হযরত খাজা কাজী বেনজীর হক চিশতী নিজামী
(২) লিম্মাহ – কানের লতি অতিক্রম করে যখন চুল কাঁধের উপর এসে পড়ে বা কাঁধ পর্যন্ত লম্বা হয় তখন তাকে বলে ‘লিম্মাহ।’
যেমন – বোখারী ৫ম খন্ডের কিতাবুল লেবাছ অধ্যায়ের ৪০৬ পৃষ্ঠায় হযরত বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি লাল তহবন্দ ও চাদর পরিহিত অবস্থায় নবী করিম (সাঃ)-এর চেয়ে অধিক সুন্দর আর কাউকে দেখিনি। (ইমাম বোখারী বলেছেন), আমার কোনো এক বন্ধু মালেক থেকে বর্ণনা করেছেন, হুজুর (সাঃ)-এর মাথার চুল ঘাড় পর্যন্ত এসে যেতো। আবু ইসহাক বর্ণনা করেছেন, আমি বারাআ (রাঃ)-কে এ হাদিস একাধিকবার বর্ণনা করতে শুনেছি। যখনই তিনি এ হাদিস বর্ণনা করেছেন, তখনই তিনি হেসে দিয়েছেন। শো’বা তাকে অনুসরণ করে বর্ণনা করেছেন, হুজুর (সাঃ)-এর চুল দু’কানের লতি পর্যন্ত চলে যেতো (৫৪৭২ নম্বর হাদিস)। সহীহ বোখারী ৩৫৫১ নম্বর হাদিস হতে বর্ণিত আছে যে, ইউসুফ ইবনু আবু ইসহাক তাঁর পিতা হতে বর্ণনায় বলেন, নবী করিম (সাঃ)-এর মাথার চুল কাঁধ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ইসলামিক ফাউন্ডেশন হতে প্রকাশিত, নম্বর – ৩২৯৬)।
হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী করিম (সাঃ)-এর মাথার চুল ঘাড় পর্যন্ত এসে যেতো (৫৪৭৪-৭৫ নম্বর হাদিস)।
অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা আবদুল জলিল সাহেবের বঙ্গানুবাদ বোখারীর ১৫০৫ নম্বর হাদিস হতে জানা যায় রাছুলপাক (সাঃ) স্বীয় মাথার সামনের চুলে গিট দিয়ে কপালে ঝুলিয়ে রাখতেন।
হযরত উম্মে হানী (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সাঃ) হিজরতের পর একবার মক্কায় আগমন করেন। তখন তাঁর কেশ/চুল মোবারক চতুর্ঝুটি বিশিষ্ট ছিল। অর্থাৎ চুলের চারটি বেণী ছিল। এ হাদিসটি সুনান আত্ তিরমিযীর ১৭৮১ নম্বর হাদিস। (শামায়েলুন তিরিমিযী-২৭ নম্বর হাদিস, অধ্যায় নম্বর ৫)। এ হাদিসটি ইমাম তিরমিযি তাঁর ‘শামায়েলুন তিরমিযীর’ ৩৮ পৃষ্ঠায় ২৯ নম্বর হাদিসেও বর্ণনা করেছেন। হযরত ইবনে ওমরও উম্মে হানী হতে এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন যে, নবী করিম (সাঃ) যখন মক্কায় আসেন তখন তাঁর মাথার চুলের চারটি বেণী ছিল। এ হাদিসটি হাসান। (আল মাদানী প্রকাশনী হতে প্রকাশিত ‘তিরমিযী’ হাদিস নম্বর -১৭৮১, সহীহ ইবনে মাজাাহ-৩৬৩১, ইফাঃ -১৭৮৮)।
হযরত আব্বাস (রাঃ) হতে তিনি বলেন, নূর নবীজির (সাঃ)-এর মাথায় চুল মোবারক লম্বা ছিল এবং তিনি তাঁর চুলের মাঝখানে সিঁথি কাটতেন (মুসলিম/বোখারী)। অন্য হাদিস গ্রন্থে বর্ণিত হযরত ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (আঃ)-হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী করিম (সাঃ)-এর মাথায় লম্বা চুল ছিল যা কানের লতির নিচ পর্যন্ত ঝুলন্ত অবস্থায় রাখতেন (তিরমিযী)। নবী প্রেমিক সাহাবা আসহাবে সুফ্ফাগণ গায়ে ছিন্ন বস্ত্র পরিধান করতেন এবং মাথায় লম্বা চুল রাখতেন। তার মধ্যে হযরত মাহজুরা (রাঃ) একজন। হযরত বেলাল (রাঃ)-এর পরে মুয়াজ্জিন হিসেবে হযরত আবু মাহ্জুরা (রাঃ)-এর নাম শীর্ষে। তৎকালীন অধিকাংশ সাহাবাগণের মাথায় লম্বা চুল ছিল। রাছুলপাক (সাঃ) ১৫ বৎসর হেরাগুহায় নিরন্তর ধ্যান সাধনায় মগ্ন ছিলেন, তখন তাঁর চুল মোবারক/শিরোরুহ মোবারক স্বাভাবিক নিয়ম-নীতির কারণেই অধিক লম্বা হয়ে গিয়েছিল। কারো কারো মতে তখন তাঁর চুল/কেশ মোবারক কোমরের নিচে চলে গিয়েছিল। এ রীতি তাঁর পূর্ব বংশধরদের মধ্যেও প্রচলন ছিল। হযরত আবু তালেব (রাঃ)-ও এ পথের পথিক ছিল। বিশেষ করে রাছুল পাক (সাঃ)-এর দাদা আবদুল মোত্তালেবও (হানীফ-মিল্লাতে ইব্রাহীম) রমজানে এক মাস ব্যাপী নির্জন সাধনার জন্য পাহাড়ের গুহায় চলে যেতেন। তার মাথায়ও বাবরী ছিল বলে বিধৃত। তিনি মুখের দাঁড়ি দিয়ে কাবা ঘর ঝাড়– দিতেন।
পবিত্র কোরানে সুরা কাহাফ (২৫ নং আয়াত) মোতাবেক সাতজন যুবক সাধকগণ (ধর্ম সন্ত্রাসী রাজার ভয়ে পালিয়ে) এক পাহাড়ের গুহায় ৩০৯ বৎসর ধ্যান সাধনায় মগ্ন ছিল। তাদের চুল কতোটুকু হতে পারে তা কাঠ মোল্লার দলেরা হিসাব জানে কি? এ আয়াতের ভেদ যুগে যুগে বর্তমান। সুফি সাধক ফকির দরবেশগণ যদি জঙ্গলে, পাহাড়ের গুহায়, বা কোনো নির্জনস্থানে, ধ্যানের ঘরে ৩শত বৎসর আরো ৯ বৎসর অতিবাহিত করে তাদের চুল কেমন হতে পারে তা কি ভাবনার বিষয় নয়? সাধকগণ গুহা হতে বের হয়ে যখন তাদের মুদ্রা নিয়ে বাজারে গেল তখন দেখা গেল সে মুদ্রা অচল। এখনো সাধক পীর-ফকির, দরবেশগণের মুদ্রা ধর্ম সন্ত্রাসী বা তাদের অনুসারী বা জঙ্গি মৌলবাদীগণের নিকট অচল। সে মুদ্রার পরিচয় যারা জানে তারা ইহাও জানে যে, সে অত্যাচারিত বাদশাহ এবং তাদের অনুসারীগণ যুগে যুগেই বর্তমান। শুধু স্থান-কাল, নাম-উপাধি ভিন্ন, স্বভাব-চরিত্র অভিন্ন।
চুল কতোটুকু বড়/লম্বা হলে চুলে গিট দিয়ে রাখতেন অথবা চারটি বেণী করে রাখতেন তা কি ভাবনার বিষয় নয় ? যারা লম্বা চুল দেখলে পশুত্বের আদিম চরিত্রটির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে সমালোচনা করে যাচ্ছে তাদেরকে বলছি আপনি/আপনারা নিজেদের চুলগুলো গিট দিয়ে দেখুন কতোটুকু লম্বা হলে চুলে গিট দিতে পারবেন বা চুলের চারটি বেণী গাঁথতে পারবেন! বাস্তবেই তা একবার প্রমাণ করে দেখুন না ! কসাইয়ের হাতের ছুরি আর ডাক্তারের হাতে ছুরি এক নয়। পুলিশের হাতের পিস্তল আর সন্ত্রাসীর হাতের পিস্তল এক নয়। নবী-রাছুল, ওলীয়ম মুর্শিদ/গুরু/পীরের এবং তাদের ভক্ত-অনুসারী পাগল-মস্তানদের মাথার চুল-গোঁফ আর অন্যান্য সাধারণ মানুষ বা আলেম- মোল্লাদের চুল-গোঁফ এক নয়। চুল বড় রাখলেই যদি মেয়ে হয়ে যায় তবে তো নবীজি (সাঃ) বা অন্যান্য নবী-রাছুলগণকেও তো তাই বলা হলো (জাগতিক অর্থে)। নবুয়তে নবী-রাছুল মানেই বেলায়েতে ওলী-আউলিয়া-উনাদের প্রায় পনের আনাই তো বাবরী বা লম্বা চুলের অধিকারী। তবে তারাও কি মেয়ে নাকি ? তবে হ্যাঁ, এ কথা সত্য যে, যারা লম্বা চুল বা বাবরী চুল দেখলে পীর, ফকির-দরবেশ বা তাদের অনুসারীগণকে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করে মেয়ে বলে সম্ভোধন করছে মূলতঃ তারাই হলো মেয়ে, এ কথা একশত ভাগ সত্য এবং