লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
1.
জনমে জনমে আমি ভজিবো তোমায়
তব শ্রীচরণ এ হৃদে রাখিবো সদায়,
আমি চিরকাল তোমা তরে, রহিবো পাগল
রাখিও, তোমাতে, হে প্রেমোময়।
2.
তোমার হাতে দিলাম আমার প্রাণের শতদল
আমায় তুলে নিয়ে পঙ্ক হতে
রাখো তোমার মায়ার হাতে
তোমার ছোয়াঁয় পাপড়ী মেলে হই যেনো উছল।
তোমার হাতেই নিত্য আমার প্রাণের তাজমহল।
3.
অবশেষে –
নিদ্রা নামে সকলের চোখে।
ঢুলুঢুলু আঁখির পাতা নিভে আসে
এক অনন্ত স্বপ্নসুখ সাথে নিয়ে।
শুধু আমি-
দগ্ধ আঁখিতে অবর্ণনীয় যন্ত্রনা নিয়ে
কেঁদে কেঁদে পোহাই নির্ঘুম রাত।
তোমার রূপমাধুরীর বরিষণে সিক্ত হবার প্রতিক্ষায়
একটু শান্তি পেতে, তোমার রূপের সূধাধারায়।
4.
বিকশিত করো আপনারে
আপনার মাঝে যত রুপ রস আছে
সকলি দিয়া তুমি সাজাও এ ধরারে।
5.
প্রভু
তোমারে ফুটাইতে ফুটেছি আমি
তুমি নিজেরে দেখিবে বলে আমি দিবাযামী
দেখি আপনারে।
আমাতেই তুমি, সকলি তোমার
আমারই সংসারে।
6.
আমি জন্ম-জন্মের পিপাসিত গো
চিরকালের ভিখারী,
আমায় ফিরাইওনা তব করুণা হতে
দিও সদা কৃপাবারি।
7.
যেজন মজেছে সখি কালার পিরিতে
মহাভাবের ভাবুক সেজন, ভাবসাগরে রয় নিমজ্জন
প্রেমাগ্নি বান ঝরে সদা, তার নয়ন পাতে
প্রেমিক জনা মত্ত সদা, শ্যামের শ্রীরূপেতে।
8.
অধরা সে এ ধরাতে, ধরা দিলো মানুষে
ধরতে তারে হৃদয় পুরে, ভক্তি রশি বাধো কষে।
9.
দুয়ার খোলো প্রভু
আমি যে প্রভু শুধুই তোমার
শুধুই তুমি, জুড়ে ভেতর বাহির
তব দরবারে, মোরে রাখো চরণ ধারে
তোমার দরশন দ্বারদেশ – না রুধিও কভূ
দুয়ার খোলো প্রভু।
10.
যারে ভালোবাসি
দিনরজনী, শুধু ক্ষন গনি
কখন সে পরানে, বসিবে আসি।
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী