লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
1.
এশকের গাছে দুটি ডালে, শোভা করে দুটি ফুল
ওয়াছেল আর ফারাক রুপে, নিত্যকালে রয় মশগুল।
নফসানিয়াত তরকে আশেক, ফারাক হতে হও স্বাধীন
গুরুতে ওয়াছেল হয়ে, চিন্ময় ধামে রও অধিষ্ঠান।
2.
শারাবান তাহুরা পিয়াও, দয়াল আমায় দীল ভরে
যেনো নিরত রই অনুরাগে, ঐ রাঙা চরণ বাঞ্ছা করে।
3.
মন তোর, জ্ঞান দরজায় অমাবস্যা
আসবে কেমনে জ্যোতির ধারা,
পূর্ণচন্দ্র যদি না জাগে সেথা
কেমনে ধরবি সে অধরা।
4.
আমার বোধির দ্বারে দাড়াও দয়াল
জ্ঞান অলিন্দে রয় সদায়,
আমার সকল ইচ্ছা, চাওয়ায়
তোমার ইচ্ছার করো জয়।
5.
মোর হৃদয়ের বীণাখানি বাজিছে সকরুণ
তোমারই পথ প্রিয় চাহিয়া,
তিয়াসা বেধে ঐ শ্রীচরণ মঞ্জীরে
পথ মাঝে রয়েছি গো জাগিয়া।
6.
তোমার পূজায় ব্যাপৃত মোর মন
যা খুশি তা বলুক লোকে,
জ্বলুক হিয়া প্রেম কলঙ্কে
পূজিবো আমি জন্মে জন্মে তোমার অনুক্ষণ।
7.
এ মানব তরী নিষ্ঠা করি
হাল ধরো মাঝি শক্ত করে,
অচতনে না রও কভূ
সদা বসত করো চেতন ঘরে।
8.
অধরারে ধরতে এতো
সাধ কেনো মন তোর,
যেজন দিয়াছে ধরা, হৃদয় মাঝে
করো চরণ নিষ্ঠা তাঁর।
9.
আঁখিদীপ জ্বালো মোর নিশার বাসরে
দূর করো সংশয়, নিবিড় তিমিরে,
আসুক প্রভাত রঙিন ধরায় চরণ ছোয়ায়
তোমাময় এ হৃদয়, ভাসুক প্রভাত পাথারে।
10.
সাজাও প্রেমেতে নবদ্বীপ তব, শ্যাম আরতীর তানে
রাখ ভক্তিজোড়ে বেন্ধে তারে, স্বরূপ সিংহাসনে।
প্রেমময়ী রাধারূপে পূজিও তাহারে
মধূর ভাবাবেশে, পূজার বশে, মনের বৃন্দাবনে।
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী