সংকলন – লাবিব মাহফুজ চিশতী
১. চোখের পর্দাই সেরা পর্দা।
২. খাদ্যপূর্ণ উদরে কখনোই জ্ঞান ও বুদ্ধির ঠাঁই হয় না।
৩. যে তওবার পরে মানুষ পুনরায় পাপ কাজে লিপ্ত হয়, সে তওবা মিথ্যা।
৪. পরহেজাগারীর ধনে যার অন্তর পূর্ণ, তিনিই বড় ধনবান।
৫. বিপদে ধৈর্যধারণ করা খুব বড় কথা নয়। বরং বিপন্ন অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকাই হল বাহাদুরি।
৬. ছয়টি কাজ মানুষের সর্বনাশের কারণ। সৎকাজ না করা, শয়তানের অনুগত হওয়া, মৃত্যুকে নিকটবর্তী না করা, আল্লাহকে বাদ দিয়ে মানুষকে খুশি করতে চাওয়া, প্রবৃত্তির তাড়নায় নবীজির নীতিকে বর্জন করা, জ্ঞানীদের দোষত্রুটিকে বড় করে দেখা।
৭. প্রেমের অমীয়ধারা পান করার শর্ত হলো, প্রেমিকের মন থেকে ভয়-ভীতি দূরে করে, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে তারপর প্রেমের পথে অগ্রসর হওয়া।
৮. বিরহীর কাছে ভয়ের আগুন হলো সমুদ্রের কাছে এক ফোটা পানির মতো।
৯. বন্ধু বিচ্ছেদের চেয়ে হৃদয় বিদারক এ জগতে আর কিছু নেই।
১০. তিনিই সাধক যিনি পরিস্থিতি অনুযায়ী কথা বলেন। তার ভেতরে যা নেই, তা তিনি বলেন না।
১১. তত্ত্বজ্ঞানী আল্লাহর ভয়ে সর্বদা ভীত। কারণ তিনি প্রতি মুহুর্তে আল্লাহর কাছে উপস্থিত থাকেন।
১২. অহঙ্কারী বা আত্মাভিমানী কখনো তত্ত্বজ্ঞানী হতে পারে না।
১৩. আরেফগণের অবস্থা সবসময় একরুপ থাকে না। তারা অদৃশ্য ইঙ্গিতে প্রতি মুহুর্তে পরিবর্তিত হয়।
১৪. মারেফত জানে বিধায় আরেফগণ সবচেয়ে জ্ঞানী। মারেফত তিন প্রকার। আল্লাহর তৌহিদ তত্ত্ব, যুক্তি তত্ত্ব, তৌহিদ সম্পর্কিত গুণাবলীর তত্ত্ব।
১৫. যিনি অর্ন্তদৃষ্টি দিয়ে আল্লাহকে দেখেন আল্লাহ তাঁর অন্তরে এমন মারেফাত তত্ত্ব প্রকাশ করেন, যা দুনিয়ায় আর কারো কাছেই প্রকাশিত হয় না।
১৬. মারেফতের আসল বস্তু হলো আল্লাহর গুপ্ত তত্ত্বের সন্ধান লাভ। যার ফলে নূরে এলাহীর সূক্ষ্মতত্ত্ব প্রকাশিত হয়।
১৭. যাহেদগণ আখেরাতের বাদশাহ আর আরেফগণ যাহেদগনের বাদশাহ।
১৮. অসুস্থ হৃদয়ের চারটি লক্ষণ। সে উপাসনায় স্বাদ পায় না, মনে প্রভুর ভয় থাকে না, জগৎ থেকে উপদেশ গ্রহণ করে না, জ্ঞানের কথা শুনে তার চর্চা করে না।
১৯. বিদ্যাচর্চা করাই বিদ্যার মূল উদ্দেশ্য। চর্চার সঙ্গে ইখলাছ ও প্রেমের সাথে সততা অটুট থাকা জরুরী।
২০. বিষয়ী লোকদের থেকে দূরে থাকা ও আল্লাহভীরুদের সাথে বন্ধুত্ব করা আল্লাহর সাথে প্রেম করারই শামিল।
২১. চিন্তা ভাবনা ও ধ্যানজ্ঞান উপাসনার চাবি। রিপুর কামনার বিরোধিতা করা হল দীদারে এলাহীর দর্পনস্বরূপ। যিনি মনে প্রাণে ধ্যানে লিপ্ত হন, তিনি আত্মিক জগতকে নিজের চোখে দেখতে পান।
২২. যিনি আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেছেন, তিনি সৃষ্টির কোনো পরোয়া করেন না।
২৩. যে ব্যক্তি কু প্রবৃত্তি দমন করে আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন হয়, আল্লাহ প্রকাশ্যে তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।
২৪. সৎ ও সত্য কথায় যার মনে দুঃখ লাগে, বুঝতে হবে তার মর্যাদা বোধ নেই।
২৫. যে লোকের মুখ ও মন একরূপ নয়, তার থেকে দূরে থাকতে হবে।
২৬. যে ব্যক্তি দীদারে এলাহীর পথ পায় নি, সেই সর্বাপেক্ষা অধম।
২৭. তারাই সুফি যারা যে কোনো বস্তু অপেক্ষা আল্লাহকে বেশি ভালোবাসেন।
সংকলন – লাবিব মাহফুজ চিশতী