লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
1.
আমার অশ্রু নদী উথলে ওঠে
একটু হেলায় তোর!
আমার পাষাণ এ প্রাণ ডুকরে কাঁদে
রাখলে একটু দূর!
কেমনে বাধি হিয়া বল!
আমার প্রাণ জুড়ে যে শুধুই তুই –
বন্ধু! অবিরল!
2.
আমার চোখের জলে গড়া সুন্দর
দেবতা যে তুই!
ধ্যানের কনক কানন উজল করা
প্রাণবন্ধু যে তুই!
যতই থাকিস দূরে!
আমার প্রাণ-দেউলে প্রেম-দেবতায়
পূজবো সুরে সুরে!
3.
নিষ্ঠুর ঈগল তুই!
সমর্পণের শিখরচূড়ায় –
প্রণয়-বন্ধুত্বে হাত পা বাধা বলে
ঠুকরে-ছিড়ে খাবি কলিজা!
তবু যুগে যুগে – প্রেমিক প্রমিথিউস দের –
এতেই যে চির কল্যাণ, চির শান্তি!
4.
হৃদয়ও মঞ্জরে এসো
অনুরাগ আঁখরে এসো
নব-নিপবনে আমার
মধুকর স্বরুপে এসো –
এসো আমার আঁখির যুঁথ-তলে
প্রিয় – এসো কৃপাছলে!
5.
চরণে বেঁধে তিয়াসা সকল
কাঁদি ডেকে ডেকে নিশিদিন!
ভালোবেসে তারে যতনে রেখেছি
প্রাণের দেউলে অনুক্ষণ!
সে মোর বন্ধু! প্রিয়!
সখা! ভগবান!
তবু তাঁর কাছেই যে তুচ্ছ আমার
সকল আহ্বান!
6.
আমি বাস করি অনুভূতির শহরে
তার বিচরণ সাত সমুদ্রের ওপারে!
7.
ভালো আছি – তোরে ছাড়া
থাকে সাগরতীরে চাতক যেমন
বিনে বাদল-ধারা!
8.
কেনো ডাকিস তারে?
যেজন হৃদয়ে তোর আসন পেতে
ঘুমিয়ে আছে মরণ দ্বারে!
কেনো বৃথাই ডাকিস তারে!
সুখগুলো যে যায় হারিয়ে –
জবাব-শূণ্য অন্ধকারে!
9.
সে – মাঝি তোমায় নাওয়ে?
আমারে কি নেবো তোমার
পথসঙ্গী করে?
আমি – এযে বিষম তরঙ্গের দরিয়ায়
আমি ধরেছি পাড়ি যে সখি, উজান স্রোতে হায় –
অকূলে ব্যাকুল এ প্রাণ দিশা যে হারায়!
কি করে গো যাবে সখি, আমার ভাঙা নায়?
10.
আমার সুদূর স্বপন হতে
ক্ষণিক অনুভবের রথে!
এলে প্রিয়তম –
আমি ধরবো বলে তায়
খুলে রাখি নিরুপায়
আঁখির বাসর মম!
এ কোন পিছল পথে মোর –
এলে ওগো প্রিয়তম!
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী