অনুবাদ – ভালোবাসার চল্লিশ নিয়ম 3&4

পর্ব ০৩ ও ০৪ একত্রে
ভাবানুবাদ – লাবিব মাহফুজ

পর্ব ০৩
কি করে তাঁকে আবদ্ধ করো ইট পাথরের জঞ্জালতায়? যিনি সর্বত্র বিরাজিত! যার কৃপাদৃষ্টি তলেই প্রবাহিত হয় অনন্ত জগত। ধরার প্রতিটি অনুতে অনুতে যার মন্দির! জগতের সকল কিছুর মধ্যে তুমি ঈশ্বরকে উপলব্ধি করতে পারো। তিনি কোথাও সীমাবদ্ধ নন। প্রেম ভক্তি ও বিশ্বাস দ্বারা নির্মিত একটি দৃষ্টি তাঁকে সর্বদাই দেখে থাকে। প্রভুতো পরম প্রেমোময়। পরম প্রেমোধনে ধনী তিনি প্রেম বিলাতে ব্যাকুল। অনুভূতির তীক্ষèতা দ্বারা বাধো তাঁকে, তোমার হৃদয় মঞ্জরে।

জানতে চাও তাঁর বাসস্থান কোথায়? জেনে রেখো, তাঁকে সন্ধানের কেবলমাত্র একটি জায়গাই আছে। সেথায় তিনি নিত্য বসত করেন। যদি সেথায় খুঁজতে পারো তাকে তবে তিনি অবশ্যই সাড়া দেবেন।

প্রভু বাস করেন সত্যিকার প্রেমিকের হৃদয়ে। তিনি পূর্ণরূপে বিকশিত হন শুধু প্রেমসিক্ত হৃদয়ে। হৃদয় ব্যতিত অন্য কিছু খোদাকে পূর্ণরূপে ধারন করতে পারে না।

ঈশ্বর, একমাত্র বাস করেন প্রেমিকের হৃদয়ে।

পর্ব ০৪
বুদ্ধি ও প্রেমের দ্বন্দ্ব চিরকালের। আমাদের অর্জিত জ্ঞান ও সতর্ক বুদ্ধিবৃত্তি চিরকাল-ই আমাদেরকে জ্ঞানের ও সচেতনতার দেয়ালে আবদ্ধ করে রাখে। চিরমুক্তির পথে তৈরী করে অতীব সুক্ষ বাধা। আমিত্বকে সংরক্ষণ করে চাতুর্যতার সাথে এবং সযতনে। তাই বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণ কে অতিক্রম করেই হতে হয় উন্মাদ। হিতাহিত জ্ঞানশুন্য। তখনই হৃদয় হয়ে ওঠে উন্মুক্ত, ভালোবাসাকে গ্রহন করার মতো উদার।
উন্মাদ হও। ভুলে যাও সমস্ত বন্ধন। প্রাণের উন্মত্ততাকে করো তোমার অনন্ত রথ সারথী। শুধু অনুভব করো তোমার হৃদয়ের অনুরাগকে। দয়াময়ের প্রেমকে।
আচরনকে বুদ্ধি দিয়ে নিয়ন্ত্রন করার চাইতে প্রেম দিয়ে উন্মুক্ত করে দেয়াই প্রেমিকের কাজ। দরিয়া যদি হয় ভালোবাসার, সেক্ষেত্রে নিশ্চিতই ডুবে যাও। জীবনকে পরিণত করো অনিশ্চয়তার মরূভূমিতে, সুখের গৃহকোনে নয়।
অনুরাগ দিয়ে বেঁধে রাখো নিজেকে। হ্যাঁ, বার বার ঠকে যাও। চূর্ণ বিচূর্ণ হোক হৃদয় । প্রেমকে ধারন করার জন্য ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ই উপযুক্ত। ভাঙা হৃদয়েই বিরাজিত সকল ধন।

বুদ্ধি করে নয়, স্বতঃস্ফুর্ত প্রাণের আবেগ কে করো অবলম্বন, ডুবে থাকো শুধু প্রেমে।

আপন খবর