এ ধরনের মেয়ে/নারীগণ কখনো বেহেশতে যাবে না। এ ধরনের অজ্ঞ-মূর্খদের বুঝাতে যাওয়া আর ছাগলের কানে মন্ত্র পড়া একই কথা। ওলী-আউলিয়া বা পীর-ফকির, দরবেশদের মাথায় লম্বা কেশ/চুল-গোঁফ তো নবুয়তের যুগের নবী-রাছুলদেরই সুন্নত অনুসরণ-অনুকরণ। যদি কোনো লোক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ, হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে, ঘৃণার দৃষ্টিতে বা অবজ্ঞা করে পীর-ফকির বা ওলী আউলিয়া, দরবেশদের লম্বা চুল-গোঁফের সমালোচনা করে তবে তো প্রকারান্তরে রাছুলপাক (সাঃ)-এরই সমালোচনা করা হলো। যারা রাছুলপাক (সাঃ)-এর সমালোচনা করে তারা সর্বসম্মতভাবে কাফের (ফতোয়ায়ে রহমানিয়া, মমতাজুল ফাতাওয়া)।
হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী করিম (সাঃ) আঠাল জিনিস দ্বারা মাথার চুল জড় করেছিলেন (এহরাম অবস্থায়, এ সময় চুলে চিরুনী করা নিষেধ তাই) তার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে রাছুলপাক (সাঃ) চুল মোবারক বাবরী ছিল (মেশকাত ৫ম খন্ড, ২৪৩৩ নম্বর হাদিস, আবু দাউদ)। হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নবী করিম (সাঃ) এহ্রাম অবস্থায় আপন মাথা ধুইতেন (মেশকাত-২৫৬৫ নম্বর হাদিস, বোখারী, মুসলিমের সূত্রে)। এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, নবী করিম (সাঃ) মাথায় বাবরী চুল রাখতেন (মেশকাত-৩৪১ পৃষ্ঠা)।
হযরত আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা তিনি রাছুলুল্লাহ (সাঃ)-কে বললেন, জনাব ! আমার চুল ঘাড় পর্যন্ত পৌঁছেছে। সুতরাং আমি কি উহাকে আঁচড়িয়ে রাখতে পারি ? তিনি, বললেন, হ্যাঁ, এবং উহাকে যত্নে রাখো। (মেশকাত-৪২৮৩ নম্বর হাদিস)।
হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন – আমার মাথার সম্মুখ ভাগে এক গুচ্ছ লম্বা চুল ছিল। আমার আম্মা আমাকে বললেন, আমি উহা কাটিব না। কেননা, রাছুলুল্লাহ (সাঃ) কখনো কখনো উহাকে ধরে সোজা করতেন (মেশকাত-৪২৬২ নম্বর হাদিস, আবু দাউদ)। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাছুলুল্লাহ (সাঃ) বলছেন, যে ব্যক্তির (বাবরী) আছে, সে যেন উহাকে যতেœ রাখে। (মেশকাত-৪২৫২ নম্বর হাদিস, আবু দাউদ)।
হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন – আমি ও রাছুলুল্লাহ (সাঃ) একই পাত্র হতে গোসল করলাম। তখন হুজুর (সাঃ)-এর মাথার চুল জুম্মার উপরে এবং ওয়াফ্রার নীচে ছিল। এ হাদিসটি তিরমিযীর বর্ণিত এবং মেশকাতের ৪২৬০ নম্বর হাদিস। এ হাদিসটি ইমাম তিরমিযি তাঁর “শামায়েলুন তিরমিযীতে” ২৪ নম্বর হাদিসে তুলে ধরেছেন। এবং ‘শরহুস সুন্নাহ’তে ৩১৩৭ নম্বর হাদিসে বর্ণিত আছে। হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটিকে আবু ঈসা উল্লেখিত সনদ সূত্রে হাসান সহীহ গরীব বলেছেন। উল্লেখিত হাদিসটি আরো কয়েকটি সূত্রে আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। তবে তাতে তাঁর বাবরি চুল কাঁধের উপরে কিন্তু কানের লতির নিচ পর্যন্ত লম্বা ছিল কথাটুকু উল্লেখ নেই। (শেষের অংশটুকু আবদুর রহমান ইবনু আবুয্ যিনাদ তাঁর বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন)। তিনি একজন সিকাহ (আস্থাভাজন) বর্ণনাকারী এবং হাদিসের হাফিজ ছিলেন। মালিক ইবনু আনাস (রাঃ) তাকে সিকাহ বলেছেন এবং তাঁর নিকট হতে হাদিস লিখার নির্দেশ দিতেন (সহীহ ইবনে মাজাহ-৬০৪, ৩৬৩৫)।
