প্রবন্ধ – হুসাইন (আ)

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

হুসাইন (আ.) এক শাশ্বত সত্ত্বা। হুসাইন (আ.) চিরঞ্জীব জগতে অধিষ্ঠিত এক জ্যোতির্ময় সত্ত্বা। মানবাত্মা তথা ইনছানি আত্মার অধিকারী মানুষটির মাঝেই এই পরিশুদ্ধ সত্ত্বা মূর্তমান হয়। তখনই মানুষটি পরিণত হয় ইনছানুল কামেলে বা পূর্ণতম অস্তিত্বে এবং হয়ে উঠে বাক্সময় কোরান। হুসাইনী গুণে গুণান্বিত মানুষটিই জীবন্ত কোরান এবং চির জিবনের অধিকারী তথা মুক্তিপ্রাপ্ত বা ধর্মে স্থিত।

হুসাইনি গুণে গুণান্বিত হতে হলে মুক্তি লাভ করতে হয় আঠারো হাজার মাখলুকাতের কারাগার হতে। নফসানি আমিত্বের বিরুদ্ধে জিহাদ ব্যতিত মুক্ত হওয়ার কোনো উপায় নেই। আত্মা হারানো উলঙ্গ মুর্দা মানুষগুলোর তিন জমাতের বন্দীদশা থেকে চির শান্তি, চির মুক্তির তথা লা মউতের অমর ধামে গমন করার জন্য আত্মত্যাগ তথা কারবালা ব্যতিত অন্য কোনো উপায় নেই।

খন্ডিত আমিত্ব বা অজ্ঞান আমিত্বের সাথে যুদ্ধ তথা কারবালার পরেই প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলাম তথা প্রভুবৃত্তি। আপন অস্তিত্বে প্রভু-স্বভাবের এ জাগরণ প্রচেষ্টা তথা জিহাদ-কারবালা সংঘটিত হবে ধর্ম পথের পথিকদের প্রতিটি পদক্ষেপে। আউলিয়াকূল শিরোমনি ইমাম জাফর সাদিক (র.) তাই বলেছেন, ‘প্রতিটি দিনই আশুরা, প্রতিটি ভূমিই কারবালা’।

নফসানি আত্মা এবং ইনছানি আত্মা তথা অজ্ঞান আমিত্ব এবং জ্ঞান আািমত্বের এ জিহাদ-প্রচেষ্টার মাধ্যমেই হাছিল হবে আত্ম-চৈতন্য লাভ। কায়েম হবে ইনছানিয়াত।

আত্মজ্ঞান লাভ তথা রিপুগ্রস্ত বন্দী মানুষদের চিরমুক্তি লাভ-ই হোক আশুরা থেকে শিক্ষা।

নফস এজিদের বশ্যতা না মেনে
হোসাইন সম হায়,
নিজেরে বিলাও গুরুর চরণে
মরণ কারবালায়!

রচনাকাল – 01/01/2020
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

আপন খবর