অনুকাব্য – প্রণয়ে যেজন নত

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

1.
আজো জাগে তৃষা, বিষ-বাণ
শোণিত ধারার পিছল পথে
বিষ-জরজর, যাতনা রথে
চলেছ – অমলিন!
সে তৃষা আজো রন্ধ্রে মোদের
জাগিছে অনুক্ষণ!
হাসনাইন!

2.
মুসার মতো মিলন চাহি না আমি
প্রেমহীন কথোপকথন!
রাখালটির মতো দাও বিরহ আমায়
সুদূর অন্বেষণ!
না হইও তুমি কভূ, প্রভু-খোদা মোর
না হইও মোজেস-নূর!
রাখাল কিশোর সম পূজিবো তোমায়
বন্ধুরূপে উজল করো হৃদয় বাসর!

3.
আমি সে দীপ হতে চাইনি
যে শিখাকে ধারণ করে মৌনতায়!
আমি হতে সেই শিখা
যে দীপ কে মুহুর্তে জাগিয়ে তোলে –
প্রজ্বলিত আলোক-বিভায়!
অতঃপর যায় হারিয়ে! দীপ রয়ে যায়!
ক্ষণিকের অহংকারে!
অখন্ডকালের স্ফুলিঙ্গ আমি!
আসি-যাই! বারবার! জাগিয়ে যাই –
সকলকে! ডেকে যাই দীপাধারে!

4.
পেয়েছি যে শুধু আমি আনন্দ নিখাদ!
সব অনুভবে! জিবন পূর্ণ আজ সুখে দুঃখে মোর –
আজ আনন্দে ভাসিছে মোর সব অবসাদ!
আমার প্রাণে শুধুই – আনন্দ নিখাদ!

5.
সুর নাই, তবু গাই, ছন্দ-হারা গান
কথা নাই, লিখে যাই, তবু তব শান!
তবু গেয়ে যাই… তবু লিখে যাই…

6.
চোখের প্লাবনে আমার হায়
আমিই যাচ্ছি ভেসে –
কেউ নূহ কে বলো! দ্রুত যেনো সে
তার তরী নিয়ে আসে!

7.
সে যে রূপ স্বরূপের লীলা করে
স্বরূপ ঘরে বসে,
তার ভেদ রমুজাত, প্রকাশ সতত
হয় নিত্য মানুষে।

8.
অস্তিত্বের বিষম যন্ত্রণা তুমি দেবে আমায়?
আমিতো আলেয়া নই! স্বয়ং অগ্নিজাত!
পুড়তে পুড়তে শিখেছি –
কিভাবে আলোকিত হতে হয়!
দহন! সেতো তোমার কাছে যন্ত্রণা
আর আমার কাছে অস্তিত্বের আনন্দ!

9.
প্রণয়ে যেজন নত
তার প্রণয় মধূর – আনত শির
জগতে উন্নত!
উদ্ধত যে প্রাণ –
তার বিপুল তনু – স্বর্গদ্বারে
না পায় পরিত্রাণ!
প্রেমিক! প্রণয়ডোরে –
বাঁধো আজি আপন! নম্রভারে!

10.
রুমী বললে, হারানো শামস আমার!
ফিরে এসো আমার দ্রাক্ষাকুঞ্জে
আমার হৃদয় আরশে আলা’য় –
শামস বললে, কেনো প্রশ্ন ফেরার!
নফসানিয়াত ত্যাজি – মেলো দৃষ্টি
সূর্য কি কখনো হারায়!

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

আপন খবর