হযরত বারাআ ইবনে আযেব (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সাঃ) মধ্যাঙ্গী ছিলেন। তাঁর দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থান প্রশস্ত ছিল। তাঁর মাথার কেশ কানের লতি পর্যন্ত প্রলম্বিত ছিল (২৫ নম্বর হাদিস, অধ্যায় সংখ্যা ৩)। এ হাদিসটি সহীহ মুসলিম-৬২১০, আবু দাউদ ৪০৭৪, নাসাঈ-৫২৩২, মুসনাদে আহামদ-১৮৪৯৬, সহীহ ইবনে হিব্বান- ৬২৮৪ নম্বরে বর্ণিত আছে।
সহীহ মুসলিমে (ইফাঃ) আমর আন-নাকিদ ও আবু কুরায়ব (রহঃ) বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বাবরী চুলধারী, লাল পোশাক পরিহিত কোনো লোককে আমি রাছুলুল্লাহ (সাঃ)-এর চেয়ে সুন্দর দেখিনি। তাঁর চুল কাঁধ স্পর্শ করতো। উভয় কাঁধের মধ্যে দূরত্ব ছিল। তিনি লম্বাও ছিলেন না, বেঁটেও ছিলেন না (হাদিস নম্বর-৫৮৫৬)।
সহীহ বোখারী (তাওহীদ), অধ্যায় – ৬১/মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য। হাদিস নম্বর ৩৫৫১। তাতে অতিরিক্ত বর্ণিত আছে যে, বারাআ ইবনে আযেব বলেন, ‘আমি তাকে লাল ডোরাকাটা জোড় চাদর পড়া অবস্থায় দেখেছি। তাঁর চেয়ে বেশী সুন্দর আমি কখনো কাউকে দেখিনি।’
আল মাদানী প্রকাশনী হতে প্রকাশিত সহীহ ইবনে মাজাহ-৩৫৯৯, তিরমিযী-১৭২৪, সুনান তিরমিযী-১৭৩০ নম্বর হাদিসে মাহমুদ ইবনু গায়লান (রহঃ) বারাআ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, লাল (জুড়িদার) পোশাক পরিহিত কাঁধ পর্যন্ত চুলে অধিকারী কোনো ব্যক্তিকে রাছুলুল্লাহ (সাঃ) অপেক্ষা সুন্দর দেখিনি। তাঁর চুল কাঁধে এসে পড়তো। তাঁর দু’কাঁধের মধ্যবর্তী স্থান ছিল প্রশস্ত। তিনি খর্বাকৃতির ছিলেন না আবার দীর্ঘাঙ্গীও ছিলেন না। এ হাদিসটি জাবির ইবনে সামুরা, আবু রিমছা ও আবু জুহায়েব (রাঃ) থেকেও বর্ণিত হয়েছে। ইমাম আবু ঈসা (রহঃ) বলেন, এ হাদিসটি হাসান সহীহ। সুনান আত্ তিরমিযীর ১৭২৪ নম্বর হাদিসের বর্ণনায় রয়েছে, “লাল জামা পড়ে থাকাবস্থায় রাছুলুল্লাহ (সাঃ)-এর চেয়ে কোনো বাবরী চুলবিশিষ্ট সুন্দর মানুষ দেখিনি।”
একই হাদিস আধুনিক প্রকাশণীর বোখারী-৩২৮৭, ইফাঃ-৩২৯৬ নম্বর হাদিসে বর্ণিত আছে।
ওহাবীদের নেতা মৌলবী আশরাফ আলী থানবী তার ‘বেহেশতী জেওর’ কিতাবের ২৪৬ পৃষ্ঠায় বলেছেন, “যদি কেহ মাথার চুল কান পর্যন্ত বা কাঁধ পর্যন্ত লম্বা করে রাখে, তবে তাও জায়েজ আছে। তিনি লম্বা চুলকে সুন্নত হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
৩। জুম্মাহ – জুম্মাহ চুলের কোনো হদ/সীমা রাখা হয়নি। কাঁধ অতিক্রম করে অধিক লম্বা চুলকে ‘জুম্মাহ’ বলে। বহু নবী-রাছুল এবং ওলী-আউলিয়াদের সুন্নত ইহা। ইতিহাসে দেখা যায় কোনো কোনো সাহাবা বা ওলীদের চুল হাটুর নিচেও চলে যেতো। তার বহু নজীর ইতিহাসে রয়েছে।