পর্ব ২১ এবং পর্ব ২২ একত্রে
ভাবানুবাদ – লাবিব মাহফুজ
পর্ব ২১
প্রেমিক তাঁর অন্তরের প্রেম মাহাত্ম্যের দ্বারা নির্মাণ করে নেয় তাঁর আপন জগতকে। তাঁর হৃদয়স্থিত প্রেম-প্রদীপের আলোয় আলোকিত থাকে তাঁর চারপাশ। যে যথার্থ প্রেমিক, তাঁর জগতটাই হয় প্রেমময়!
একজন প্রভু প্রেমের দেওয়ানা যদি কখনো সরাইখানায় যায়, সরাইখানাটিই তখন পরিণত হয় প্রার্থনাকক্ষে। আর যদি কোনো মদ্যপ উপস্থিত হয় প্রার্থনাকক্ষে, সেটিই হয়ে উঠবে সরাইখানা।
আমাদের হৃদয় প্রতিনিয়ত পরিচালিত করে আমাদের। যা স্থিত আছে হৃদয়ে, বাহিরেও তাই মূর্তমান হয়ে উঠবে প্রতিনিয়ত। ভালো-মন্দের পার্থক্য সৃষ্টি করে আমাদের অন্তর, আমাদের অন্তরে থাকা ভালো-মন্দের অনুপাতে।
এজন্য জ্ঞানী ব্যক্তি কখনো অপর ব্যক্তিকে তার চেহারা বা কোনো বাহ্যিক অনুষঙ্গ দিয়ে মূল্যয়ন করেন না। কারণ, জ্ঞানী যখন দেখে, দুচোখ বন্ধ করে দেখে। তখন মুলত খোলা থাকে অন্য একটি চোখ, যে চোখ বাহির নয়, ভেতর দেখে।
জ্ঞানী অন্যকে বিচার করে ভেতর দেখে। বাহির দেখে নয় ॥
পর্ব ২২
এবার তো সময় হলো জাগরণের! ওঠো মোহগ্রস্ত মন! জেনে নাও, এ জগত একটি ক্ষণস্থায়ী ঋণ ব্যতিত নয়! পৃথিবী তো বাস্তবতার একটি স্কেচ অনুকরণ! অস্থায়ী ছায়া মাত্র!
শিশু যেমন করে খেলনা দ্রব্য কে আসল জিনিস ভেবে ভুল করে তেমনি তুমিও কি করে অস্থায়ী এ জগত কে অবিনশ্বর এবং ঐশ্বরিক ভেবে ভুল করলে? কি করে মানব সমাজ লিপ্ত হচ্ছে এ নশ্বর ছায়াধামে! মত্ত হচ্ছে জাগতিক খেলনায়! কখনো হয়ে পড়ছে মোহগ্রস্ত, কখনো বা চরম বিরক্ত! কখনো খেলনা দ্রব্য সমূহকে আগলে রাখছে পরম মমতায়, কখনো অসম্মানের সাথে ভেঙে ফেলছে সেসব!
জিবন একটি আধ্যাত্মিক দ্রব্য। জিবনে সব রকমের চরমপন্থা পরিহার করো। চরমপন্থা সব সময়ই জিবনের ভারসাম্য নষ্ট করবে। জিবনকে যাপন করো মৃদু আনন্দে ও সহনশীলতায়। আপন জ্ঞান ও সংযম সাধনার মধ্য দিয়ে।
একজন জ্ঞানী কখনো চরমপন্থী হয় না। বরং সে হয় যথার্থ, সকল পরিস্থিতির জন্য।
একজন জ্ঞানী তার জিবনকে যাপন করে মধ্যপন্থায় ॥