লাবিব মাহফুজ
বিদায়ের মালা হতে সুতার বাধন
খুলে দেখি প্রতি ফুলে, বিদায় লগন।
যে বিদায় মোরে কাঁদায় নিয়ত, ভাষায় অশ্রুনীড়ে
মালা হয়ে সেই, গলেতে আমার, ছিল মিলন ডোরে।
আজ তাই মিলন পথে বারে বারে ভাসে
বিদায়ের করুণ সুর,
বুকের পাজর ভেঙ্গে মিলনের পাখি মোর
চলে যায় বহুদূর।
জানি এ বিদায় মোর মিলন তীর্থে
আনিবে তাহারে টেনে,
মোরে ক্ষণিক দুঃখের স্বপন সম
শুধু কাঁদাইবে নির্জনে।
আমি তো চাই কাঁদিতে
আঁখিধারে, পূর্ণকরে, বিয়োগ ব্যাথা বাঁধিতে।
রাখিতে ও প্রাণ, মোর প্রাণেরই প্রতি অঙ্গে জড়ায়ে
তাহারে, সূদুরে, না দিব কভূ হারাতে।
কেনো প্রাণে জাগে বারে বারে শুধু, বিদায় বারতা হায়
জানিনা কেনো প্রাণের কান্না, বিদায় গোধূলীতে লুকায়।
বিদায় আসে যেন বাঁধিতে মোরে, বিদায়ের কারামাঝে
যার তিক্ত পরশ জিবন প্রবাহ, টানিয়া ডুবায় সাঝে।
ভালোবাসি যারে –
তার তরে নাই বিদায় বরাভয়,
সে তো জাগ্রত মোর হৃদয় মন্দিরে
রহিবে শাশ্বতকাল, সর্বময়।
কভূ সে নাহি হারাইবে হায়, হৃদয় কুঠুরী হতে
নিবে না বিদায়, বয়ে যাবে শুধু কালের নির্মম স্রোতে।
হারাতে দিবো না হায়
বাঁধিয়া রাখিবো অদৃশ্য সুতায়, হৃদয় দরজায়।
যে বিষজ্বালা বিদায় স্বরণে এ প্রাণে উঠেগো জাগি
যে কাল দহন জেগে উঠে প্রাণে, বিদায় পরশ লাগি,
সে জ্বলনে প্রাণ, জ্বলুক অবিরাম, ভাসুক নয়ননীড়
বিরহ হয়ে প্রাণেতে তবু, থাকো জাগ্রত অনিবার।
দিবো না তোরে বুঝিতে
কত হাহাকার, কত আঁখিধার, ঝড়িবে আধার নিশিথে।
তোরি মতো করে ভালোবাসো মোরে, এই মোর মহাজয়
এ বাধন হোক শত জনমের, বিরহের অভিপ্রায়।
না দিবো তোরে কাঁদিতে!
ক্রন্দন মোর একার সহায়, আমিই লুটাবো তাহাতে।
না দিবো তোরে কাঁদিতে।
রচনাকাল – 25/11/2018