যদেশে করে বিহার,
গুরুর শ্রীচরণে শরণ নিয়ে
তারে ভক্তি দিয়ে বাধো এবার।

2.
বোধির দ্বারে দাড়াও প্রভু
বন্ধন আনো বাসনায়,
তুমি বিনা অন্য যেনো
হৃদয়ে না হয় উদয়।

3.
সুদূরে, কেনো রবে দাড়ায়ে
নিজেরে হারায়ে হায়,
কেনো আঁখিজল, ঝড়ে অবিরল
শুণ্যতায়, বেদনায়।
সে নহে সুদূর, রহে অনিবার, তোমারি চারধারে
খোলো আঁখি, দেখো সখি, সে তোমাতেই নিতি বাস করে।

4.
আমি খুব করে চাই তারে
আমার সকল মাঝে, দিবস সাঝে
অন্তরে বাহিরে।
যেনো সদায় জ্বলে রূপের পিদীম
আমার আঁখিনীড়ে
খুব করে চাই তারে।

5.
শুনেছি যবে মোর প্রাণের ক্রন্দন
হৃদয়ের তীব্র হাহাকার,
অদৃশ্য এক অন্তরীক্ষে
হুতাশন জ্বালা মোর অন্তরাত্মার।
সেদিন হতে এক মায়া বিরহীনি
জাগ্রত হৃদে অনন্ত মহাকাল,
রক্তে শিরায় ধমনীর পিপাসা
নিষ্ঠুর নয়ন পানে হাসিছে অবিরল।

6.
তব শ্রীকর বাড়াইও মোর পরাণও পানে
আমি লইবো আশ্রয় প্রিয় চরণে তোমার,
না রহিবোা আর এই বিরহ কাননে
কৃষ্ণহীনা এই নিঠুর বৃন্দাবনে।

7.
প্রিয় মোর প্রাণের অন্দরে
এসো দয়াল রূপ ধরে।
স্বরূপ ঘরে, স্বয়ংকারে, নিত্য বিহারে
এসো রূপের পসারে।
প্রিয়, অনুরাগের আঁখরে।

8.
কোথা যাবে আর, কোথা রয় তব
চির আকাঙ্খিত প্রিয় ধন,
আপনার পানে আজ, ফিরে চাও সখা
দেখো তোমাতেই রহে তার সন্ধান।

9.
মোর রাজাধিরাজ, হৃদাসনে
সদায় করে বিরাজন
আমি সকল ছাড়ি রইবো পড়ি
অঙ্গে ধরি শ্রীচরণ।

10.
চাই মোর অনঙ্গ মঞ্জরে, দ্বাদশদল মাঝারে
দিবানিশি অবিরাম তোমার দিদার,
চাই আঠারো দন্ড নিশা, হৃদয়ে সহসা
জাগিয়া উঠুক ত্যাজি, সকল আধার।

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

আপন খবর