হযরত খাজা কাজী বেনজীর হক চিশতী নিজামী
হিংসুকে হিংসা করে, গীবতকারী গীবত চর্চা করে মনে তৃপ্তি পায়। কুকুরের তকদিরে যা আছে তা খেয়েই শান্তি পায়। সব প্রাণী ঘি খেতে পারে না, তা যতো পুষ্টিকর খাদ্যই হোক না কেনো। প্রবাদ বাক্যে বলছে, কুকুরে ঘি খেলে নাকি গায়ের পশম ঝড়ে যায়। একদল আলেম-মোল্লা-মুফতি বা তাদের অনুসারীগণ এমন কিছু বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করে যে তাদেরকে গন্ডমূর্খ বললেও গাধায় বত্রিশ দাঁত বের করে হাসবে। তারা এ ধরণের কাজ কেনো করে ? কারণ, মূলে হলো অজ্ঞতা-মূর্খতা। তাদের এ ধরনের বিকৃত চিন্তার ফসল গ্রহণ করছে সমাজের এক শ্রেণীর লোকজনও। তাই তাদের অনুসারীদের মধ্যে অনেকেই অনেক বিষয়কে নাজায়েজ, বেদআত, হারাম অথবা টিটকারীস্বরূপ অনেক কথা বলে থাকে। যেমন, মাথায় লম্বা চুল থাকলে একদল আলেম-মোল্লারা এবং তাদের অনুসারীগণ বলে ‘চুল্লা’, মেয়ে লোক, বা কেউ বলছে বড় চুল রাখা জায়েজ নেই, কেউ বলছে বেদআত, কেউবা আরো একটু এগিয়ে গিয়ে বলছে ‘ভন্ডামী’ বা এরা ভন্ড ইত্যাদি। এ ধরনের কথা ওরা কেনো বলছে? কারণ, ইহা তাদের বিকৃত স্বভাবেরই প্রতিফলন, যা ইবলিশ বা শয়তানের গুণÑখাছিয়ত। শয়তানের কোনো স্ত্রী নেই কিন্তু বংশ বিস্তার করে চলছে ঠিকই।
শয়তানের গুণ-খাছিয়তকে বা শয়তানের ধর্মকে যে দীলে ধারণ করছে, পোষণ করছে, সে-ই হলো শয়তানের বংশধর। কুকুর যেমন ঘি খেতে পারে না ওরাও তেমন ভালো কোনো কথা বা চিন্তা দীলে পোষণ করতে পারে না। তারা তাদের মনকে অজ্ঞতা-মূর্খতার অন্ধকারে আবৃত করে ফেলছে, মানে দীলে মোহর মারা হয়ে গেছে। অনেকে পীর-ফকিরগণের লেবাছ দেখেও টিটকারী করে থাকে, ইহাই তাদের চরিত্র। ভালোমন্দ প্রভেদ করার শক্তি তাদের নেই, তাই গীবত চর্চা ছাড়া তাদের কোনো পথও নেই। এ ধরনের লোক (মানুষ নয়) নিজ আত্মা হারিয়ে তাদের অজান্তেই অন্তরে পশুর সুরত নিয়ে বাস করছে। তাই পশুত্বের আচরণ তাদের মুখ, হস্ত, পদ থেকে প্রকাশ পাচ্ছে। স্বভাবে সুরতের পরিচয় হয় বিধায় এ ধরণের লোকগুলো মানুষ নয়, মানব সুরতে পশু। যদি এ ধরণের গুণ-খাছিয়ত ত্যাগ করতে না পারে তবে দেহ ত্যাগের পরে তাদের সুরত বদল হয়ে যাবে মানে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। যেখানে ইসলামেরই চৌদ্দ আনা বিকৃত করা হয়েছে/করা হচ্ছে, নানা ফেরকার আলেম-মোল্লারা সেখানে ঝগড়া করছে চুল, দাঁড়ি, নখ, মোচ, হায়েজ-নেফাস, বউ তালাক দেয়া বা আনা, কাপড় টাখনুর নিচে না উপরে, ছবি হারাম না হালাল ইত্যাদি নিয়ে। মোল্লাতন্ত্রের ধর্মজ্ঞান পশ্চাৎমুখী, অকেজো, জড়ত্ব স্বভাবের।
তাই কাঠ মোল্লাদের লক্ষ্য করে বাংলার জাতীয় কবি এবং বিখ্যাত ওলী কাজী নজরুল ইসলাম তাদেরকে সুরসুরি দিয়ে ঘুম ভাঙ্গানোর জন্য বলছেন,
“বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখনো বসে
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজি, কোরান-হাদিস চষে।”
ওলী-আউলিয়া, ফকির-দরবেশ, সাধু-সন্ন্যাসী বা তাদের অনুসারী তরিকতপন্থীগণের মাথায় লম্বা চুল দেখলে এক শ্রেণির বিকৃত চরিত্রের অধিকারী ছোয়াবের ব্যাপারী/ধর্ম ব্যবসায়ী মোল্লা-মুফতি বা তাদের অনুসারীগণের মগজ গরম হয়ে উঠে। (এ তাপের ঘরে মোয়াক্কেল হলো আজাজিল-শয়তান, সুরা নাস)। ফলে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠে তারা। একটু লক্ষ্য করে দেখুন, মূলতঃ শয়তানই এ ধরণের আচরণ প্রকাশ করছে। এ ধরনের মোল্লা-মুফতিগণ দ্বীনে মুহাম্মদী হতে বহু দূরে অবস্থান করছে। বিশেষ করে ওরা দেওবন্দী ওহাবী, খারেজী, জামায়াতে মওদুদী বা অন্যান্য মৌলবাদী কুলাঙ্গার। তাদের এ ধরনের আচরণ ধর্ম এবং কোরান-হাদিসের পরিপন্থী। তাই বলছি, ওরা নামাজ-রোজা’ই যখন করছে সেই সাথে আল্লাহর অনুমতি নিয়ে ঈমান এনে ইসলামে দাখেল হয়ে যাওয়া উচিত। ‘খাসায়েছুল কোবরা’ কিতাবের ২য় খন্ডের ১৯-২১ পৃষ্ঠা (বঙ্গানুবাদ) হতে জানা যায় হযরত আদম (আঃ)-এর মাথায় লম্বা চুল ছিল এবং মুখে কোনো দাঁড়ি ছিল না। হযরত উবাই ইবনে কাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, হযরত আদম (আঃ)-এর মাথার চুল/কেশ মোবারক খেজুর গাছের ডগার মতো লম্বা ঘন কালো ছিল।
জান্নাতে দৌড়াদৌড়ি করার সময় নবীর লম্বা চুল গাছের সাথে জড়িয়ে পড়েছিল। চুল কতো লম্বা হলে গাছের সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে তা কি ভাবনার বিষয় নয়? এ হাদিসটি ‘তাফসিরে ইবনে কাছিরে’ বর্ণিত আছে। জানা দরকার খেজুর গাছের ডালগুলো বা ডগা প্রায় ৪/৫ হাত লম্বা হয়ে থাকে। তা হতে অনুমান করা যায় হযরত আদম নবীর চুল কতোটুকু লম্বা ছিল। প্রায় অধিকাংশ নবী-রাছুলগণের মাথায়ই লম্বা/ বাবরী চুল ছিল বলে প্রমাণিত। মানুষ সৃষ্টির প্রাথমিক অবস্থায় দাঁড়ি আসে নি এসেছে শিশু উপযোগী লম্বা চুল। আদিম যুগ হতে বর্তমান যুগ পর্যন্ত মাথার চুল, দাঁড়ি, মোচের অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। আদিম যুগে চুল দাঁড়ি কাটার ব্যবস্থা ছিল না বিধায় সবারই চুল, দাঁড়ি, মোচ অনেক বড় বড় ছিল, থাকাটাই স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে উন্নত যুগে উন্নত ব্যাবস্থার কারণে মানুষের পোশাক, খাবার, যানবাহন, আচার-আচরণ, ব্যবহৃত জিনিস পত্র হতে শুরু করে সমস্ত কিছুই পরিবর্তন পরিবর্ধনের দিকে দ্রুত ধাবিত হচ্ছে। বর্তমান যুগে আমাদের মহানবী (সাঃ) এর অবস্থান কালে তিনি ক্লিন সেভ করতেন কিনা তা কিন্তু ভাবনার আছে! এ কথাটি শুনে মহিষের মতো গর্জন না করে, ফতোয়ার ডিগবাজি না খেলে আগে একটু গভীরভাবে চিন্তা করে বলুন! ১৯৮৮ ইং সনের ‘মাসিক গণফোরামের’ একটি প্রতিবেদন হতে জানা যায়, নবীজি (সাঃ) ৫৩ বৎসর পর্যন্ত ক্লিন সেভ করতেন। এ কথাটি তৎকালীন সময়ে ‘ইসলামী ফাউন্ডেশনের’ পরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক লাইব্রেরীতে ইসলামী সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন। কারণ, তাঁর মুখে তখন দাঁড়ি ছিল না।
যাক, কিন্তু নবী-রাছুল, ফকির-দরবেশ, ওলীদের অবস্থাটি তা হতে অবশ্যই ভিন্ন প্রকৃতির। কারণ, এরা আল্লাহর পথে নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়ে তাঁরই ধ্যানে-দিদারে মগ্ন হয়ে ফানাফিল্লাহতে বাস করেন। কেউ পাহাড়ে, কেউ জঙ্গলে, কেউ বা খানকার নির্জন কোঠায় বসে আল্লাহর গভীর ধ্যানে-দিদারে তথা জিকিরে মগ্ন হয়ে থাকে। কেউ লোক সমাজ হতে দূরে অবস্থান করে মজ্জুব হালতে দিন যাপনকরেছেন/করছেন। বিধায় নিজেদের শরীরের দিকে আর তেমন একটা নজর দেয়ার ,ফুসরত পান না। তাই দেখা যায় তাদের চুল-দাঁড়ি-মোচ অনেকের হাতের নখ পর্যন্ত অনেক বড়-লম্বা হয়ে যায়। সাধারণ লোকজন তাদের হাকিকত বুঝতে না পেরে যার যার মতে সে সমালোচনা করে থাকে। তাই গন্ডারদের গায়ে সুরসুরি দিয়ে বলছি , যদি একটু বোধোদয় হয়। স্বয়ং রাছুল পাক (সাঃ)-ই বাবরী চুল রেখেছেন। তার চুল কখনো কখনো কাঁধ অতিক্রম করে পিঠেও এসে যেতো। বর্তমানে নবীজি (সাঃ)-এর চুল মোবারক গুগলে দেখাচ্ছে তা কমপক্ষে দেড় হাত লম্বা হবে। যে সাহাবা রাছুলপাক (সাঃ)-এর মাথার চুল মোবারক যতোটুকু লম্বা দেখেছেন সে ততোটুকুই বর্ণনা করেছেন।
সে মতে বর্ণনার ভিন্নতা স্বীকার্য, তাই শুনুন-
কিতাব মতে চুল তিন প্রকার –
(১) ওয়াফ্রা – যখন মাথার চুল কানের লতি পর্যন্ত লম্বা হয় তখন তাকে বলে ‘ওয়াফ্রা’। রাছুলপাক (সাঃ)-এর চুল অনেক লম্বা করে রাখতেন। কখনো কখনো তিনি তা কর্তন করে কানের লতি পর্যন্ত রেখেছেন। কানের লতি পর্যন্ত লম্বা কেশ মোবারক যারা দেখেছেন তাদের কিছু বর্ণনা তুলে ধরছি।
যেমন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাছুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, এক রাত্রে আমি সাদা গমের বর্ণের মতো একজন সুন্দর পুরুষকে স্বপ্নে দেখতে পেয়েছি। তাঁর মতো সুন্দর মানুষ তোমরা দেখনি। তাঁর চুল কানের লতি পর্যন্ত লম্বা ছিল। এবং এমন সুন্দর ছিলেন যে, তাঁর মতো সুন্দর চুলওয়ালা তোমরা দেখতে পাওনি। তাঁর চুলগুলো আঁচড়ানো ছিল। চুল থেকে যেন পানি টপ্কে পড়ছে। তিনি দু’জন লোকের উপর ভর করে/কাঁধে ভর করে খানা-এ-কাবার তাওয়াফ করছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম ইনি কে ? বলা হলো, ইনি মরিয়ম-তনয় ঈসা-মসীহ্ (আঃ)। পরেই আমি আরেকটি লোক দেখলাম, তার চুল কোঁকড়ানো, ডান চোখ কানা, যেন তা আঙ্গুরের মত বেরিয়ে রয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ লোকটি কে ? বলা হলো, মসীহে দাজ্জাল। (বোখারী ৫ম খন্ড, ৫৪৭৩)।
হযরত কাতাদা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, আমি আনাস (রাঃ)-কে রাছুলুল্লাহ (সাঃ)-এর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, রাছুলুল্লাহ (সাঃ)-এর চুল না অধিক কোঁকড়ানো ছিল, না অধিক সোজা ছিল। বরং দু’অবস্থার মাঝামাঝি ছিল। এবং লম্বায় ছিল উভয় কান ও ঘাড়ের মাঝ বরাবর (বোখারী ৫ম খন্ড, ৫৪৭৬ নম্বর হাদিস)। এ হাদিসে বর্ণিত কেশ মোবারক কানের লতির চেয়েও নিচে ছিল বলে প্রমাণিত।
হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সাঃ)-এর চুল/কেশ মোবারক অর্ধকর্ণ পর্যন্ত প্রলম্বিত ছিল। এ হাদিসটি ইমাম তিরমিযি তাঁর ‘শামায়েলুন তিরমিযীতে’ ২৩, ২৬ ও ২৮ নম্বর হাদিসে বর্ণনা করেছেন।
সুনান আত তিরমিযী (পোশাক-পরিচ্ছদ অধ্যায়, ১৭৫৪ নম্বর হাদিস) হযরত আনাস হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাছুলুল্লাহ (সাঃ) ছিলেন মধ্যম আকৃতির। তিনি অধিক লম্বাও ছিলেন না আবার খাটোও ছিলেন না। তিনি সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন এবং তাঁর গায়ের রং ছিল বাদামী। তাঁর মাথার চুল কোঁকড়ানোও ছিল না আবার একবারে সোজাও ছিল না। তিনি রাস্তায় চলাচলের সময় সামনের দিকে ঝুঁকে হাটতেন (সহীহ মুখতাসার শামাইল, নাসাঈ)। এ হাদিসটি হযরত ইবনে আব্বাস, বারাআ, আবু হুরায়রা, আবু সাঈদ, জাবির, উম্মে হানী (রাঃ) হতেও বর্ণিত আছে। হাদিসটি হাসান সহীহ গরীব।
বারাআ ইবনে আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, নবী করিম (সাঃ) মাঝারি গড়নের ছিলেন। তাঁর উভয় কাঁধের মধ্যস্থল প্রশস্ত ছিল। তাঁর মাথার চুল দু’কানের লতি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। আমি তাকে লাল ডোরাকাটা জোড় চাদর পরা অবস্থায় দেখেছি (সহীহ বোখারী-৩৫৫১ নম্বর হাদিস)।
ইবনে সা’দ, তিরমিযী, বায়হাকী, তাবারানী, আবু নায়ীম, ইবনে সাকান ও ইবনে আসাকিরের রওেয়ায়েতে হযরত হাসান (আঃ) বলেন, আমি আমার মামা হিন্দ ইবনে আবী হালাকে রাছুলুল্লাহ (সাঃ)-এ দেহাবয়ব সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি হুজুর (সাঃ)-এর দেহাবয়ব অধিক পরিমাণে ও সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করতেন। আমার প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন ঃ রাছুলুল্লাহ (সাঃ)-এর আপন সত্তার দিক দিয়েও মহান ছিলেন এবং অপরের দৃষ্টিতেও অত্যন্ত মর্যাদাবান ছিলেন। তাঁর মোবারক মুখমন্ডল পূর্ণিমার চাঁদের মত ঝলমল করতো। তাঁর গড়ন সম্পূর্ণ মাঝারি গড়নের চেয়ে কিছুটা দীর্ঘ ছিল। কিন্তু বেশী লম্বা গড়নের চেয়ে খাটো ছিলেন। মাথা সমতার পর্যায়ে বড় ছিল। কেশ যৎকিঞ্চিৎ কুঞ্চিত ছিল। মাথার কেশে আপনা আপনি সিঁথি হয়ে গেলে তিনি সিঁথি করতেন না। নতুবা সিঁথি করতেন। চুল কানের লতি পার হয়ে যেতো। তাঁর রঙ অত্যন্ত চমকদার ছিল এবং ললাট প্রশস্ত। তাঁর ভ্রু কুঞ্চিত, পাতলা ও ঘন ছিল (সংক্ষিপ্ত। খাসায়েছুল কোবরা, ১ম খন্ড ১৩৫)।
ইবনে আসাকির হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হতে রেওয়ায়েত করেন যে, কিছু সংখ্যক ইহুদী হযরত আলী (আঃ)-এর কাছে এসে বললো: আপনার চাচাত ভাইয়ের গুণাবলী বর্ণনা করুন। হযরত মাওলা আলী (আঃ) বললেন, মুহাম্মদ না খুব লম্বা ছিলেন, না বেঁটে। তিনি মাঝারি গড়ন থেকে কিছু বেশী ছিলেন। রং ছিল লালিমা মিশ্রিত সাদা। চুল কোঁকড়ানো ছিল, কিন্তু সম্পূর্ণ কুঞ্চিত ছিল না। মাথার চুল কানের লতি পর্যন্ত ছিল। ললাট প্রশস্ত ছিল এবং গাল সুস্পষ্ট ছিল (সংক্ষিপ্ত) । খাসায়েসুল কোবরা ১ম খন্ড-১৩৪ পৃষ্ঠা)। এ ধরনের হাদিস ইবনে সা’দ ও ইবনে আসাকিরের রেওয়ায়েতে হযরত মাওলা আলী (আঃ) হতে বর্ণিত আছে (খাসায়েছুল কোবরা, ১ম খন্ড ১৩১, ১৩৩ পৃষ্ঠা)। তাছাড়া ‘খাসায়েসুল কোবরা’ কিতাবের ১ম খন্ডের ১৩৪ পৃষ্ঠায় হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতেও বর্ণিত আছে।