ছালমা আক্তার চিশতী
আমাদের তরিকত জগতে যারা গুরু ভিন্ন অন্য কিছু ধারণ করবে সে ধার্মিক হতে পারবে না। কারণ, ধার্মিক হওয়া সোজা নয়। ধার্মিক হতে হলে মনের আমিত্বকে বিলুপ্ত করতে হবে। মনের মাঝে যদি হায়ানী স্বভাবের বীজ রোপন করা হয় তবে আর ধার্মিক হওয়া যাবে না। যেমন, একটি চাদর খাটের শোভা বর্দ্ধন করে। চাদরটি যখন ময়লা হয় তখন তা আমরা উঠিয়ে ফেলি ধোয়ার জন্য। ময়লা চাদরের মাঝে সাধারণতঃ মানুষ বসতে চায় না, তেমনি আমাদের দীলের মাঝে যে ময়লা রয়েছে তা ধোয়া না হলে খোদা এসে ধরা দিবে না। দীলের খাটের মাঝে যে বিছানা করেছি সেই বিছানা অনুসারে খোদা এসে আসন গ্রহণ করবে।
পবিত্রতা হলো ইমানের অঙ্গ। দীলের পবিত্রতা অর্জন করতে হলে দীল সাফাই করতে হবে গুরুর বাণী দ্বারা। গুরুর কালাম দীলে ধারণ করতে পারলে তা সম্ভব। যেমন, কবুতর যারা পালে তারা নতুন কবুতর বাড়িতে এনে কবুতরকে তার ঘর চিনাবার জন্য ঘরের সাথে খাঁচা বেধে রেখে কবুতরকে তার ঘর চিনানো হয়। তেমনি মানুষ গুরুর কাছে যাওয়ার পর তার নিজ ঘরকে চিনতে হলে গুরুর ঘরের সাথে যোগ সূত্র স্থাপন করতে হবে। তবেই অচেতন মনকে চেতন করতে পারবে। যেমন, ঠান্ডা থেকে গলাকে সেইফ করতে গিয়ে গলার মাঝে মাফলার পেঁচিয়ে রাখা হয় আবার এই মাফলার দুই দিকে ধরে যদি কেউ জোরে টানাটানি করে তবে মানুষের মৃত্যু হতে পারে, তেমনি তরিকার নাম দিয়ে যারা নোংড়া পথে চলে তারা আসলে আত্মাকে বাঁচানোর নাম করে আত্মাকে টানাটানি করে মেরে ফেলছে। একই রুহ/আত্মা পাঁচ ভাগে সর্ব সৃষ্টিতে মুহিত আছে। তারা পাঁচ রকমের আত্মার মাঝে হায়ানী আত্মাকে বেছে নিয়েছে। কারণ, তারা গুরু কি ধন তা বুঝে না।
গুরু ধরতে হবে তারা তা বুঝেও না বুঝার ভান ধরে থাকে। যারা এই জগতের মাঝে তরিকতের জগতটা বুঝে না তারা এই বিকৃত ধারণা যারা করে তাদের থেকে কিছুটা ভাল। তারা হলো তরিকতের শত্রু, তাদের জন্যই তরিকতের বদনাম হচ্ছে। নেড়া মতের লোকেরা যেই সমস্ত বস্তু আহার বিহার করে থাকে তা পশুরাও খাবে না। এই জগত থেকেই তারা তাদের খাদ্য নির্ধারণ করে যাচ্ছে। একজন মানুষের খাবার আর একটি পশুর খাবার এক নয়, এই খাবারের মাঝে আকাশ জমিন তফাত থাকে। এই জগত থেকেই আখেরাতে যে তাদের বিকৃত চেহারা হবে তা তাদের বদ স্বভাব দ্বারা বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। কারণ, যাদের মানব জনমটা চিরস্থায়ী হবে তাঁরা হবে গুরুর অনুসারী। তাঁরা হলো রুহুল কুদসের অধিকারী। কোন পীর মুর্শিদের নামের দোহাই দেওয়ার বাহানা করে অসৎ কর্মকান্ড করলে তার ফলাফল হবে অতি ভয়াবহ। এই সমস্ত অসৎ কর্মকান্ডের ফলাফল এই নাসুতের জগতে বাস করার কারণে হচ্ছে। তাদের অন্ধত্বের কারণে তারা তা দেখতে পায় না। এই অন্ধত্ব হলো দীলের।
‘চির সৌভাগ্যবান-ব্যক্তিগণ আপন পীর-মুর্শিদের নির্দেশ সত্ত্বেও নিজ পীরকে ত্যাগ করে অন্য হক্কানী পীরের খিদমতে আত্মনিয়োগ করাকেও বৈধ মনে করেননি। আর এ ত্যাগ করাও এমন মহান ছিলো যে, ঝর্ণার নিকট থেকে গভীর সমুদ্রে ছুড়ে যাওয়া। এতদসত্ত্বেও পীরের আস্তানা ছেড়ে যাওয়াকে সঙ্গত মনে করেননি’ (বায়াত ও খিলাফতের বিধান ২৪ পৃঃ)। পীর ব্যতীত অন্য কিছু ধারণ করা একজন মুরিদের জন্য কুফুরীর সমতুল্য। নিজ পীরকে রেখে অন্য পীরের নিকট যাওয়াই বুঝতে হবে তার ঈমান সঠিক নয়। আবার পীরের উসিলা দিয়ে অপকর্ম করলে তার ফলাফল এমন হবে তখন আর মানব কুলে বাস করা তার সম্ভব হবে না। কোন কুলে বাস করবে তা এই জনম থেকে বুঝা যাবে না, যদিও জ্ঞানীগণ তা স্বচোখে ইহলোক হতেই দেখেন। সুতরাং তা বুঝতে হলে দিব্য দৃষ্টিওয়ালা পীরের নিকট গিয়ে সে ভেদ জানতে হবে। কারণ, তাঁরা ইহকাল ও পরকাল দুই কালই বর্তমান দেখেন। যেমন, একটি ফুলের তোরা তৈরী করতে হলে প্রথমে একটি শলা/কাঠির মাধ্যমে ফুলগুলোকে কক্সিটের মাঝে আটকে রাখতে হয় তেমনি ভাবে বায়াত হয়ে পীরের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হলে একজন ইনসানুল কামেলে পরিণত হওয়া যাবে। আর যারা বায়াত অস্বীকার করবে তাদের অবস্থা এমন হবে- ‘যে ব্যক্তি ইমামের অনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নিলো, যে কিয়ামত দিবসে আল্লাহর সাথে এমতাবস্থায় সাক্ষাৎ করবে, তার হাতে কোন দলীল থাকবে না। যে ব্যক্তি এমতাবস্থায় মৃত্যুবরণ করলো যে, তার গর্দানে বায়াত (আনুগত্যের) বেড়ি থাকলো না, সে জাহেলীয়াতের মৃত্যুবরণ করলো’ (বায়াত ও খিলাফতের বিধান ৩১পৃঃ)।
পীর অথবা মুর্শিদের নিকট বায়াত হওয়টা হলো প্রথম ধাপ, তারপর দ্বিতীয় ধাপ হলো নিজ আপন সত্তা থেকে খান্নাস্রূপী শয়তানটিকে সরিয়ে ফেলা এই খান্নাসটিকে সরানো হলে তৃতীয় ধাপ কামেল ইনসান হওয়া যাবে। যেমন- মাছ চোখ খুলে ঘুমায় তেমনি একজন মানুষকে চোখ খুলে ঘুমাতে হয়, না হলে ঘরের সব মাল চোরে লুট করে নিয়ে যাবে। এই চোখ খুলে ঘুমানোটা আধ্যাত্মিক জগতের জ্ঞানীগণ জানেন। আল্লাহর অলীগণ ঘুমায় না, এই ঘুম যে কিসের ঘুম তা এই অচেতন জীব মানুষেরা বুঝে উঠতে পারে না। এইরূপ না পারাটা তাদের তকদিরে লেখা রয়েছে। কারণ, তারা তাদের তকদীরকে পরিবর্তন করতে চায় না। খোদা মানুষকে তার সকল নিয়ামত দ্বারা সুসজ্জিত করেছে। সেই নেয়ামতকে অপব্যাবহার করে মানবরূপী শয়তানের রূপ ধারণ করছে। আমিত্ব মুক্ত হওয়ার চেষ্টা সাধনা করতে হবে মন দিয়ে, না হলে শয়তান মানবীয় মনকে অচেতন করে আধারে ঘিরে রাখবে। আর যারা বায়াত না হয়েই অমুকের তমুকের দোহাই দিচ্ছে/গুরু পুজা করতেছে তারা বিনা প্রশ্নে পরীক্ষা দিতেছে। কারণ, যারা পীর মুর্শিদের নিকট বায়াত, তাদের দলীল রয়েছে তারা এই দলীল অনুসারে বিভিন্ন পরীক্ষা দিয়ে থাকে। যেমন, পড়ালেখা না করলে পরীক্ষায় কিছুই লেখা যায় না, তেমনি গুরুর নিকট প্রথম যেতে হবে তারপর তাঁর কথা মতো পড়ালেখা করতে হবে তবেই গুরুর দেওয়া পরীক্ষাগুলো পাশ করা যাবে।
