লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
আমিও চাই, সেদিনটি আসুক, যেদিন মসজিদে মসজিদে সামা-কাওয়ালী, কবিতা পাঠের আসর বসবে। সাহিত্য চর্চা হবে, রবীন্দ্রনাথের প্রেম ও পূজার গানের জলসা হবে, নজরুলের শ্যামা-সঙ্গীত শোনা যাবে সেসব জলসায়। খুব করে চাই, প্রতিটি মসজিদে থাকবে একটি করে সমৃদ্ধ লাইব্রেরী। কিটস, শেলী, শেক্সপীয়র, গ্যেটে, মিলটন, হুইটম্যান, গোর্কি, জিবরান, মার্কেজদের সংগ্রহশালা।
একদিকে হবে আযান, অন্য কোনায় মানুষ পড়বে ডারউইন, হকিংস বা দর্শন-বিশ্বতত্ত্ব। নিউটন, আইনস্টাইন, কোপার্নিকাস, গ্যালিলিওদের জিবন ও কর্ম পাঠ আবশ্যক করা হবে মসজিদে আগত সকলের জন্য। ফারাবী, আরাবী, খৈয়াম, কিন্দির সাথে সাথে কান্ট, হেগেল, লক, রাসেলের তত্ব আলোচনা হবে সেখানে। সকল ধর্মজ্ঞানীরা নির্দিধ্বায় আসবে মসজিদে, হবে প্রাণখোলা স্ব-ধর্ম উদযাপন।
খুব চাই, প্রতিটি মসজিদের দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাবে সক্রেটিস, প্লেটো, এরিস্টটল থেকে শুরু করে নজরুল, রুমী, লালনদের ছবি। এক পাল বদ্ধজীবের পরিবর্তে জ্ঞানী মানুষেরা আবাদ করবে মসজিদ গুলো।
আমিও চাই, মসজিদ গুলো প্রকৃতপক্ষেই ধর্মের কেন্দ্রবিন্দু হবে। আদর্শ ও প্রগতির সূতিকাগার হবে। মসজিদ থেকে হুতুম-প্যাঁচারা বিদেয় নিবে। মসজিদ জ্ঞানীদের হবে।
খুব চাই, আমিও বিমুগ্ধ সহস্র রজনী কাটিয়ে দিবো মসজিদে মসজিদে।
রচনাকাল – 19/02/2020
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী