অনুবাদ – ভালোবাসার চল্লিশ নিয়ম 5&6

পর্ব ০৫ ও ০৬ একত্রে
ভাবানুবাদ – লাবিব মাহফুজ

পর্ব ০৫
প্রভু তো প্রতিনিয়ত কথা বলে। তোমাকে তার শাশ্বত প্রেমের অমরলোকে ডেকে চলে অবিরত। শুনতে পাওনা? কিভাবে শুনবে, হৃদয়ে যদি রয় এতো কোলাহল?

বাহির তো কেবল বাহির-ই দেখে। প্রেমের উপযুক্ত হতে হলে দেখতে শেখো ভিতর। অনুভব করতে শেখো শুণ্যতা এবং শুনতে শেখো নীরবতার ডাক। তোমার বাহ্যিক আচরণ, বাহ্যিক কথা, ভাষা, সর্বোপরি তোমার বাহিরের এতোকিছু, সে অনন্ত প্রেমের অনুভূতিতে পৌঁছতে পারে না। প্রেমের অনুভব কখনো মুখে উচ্চারণ করা যায় না, ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, সে তো শুধু উপলব্ধি! এক অনন্ত শুণ্যতা, অপার বিশালতা, যা কোনো সীমায় আবদ্ধ নয়!

প্রবেশ করো মহিমান্বিত প্রেমের রাজ্যে। দু’চোখ বন্ধ করে খুলে নাও অন্য দৃষ্টি। সকল ভাষা ভুলে কথা বলো অনন্তের ভাষায়। শাশ্বত প্রেমকে ধারণ করো তোমার নির্বিকার নিত্যতায়। সেখানে সব অচল। চালু থাকুক কেবল তোমার অনুভূতি, প্রেম, আনন্দ আর আনন্দ।

প্রেম কথা বলে নীরবতার ভাষায়, নির্লিপ্ততার আবহে, নির্বিকারত্বের আকারে। নীরব হয়ে যাও। তবেই প্রেম কথা বলে উঠবে।

নীরবতাই সকল কিছুকে আঁকড়ে রাখে!

পর্ব ০৬
আপনত্ব থেকে বিসর্জন দিতে হবে বাদবাকী অস্তিত্বসমুহকে। নির্ভেজাল অস্তিত্বের মাঝেই বিরাজ করে মহান ঈশ্বর। নিঃসঙ্গতার অনুভব মানেই সঙ্গের অভাববোধ। তাই ঈশ্বরানুভূতির সবচেয়ে সুন্দর উপায় হচ্ছে নির্জনতা। যেখানে শুধুই তুমি আর তোমার অন্তরতমস্ত, সেখানে আর কেউ কথা না বলুক। না থাকুক কোনো পক্ষ-প্রতিপক্ষ, না থাকুক কোনো শব্দ। শুধুই নির্জনতা।

একা হয়ে ডুবে যাও ঈশ্বর সন্দর্শনে। যদি থেকে থাকে তোমার সাথে অন্য অন্য অস্তিত্বসমুহ বা অস্তিত্বের প্রতিক্রিয়া, তবে নিশ্চিতই হারাবে তাকে। সে ভালোবাসার এক অনন্য মহিমা। শুধু একাগ্রতা ও হৃদয়ের শতভাগ অনুরাগ প্রচেষ্টার দ্বারাই তাকে ধরা যায়।

খুঁজে নাও তাকে যে তোমার প্রভু দর্শনের দর্পন। যার চেহারায় দেখতে পাবে খোদাকে। স্বয়ং যিনি প্রভুপ্রেমের আধাঁর। তবেই পাবে তাকে। সে আধেয় সদা বিরাজে ভালোবাসার মানমন্দিরে, পবিত্রাত্মায়, যাকে তুমি ভালোবাসো, তোমার সেই প্রেমের আধাঁরে।

ডুবে যাও নির্জনতায়, নিঃশব্দতায়। অনুভূতিতে। ভালোবাসায়।

তোমার ভালোবাসাতেই প্রকাশিত হবে তোমার প্রভু।

আপন খবর