কবিতা – পদ্মার তীর

লাবিব মাহফুজ

বিকেলে যাবে কি ভাই, সাথে মোর চলো যাই ঐ পদ্মার পাড়ে
ঝাকে ঝাকে যেথায় রুপালী ইলিশ, স্রোত কেটে কেটে ফিরে।

যাবে কি ভাই, চলোনা যাই, ঐ বালুচরে
ত্রিধারে যার শরতের কাশ,মাথা উঁচিয়ে ডাকে মোরে।

দেখবেকি ভাই, কাশবনের ঐ টোপর পড়া সাদা ফুলের গায়
অন্তহীন ঐ নীলাকাশ যেনো, নিচু হয়ে চুমু খায়।

দেখ ঐ ভাই, সামনে আবার পাল তোলা নৌকা আসে
ডাকো মাঝিরে, উঠি তরীতে, যাবো দূরে ভেসে ভেসে।

ছলাৎ ছলাৎ পানির শব্দে একটু কি ভয় হয়
একবার উপরে তাকাও না ভাই, দেখো কি আছে হেথায়?

এতো সে সুনীল, মাঝে মাঝে আবার সাদা তুলো ভাসে
খসে পড়ে না তো? আচ্ছা, যাবে ওরা কোন দেশে?

হঠাৎ মাঝি করিলো কি গো, ধরিল মধুর সুর
সুরের বাদ্য বাজে ইলিশের গায়, আহা, কি মনোহর।

হঠাৎ দেখিনু পাশেই, পাল ছাড়া নায়, দিলো কেন এক বাঁক
টেনে তুলে জাল, জালে আছে কি? ইলিশের এক ঝাঁক!

আরো যাবে যামনে? দেখবো পদ্মার বুকের বালুচর
সেখানে কাঁশফুল নেই, আছে রৌদ্রের তাপ প্রখর।

জন্মেছে সেথায় শন দূর্বা আর বোরো ধান রাশি রাশি
দেখবো চলোনা মোয়া ঝাক দেখে পানকৌড়ির হাসি।

চলোনা ভাই আজকে মোরা যাবোনা ফিরে বাড়ি
থাকবো পদ্মায়, এত রূপ যার, এতো সুর আর এতো তরী।

রচনাকাল – 10/10/2012

আপন খবর