লাবিব মাহফুজ
দেখিতে চাহি সে ধাম
যেথা রয়েছে মোর প্রভু দয়াময়ের সুমহান আরশে আজীম।
যেথা রয়েছে জাত ইজ্জাতের নুরময় মোকাম –
দেখিতে চাহি সে ধাম।
যে ধামে প্রভু প্রেমময় বিরাজিছে সর্বতরে
যে ধামে মোর অনন্ত উপাস্য বসিছে আসন পরে।
যে ধাম পরে নোয়াইয়ে শির জানাইবো প্রণাম
দেখিতে চাহি সে ধাম।
যে ধামে মোর নিত্য খোদা নিত্য রূপে চলে
নিত্য মাঝেই তাহার আসন, নয় বদ্ধ অনিত্যের আচলে।
মোহজড়া শুণ্য নিত্যরূপ, সে হয় নিষ্কাম
দেখিতে চাহি সে ধাম।
নুরময় খোদা রওশন আধার গুণ হয় যার
অটল কৈলাসে দেখা দিবে সে, এসে নিত্য আকার।
দৃশ্যমান যে সে নয় নিরাকার, সেই পদে প্রণাম
দেখিতে চাহি সে ধাম।
যে ধাম পানে চাইয়া রহিলে খোদার দীদার মেলে
যে ধাম পরে জানাইলে স্তুতি, পরে খোদার পদতলে।
যে ধামে সদা বাজিছে সুরে, সুমধুর এসমে আজম
দেখিতে চাহি সে ধাম।
যে ধামে মোর প্রভু দয়াময়, নিজ বেশ লুকায়ে
বসি বসি খেলিছে প্রেম খেলা সদা, সৃষ্টি বান্দা লয়ে।
যে ধাম হতে হয় অবর্তীর্ণ, সুধামৃত পাক কালাম
দেখিতে চাহি সে ধাম।
যে ধামে বসি পাক নিরাঞ্জন লীলা করেন ভবে
আশেক দলে মাশুক নিহারে, উদ্দীপন বংশী রবে।
সে ধামে বসি খেলিছেন খোদা প্রেমাঞ্জল কাম
দেখিতে চাহি সে ধাম।
যে ধামে আঁখি পাইবে খুঁজিয়া অতীত সে আত্মজ্ঞান
যে ধামে মোরে সাধন আরতী করিবে মাল্যদান।
যে ধামে আমি দেখিবো সদা শ্রী মুখ অবিশ্রাম
দেখিতে চাহি সে ধাম।
যে ধাম তরে বাসনা মোর নোয়াইবো শীর
আগলে রাখিবো বুকেতে আমার, সে ধাম করি সুস্থির।
যে ধাম তরে অর্পিব মোর আপনার আপন নাম
দেখিতে চাহি সে ধাম।
যে ধাম তরে চাহিয়া সদা হেরিব নিত্য প্রেমরূপ
যে ধামে সদা রহিবো জাগিয়া, ছাড়িয়া অন্ধকূপ।
স্তব মোর শুধু হে দয়াময়, পুরাও মনষ্কাম
দেখিতে চাহি সে ধাম।
রচনাকাল – 01/10/2014