বাণী – মরমী চৈতন্যদয়

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

1. আমি আমার অন্ধত্বকে জানি। আপনি আপনার মহত্ত্বকে জানেন না। অজ্ঞ মহতের চেয়ে বিজ্ঞ পাপী ভালো।

2. যখন তুমি হতে পারবে যথার্থ শান্ত-নিবিষ্ট শ্রোতা, তখনি কথা বলতে শুরু করবে তোমার হৃদয়।

3. আত্মায় মরমী চৈতন্যদয় তখনি হয় যখন জিবনের সকল ঘটবাবর্ত নিয়ন্ত্রিত হয় অনন্ত ঐক্যতার সাপেক্ষে, অসীম উপলব্ধির মর্মমূলে।

4. আরবের মুহাম্মদ স. রাসুল মুহাম্মদ স. কে ব্যাবহার করে নূর মুহাম্মদ স. এর অনন্ত ধারা প্রতিষ্ঠা করলেন। এ ত্রিধারায় জারি হলো শাশ্বত মুহাম্মদী ধর্ম বা দ্বীনে মোহাম্মদী।

5. অনন্ত অখন্ড উপলব্ধির প্রশান্তি থেকে ফিরে এসে অচৈতন্যকে চেতনাদানকারী শক্তিটিই মুর্শিদ। মুর্শিদপ্রাপ্তিতেই কায়েম হয় ধর্ম।

6. প্রতিটি জিবনেরই গহীন তলদেশে রয়েছে এক বিশ্বজনীন সারসত্যের অনন্ত ভান্ডার। সেখান থেকে চালিত জিবনটিই মহৎ জিবন।

7. সাধনালব্ধ জ্ঞান-বৃক্ষের ফলপুষ্ট জিবনটিই সত্যিকার জিবন। যা নিয়ত গুরুভারে নত এবং পরীক্ষাসাপেক্ষ।

8. ধর্মের মাহাত্ম্য ধর্মের প্রয়োজনীয়তাকে মিটিয়ে দেয়ার মধ্যে। যা কোনোকালেই ধার্মিকদের দ্বারা হয়ে ওঠেনি। যদিও ইসলাম তাত্ত্বিকভাবে নবুয়ত সমাপ্তির বিধান দিয়েছে, কিন্তু মূর্খ ধার্মিকদের দ্বারা সে মাহাত্ম্য উদ্ধার হচ্ছে না।

9. সকল ধর্মীয় কোলাহল থেকে নিজেকে নিবৃত্ত করতে পারা মানুষটিই প্রকৃত ধার্মিক।

10. বোকা দেখে মুহাম্মাদ ﷺ আরশে যায়! আর জ্ঞানী দেখে – আরশ মুহাম্মাদ ﷺ এর ভেতর নেমে আসে।

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

আপন খবর