অনুকাব্য – এ রজনীর সাগরতীরে

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

1.
প্রিয় মোর কাব্যতীর্থে
কবিতার রূপ ধরে,
সৌন্দর্য তব বিকশিত করো
কবিতায়, অন্তরে।

2.
এইতো; এমনই আমি
গান লিখে যাই দিবাযামী!
বসে আমার মন্দির কোনে,
আমার ছনের চালে
ঝি ঝি পোকা পঞ্চমী সুর তুলে
আমার গানে সুর সাধে সযতনে!

3.
এইতো, দিন বয়ে যায়
রাত্রি ফুরায়…
মহাকাল লিখে চলে তার কবিতাখানি
বর্তমানের গায়!
আমি কখনো শুয়ে, কখনো দাড়িয়ে
অথবা বসে, শুধু পড়ে যাই…
নিরবতায়, মুগ্ধতায়, সকল সীমানা ছাড়িয়ে
বারে বারে যেনো, কোথায় হারাই!

4.
প্রকৃতি আজ সাজিয়াছে গো
আমারি মতন সকরুণ সাজ,
ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরাইতেছে সে
জমানো সব দীর্ঘশ্বাস।

5.
নীলাভ শরৎ ধরার বুকে, আনে রঙিন সুর লহরী
মাদকতায় মত্ত হিয়ায়, প্রিয়ার পানে সুর ধরি-
সকল সুখের উর্ধ্বে এ যে, চেয়ে থাকা রূপ ধ্যানে,
হৃদ রেকাবীর থরে থরে, তারেই রাখা সযতনে।
স্বর্গ মর্ত্য ছাড়ি-
শুধু তোমার রূপের ইন্দ্রজালে, হৃদয়খানি লই ভরি।

6.
ধরনীর এই বিচিত্র রুপে রসে
হারাইলাম নিজেরে শুধু ভালোবেসে,
সকলেরে, বুকে ধরে, গেয়ে যাওয়া গান,
সুরে সুরে ভালোবাসি, গড়ি প্রেমের বাধন!

7.
দিকে দিকে আজ এতো আয়োজন
শুধু তোমার প্রণয় পরশ লাগি,
আকাশ বাতাস আজ সুরে আর গানে
শুধু যে তোমার তরে রয়েছে জাগি।

8.
মোর প্রাণের দ্রাক্ষা কুঞ্জ পরে
তব চরণ বীণা আজি বাজে ঝংকারে,
মোর হিয়ার বাসরে, আজি তব উদয়ন
আমি বিমোহিত, ভুলে আপনারে!

9.
কেনো এমন হয়?
বৃষ্টির প্রতি ফোটায় ফোটায়
কে যেনোগো ‘তারই’ গুণ গায়!
রিমিঝিমি সুর ছন্দে, আমার ছনের চালে,
কে যেনো গো, নৃত্ত করে যায়!!
অবিরাম কে যেনো, ‘তারই’ মহিমা গীত
আমারে শোনায়!

10.
এ রজনীর সাগরতীরে, চাতকের আঁখিনীড়ে
তবুও কি হবে না গো শ্রীরূপ বরিষণ?
তৃষিত পরাণও আমার, চাহিয়া রহে নিরন্তর
রূপের প্রভাতফেরীতে যেনো হয়, প্রাণের আচমন।

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

আপন খবর