এই মানব জনমটা হলো পরীক্ষার জনম, একজন গুরুভক্তের প্রতি মূহুর্তে পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। এই পরীক্ষাগুলো পাশ করতে হলে একনিষ্ট চিত্তে সাধনা করতে হবে। এই সাধনা করতে হলে অনেক ধৈর্য্য ধারণ করে চলতে হবে। এই ধৈর্য্য ধারণ করে চলার মাঝে মিলবে মাওলার দর্শন। এই দর্শনটা এই ইহজগতের নয় এর ফলাফল হবে পরকালে। কারণ, গুরু করণ একনিষ্ট ভাবে করার মাঝে রয়েছে পরকালের শান্তি। ইহকাল-পরকাল এক সাথেই আছে। এই শান্তিটাই হলো নফস মোৎমাইন্নার অধিকারী হওয়া, আর নফস মোৎমাইন্নাহ নফস রহমানীতে ওয়াছেল/বিলিন হয়ে বাকা লাভ করে। তখন ঐ মানুষটাকে দেখলেই এবাদত হবে। যেমন, মাটির মধ্যে খৈ পরে গেলে সেই খৈটা আর কেউ খেতে চাইবে না কিন্তু এই খৈটাকে ভাজতে হলে কিন্তু বালুর প্রয়োজন হয়, বালু হতে ছেকে খইগুলোকে তুলে আনা হয় তখন আর কেউ বলে না খই খাবো না। তেমনি এই সমাজের লোকদের অবস্থা, তারা গুরু ভজন না করে সরাসরি আল্লাহর এবাদত করে আর যারা গুরু ভজন করে তাদেরকে ঘৃণা করে। এ সমস্ত অন্ধ-বধিরদের ভাবনা তারা বেহেশত লাভ করবে। এই কাল্পনিক বেহেশতটাই হলো সমস্ত ধ্বংসের মূল। বিনা দলিলে গুরুকে না মানা গেলে তার গুরু ভজনই হবে না।
নফসে মোৎমাইন্নাহর অধিকারী যারা হয়েছে তার বিনা দলিলে গুরু ভজন করে যাবে এবং বর্তমান মানবী জান্নাতে বাস করবে। তাদের গুরু ভজনের/ বিশ্বাস-ভক্তি-প্রেমের মাঝে কোন ত্রুটি থাকবে না। আর যারা পীরবিহীন/বেমুরিদ তাদের অবস্থান এইরূপ হবে, লোকদের জন্য করণীয় যে, কোন পীরের দীক্ষা গ্রহন করা। কারণ, পীরহীন লোক কখনো (উভয় জগতে) সফলতা লাভ করতে পারে না। আবূ ইয়াযিদ (হযরত বায়েজিদ বোস্তামী) এইটাই বলেছেন যে, ‘যার কোন পীর নেই, তার পীর শয়তান’ (বায়াত ও খিলাফতের বিধান ৪৭পৃঃ)। গুরুর হাতে হাত দিয়ে বায়াত হওয়া হলো ফরজ। আর যারা গুরুর নিকট বায়াত না হয়ে তরিকার দাবি করে তাদের শাস্তিটা দ্বিগুণ হবে। কারণ, তারা তরিকতের নাম দিয়ে তাদের অপকর্মগুলো চালিয়ে যায়। এই বিষয়টা এক প্রকার অশ্লীলতা এবং চরম পথভ্রষ্টতা। তারা তরিকতের নাম দিয়ে এই ধরনের কাজ করে থাকে। কারণ, পীর মুর্শিদের অনুসারী বা অনুগামীরা এইরূপ কর্মকান্ডে জড়িত হবে না/হওয়া উচিত নয়। এই মানব জনমটা অতি ভাগ্য গুণে পাওয়া গেছে। এখন একজন মানুষের কর্ম হলো গুরু ভজন করে মুক্তির দেশে ধাবিত হওয়া।
একজন ধার্মিক হলো চিরমুক্ত ও স্বাধীন। ধর্মের নামে যারা অধর্ম করে থাকে তারা চিড়িয়াখানার জীবদের মতো কারাগারে বন্দী জীবন যাপন করবে। নিজ মানব ছুরতটাকে আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য এই মানব জনমে আসা হয়েছিল। সেই মানব মুক্তির পথটাকে ভুলে মন অচেতন হয়ে আছে। এইরূপ পথভ্রষ্ট পাগলদের থেকে যতটা দূরে থাকা যায় ততটাই মঙ্গল। ‘এ প্রকার পীর-মুর্শিদ বিহীন লোকের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। তার ইবাদত বন্দেগী সবই ধ্বংসে নিপতিত। তাকে প্রথমে ছালাম দেয়া নিষেধ। কিয়ামত দিবসে তাঁর পুনরুত্থান হবে শয়তানের দলের সাথে’ (বায়াত ও খিলাফতের বিধান ২৭পৃঃ)। যারা এই গুরু ভজনের নাম দিয়ে খোদার বিরোধীতা করে থাকে তারা জাহান্নামী অজুদ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে তারা কালের বিবর্তন ধারার মাঝে পরে যাবে। তাদের এই কু-স্বভাবটাকে দেখলে মনে ঘৃণার জন্ম নেয়। কারণ, ভুল করারও একটা সীমা থাকা প্রয়োজন, মানব ছুরত ঠিক থাকবে সঠিক চিন্তা, ভক্তি-বিশ্বাসের দ্বারা। গুরুর দয়ায় যেই শিষ্যের উপর পরবে সেই শিষ্যের আর পাপ থাকবে না। গুরুর নাম-রূপ ধ্যান সাধনায় মনের পাপ কেটে পুণ্যের উদয় হয়- একথায় যার বিশ্বাস নেই সে কখনো মুরিদ হতে পারে না।
ভক্তি-বিশ্বাস, ধীর-স্থির চিন্তা চেতনা দ্বারাই গুরুকে জয় করা যায়, এই অবস্থাটি যার অর্জন হয়েছে সে পারে এই মায়ার পৃথিবীকে জয় করতে। তকদিরের ভাল মন্দ লুকিয়ে আছে মানব জনমে সঠিক ও ভুল পথ চলার মাঝে। যার যার তকদির সে নিজেই তৈরী করে নেয়। যেমন- একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে, ‘বেশী উচু হলে বাতাসে ভাঙ্গে আর বেশী নিচু হলে ছাগলের পাড়া খেতে হয়’। যারা মধ্য পথ অবলম্বন করবে তারা এই নাছুতের জগত অতিক্রম করে হাহুতের জগতে পৌঁছে যাবে এবং তারাই শান্তির জগতে থাকবে। ভাল থাকাটাই হলো মানব সুরতে কায়েম থাকা। এই অচেতন মনকে চেতন করতে হলে গুরুর দয়া লাগবে। গুরু দয়া করলেও তাদের স্বভাব অনুসারে গুরুর দয়া তারা ধারণ করতে পারে না। কারণ, স্বভাবে তারা মৃত, যারা জীবিত তাদের কাছে গুরুর দয়া পৌঁছবে না। গুরু তাঁর শিষ্যের দিকে তাকিয়ে থাকে সে ভুল পথ থেকে বের হয়ে আসে কিনা। গুরু ধারণ করে আছে নফসে রহমানীর গুণ খাছিয়ত, ভক্ত যদি গুরুর গুণ ধারণ করতে পারে তবে ভক্তও নফসে রহমানীর গুণ ধারণ করতে পারবে। খোদার রহমত সর্বদাই মানুষের উপর বর্ষিত হতে থাকে। যারা গাফেল তারা তা দেখতে পায় না, বুঝে না। গাফেল হৃদয়ে গুরুর রহমতের নূর পৌছায় না। কারণ, গাফেল অন্তরের মাঝে অন্ধকার এসে খোদার নূরের আলো আসতে বাধা তৈরী করে রাখে। এই দেখতে না পাওয়াটার মাঝে খোদার দেওয়া সাতটি নূরি সেফাতের দুইটি সেফাত আলিমুন ও বাসিরূনের পর্দাবৃত করে রাখা হয়েছে। এই পর্দাটা হলো নিজ ভুলের ফসল। মানুষ অহরহ ভুল পথে অগ্রসর হতে থাকে। ভুল করাটা সোজা কিন্তু ভুল থেকে বের হয়াটা কঠিন। যেমন, মাছ না বেঁছে খাওয়া হলে গলার মাঝে কাটা বিধঁতে পারে সে কাটা গভীর ভাবে আটকে গেলে ডাক্তারের কাছে না যাওয়া হলে তা খোলা যায় না। তেমনি অবস্থা হয় এই নেড়া ফকিরদের দশা তাদের গলার মাঝে হায়ানী স্বভাবের কাটা বিধে আছে তা খুলতে হলে গুরু নামক ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তবেই একজন প্রকৃত মানব হতে পারবে। সক্রেটিস বলছেন “একমাত্র শুভ হলো জ্ঞান, আর একমাত্র অশুভ হলো অজ্ঞতা।”
যারা জ্ঞানী তারা তাদের সঠিক পথ অবলম্বন করেই নিজ মানব জীবন টাকে অতিবাহিত করে থাকে। কারণ, তারা ভাল কোনটা আর মন্দ কোনটা তা জানে। এই জানার ভিতরে ভালটাকে আকড়ে ধরতে পারলেই মুক্তি নিশ্চিত।