আরিফুল ইসলাম
মহাকাল চক্র, সতত বক্র গতিতে ধায়,
ওরে অগ্নিঋষি দানি পুষ্পের হাসি
হিয়াতলে বসি, চির চাওয়া শশী, সবুজে শুধায়।
দে না প্রাচীন চূর্ণি, বায়ু ঘূর্ণি-ঘন যৌবনে,
গড় নব বিশ্ব, চির অবনত শীর ওঠাক, বাচুক নিঃস্ব
মরু বাদলে সবুজ শতদলে, সিনাম মশগুল মৌ-বনে।
শের-এ-খোদার লভিয়া দ্বার, ছোটাস বিজলী তরবারি,
আসুক অন্ধ অরিজনা নরকের কীট আবর্জনা
আজি নিঙড়ে আগুন, আনলি দ্বিগুন বারি।
হে সবুজ দুর্বাসা, বাধলি বাসা, রুদ্র তড়িৎ বৈশাখে
চকিতে কোন আনলি বেণু ব্রজের রাখাল চড়ায় ধেনু
তিমির নাশি, ওঠোনি ত্রাসি, জাগিছ কদম্বের শাখে শাখে।
অসহায় ধরনী গিরি সঙ্কট, বজ্র-বহ্নি বহে বিকট ঐ,
জাগো দুর্বল ভাঙ প্রাচীর তরুণ ধরালো গগনে চিড়।
আয় ছুটে সবে, যৌবন উৎসবে, উল্কার গল্কার মাভৈ মাভৈ।
এস অরন্দিম, এস হরদম, এস তনু বাগে,
তব পূণ্য অভিযাত্রা জগতে জাগে নব মাত্রা
দেখ প্রাণ খুুলে, সজ্জিত ফুলে ফুলে, বিশ্ব বিধি জাগে।
গগন ডোবানো ভূবন ভাবানো সৃষ্টির মাঝে তিনি,
মহাসবুজের চির অভিযান হৃদ-হেরাতে হাকিছে আযান
ছিন্ন কন্ঠে কাঁদি, নাহি অন্ত আদি, চিনিগো তোমা আজি চিনি।