লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
ভেতরে বাহিরে আভরণহীন সারমাদ কে শিরোচ্ছেদের দন্ড দেয়া হলো কারণ তিনি পড়তেন লা ইলাহা! ইল্লাল্লাহ নাকি তাঁর আধ্যাত্মচেতনাবোধের উর্ধ্বে! পড়তেন না। যদিও তার দেহের প্রতিটি শোণিত বিন্দুতে প্রতিনিয়ত অনুরণিত হচ্ছিল ইল্লাল্লাহ। তাঁর প্রতিটি শ্বাস প্রশ্বাস সাক্ষী দিচ্ছিল নিজ অস্তিত্বে প্রতিস্থাপিত প্রভূ অস্তিত্বের স্বপক্ষে। তবু দন্ডিত হয়েছিলেন তিনি। প্রতিটি ফোঁটা রক্ত ঝড়ে ঝড়ে পড়েছিল দিল্লি জামে মসজিদের সিড়ি বেয়ে বেয়ে! সুমহান এক জীবন দেশনা প্রজ্জ্বলিত করে মহাকালে পাড়ি দিলেন সারমাদ।
চব্বিশে(!) দাড়িয়ে বোধের এক সীমাহীন দারিদ্রতায় জর্জরিত অস্তিত্বকে যখন নিরীক্ষণ করি, ভাষা হারিয়ে ফেলি! আজো হয়নি শুধু লা”! লা টুকুই পড়তে পারিনি! অথচ জীবন নিয়ে কত অজ্ঞতার উল্লাস! আর কত জীবনকে অপচয় করবো আমি! কবে হবে আমার সারমাদের মতো আত্মত্যাগের (মহামৃত্যুর) যোগ্যতা!
ওগো আমার দন্ডদাতা! নিষ্ঠুর হও আরেকটিবার! নৃশংস, ভয়ংকর মৃত্যুতে দন্ডিত করো আমায়! বারংবার মৃত্যুবাণ হানো আমার অস্তিত্বে! তোমার নির্মম পদদলনে আমার জন্মকে পরিণত করো মৃত্যুতে! আমিও সারমাদের মতো জল্লাদের গলা জড়িয়ে ধরে বলতে চাই “তোমায় চিনি আমি! তুমি যে রুপেই আসো না কেনো”।
প্রভূগো! জন্মকে মৃত্যু দিয়ে বরণ করে নেয়ার দুঃসাহস দাও আমায়!
প্রতিটি রক্তবিন্দুকে যেনো মহামরণের স্বার্থে বিলিয়ে দিতে পারি লা ইলাহার পথে পথে! শক্তি দাও আমায়!
জন্ম নয়, আমায় যেনো বাঁচিয়ে রাখে ঠিক সারমাদের মতো একটি মৃত্যু!
রচনাকাল – 22/04/2020
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী