লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে লিখছি। দীর্ঘদিন যাবত চলমান একটি বিতর্ক – কিছু দাম্ভিক বক্তা বারবার উসকে দিচ্ছেন। বিতর্কের সূত্রপাতও তাদের হাত ধরে। তাদের রচনায় ও বক্তৃতায়। চরম পর্যায়ের মিথ্যাকে উপজীব্য করে আত্মঅহমিকা-আক্রান্ত একজন লেখক রুহ-নফস বিষয়ক বিতর্কের সূত্রপাত করেন।
রুহ-নফস বিষয়ে একমাত্র সেই সব জানেন, বাকী সবাই ভূল – এজাতীয় নানান অসংলগ্ন ও স্বরচিত মিথ্যা কথা, যা দায়িত্বশীল লেখকের নিকট হতে মোটেও আশা করতে পারিনা। যা হোক, আধ্যাত্ম জগতে রুহ-নফসের মতন রহস্যপূর্ণ আলাপের বিষয়ে ওনারা বোঝার চেষ্টা না করে বরং দাম্ভিকতা ও অজ্ঞতার প্রদর্শনী করে যেতে থাকেন। ইদানিং লেখক মহোদয়ের কিছু ভক্তবৃন্দ বিষয়টাকে আরো ঘোলাটে করে ছেড়েছেন।
ভাইরে, রুহ নফস বিষয়ে বোঝাটাও তকদির, না বোঝাটাও তকদির! চিশতীয়া তরিকার কোনো দরবারের ঝাড়ুদারও এ বিষয়ে মোটামুটি জ্ঞান রাখে, সেখানে আপনারা এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এতোটা অজ্ঞ হয়ে দরবার চালান কেমনে?
রুহ নফস নিয়ে হুদাই লাফালাফি না করে, চিশতীয়া তরিকার কোনো দরবারের কোনো মুরিদ বা খাদেমের নিকট থেকে রুহ নফস বিষয়ে জেনে নিলেই হয়। কি সব ভাষা, আর প্রকাশভঙ্গি আপনাদের! অজ্ঞতার প্রদর্শনী মানুষ এভাবে করে?
মাওলা আলী (আ) হতে সিনা-ব-সীনা যে গুপ্ত জ্ঞানের ফল্গুধারা জারি আছে, সেটা না জেনে পীরগিরি করেন? আর আপনারা রুহের পঞ্চস্তর, নফসের পঞ্চস্তর তথা রুহজাগতিক বিষয়াদি কেমনে বুঝবেন? আপনাগো জ্ঞানের দরোজা তো মাওলা আলী (আ) নন!
ছি! এই তাহলে আসল রূপ! মুখস্ত দুইটা আয়াত দিয়াই রুহ-নফস বিষয়ে চাপাবাজি? মাওলা আলী (আ) এর দরোজা ব্যতিত অন্যদের আমরা কখনোই সূফী মনে করিনা। কথা পরিষ্কার।
রুহ নফস নিয়া আর কি কমু!! আমি হযরত খাজা কাজী বেনজীর হক চিশতী নিজামীর গোলামের গোলাম। আমার কাছে আসুন। বুঝায়ে দিবো। অযথা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে নিজেদের অজ্ঞতাকে ঢাকার চেষ্টা করবেন না। আমরা লজ্জা পাই।
লাবিব মাহফুজ চিশতী
সম্পাদক – আপন খবর
০৭|০৯|২০২৪