সালমা আক্তার চিশতী
ধর্মের মূল ভিত্তি হলো বিশ্বাস। বলা হয় বিশ্বাস মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। ঈমান আর ইসলাম এক নয় (সুরা হুজরাত-১৪)। ঈমান আনার পর (বায়াত হওয়ার পর) ইসলামে দাখেল হওয়ার জন্য সাধনা করতে হয়। তার জন্য প্রথম সাধনাটিই হলো শয়তানের অনুসরণ না করা (সুরা বাকারা-২০৮)। সুরা বাকারার ২০৮ নম্বর আয়াতেই গোপন ও প্রকাশ্য শত্রু শয়তানের কথা তুলে ধরা হয়েছে। একটি হলো দীলের ভিতর হতে অসওয়াছা দিচ্ছে (খান্নাছ), অপরটি যে লোক শয়তানের/খান্নাছের/মরদুদের/ ইবলিশের গুণে গুণান্বিত সেই লোকটিই হলো প্রকাশ্য শত্রু শয়তান। ঐ মানুষের ছুরতে এবং নামেই তখন শয়তান মূর্তমান হয়ে উঠে। সে মানবরূপে নানা ভাবে মানুষকে পথভ্রষ্ট করে থাকে। সে শয়তান প্রথমেই ঈমানদারের ঈমানের উপর আঘাত করে। যদি ঈমানদারের ঈমান ভাঙ্গতে পারে তবেই শয়তানের কার্য সিদ্ধি হলো। আর ঈমানদারগণ সে শয়তানকে চিনে-দেখে স্বীয় ঈমানকে হেফাজত করে আল্লাহর খাঁটি বান্দায় পরিণত হয়ে যায়।
ঈমান কিভাবে দৃশ্যমান হয় তা জানা দরকার। সাত সেফাত ও পাঁচ জাত যেই মানুষটি নিজ অস্তিত্বের মাঝে হাসিল করেছে সেই ব্যক্তি পরিপূর্ণ ঈমানদার হয়েছে। কারণ, (৭+৫=১২) এর সমষ্টি রূপ-শেকেলই হলো ঈমান। একজন নবী- রাসুল/পীর-মুর্শিদ হলো ঈমান এবং ঈমানের ছুরত। শুধু মুরিদ হলে চলবে না, একজন মুরিদের তরিকতের জগতে চলার মূল সম্পদ হলো ঈমান, তাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, যে স্তরে পৌঁছালে আর বন্দেগী থাকে না (কোরান)। যার ঈমান রয়েছে সে পারে মুক্তির দেশে অবগাহন করতে। মানব গুরু হলো ঈমান, তাকে বিশ্বাস করে যে বায়াত/আনুগত্য স্বীকার করেছে সে-ই হলো ঈমানদার। ঈমানের পূর্ণতা তখনই হাছিল হয় যখন মানব গুরুর প্রতি ঈমান প্রতিষ্ঠিত হয়। ঈমান শূণ্য ব্যক্তি আল্লাহর লানত প্রাপ্ত হয়, তার দ¦ারা এই সমাজ ও সংসারের মাঝে কলহ বিবাদ দেখা দেয়। ‘যার মুর্শিদ নেই তার মুর্শিদ হলো শয়তান।’ (শানে হাবিবুর রহমান-২০০পৃঃ)।
যারা প্রকৃত ঈমানদার তাদের অবস্থান এইরূপ হবে, বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ) বলছেন – “তোমার অন্তরকে সংশোধিত ও পরিশুদ্ধ কর, অবশ্যই প্রতি নিঃশ্বাসে তোমার সাথে আল্লাহর সাক্ষাৎ ঘটবে”। প্রকৃত ঈমানদার তা বুঝতে পারবে। কারণ, সে মোহমুক্ত হওয়ার সাধনায় কামিয়াব তথা বস্তুমোহের উপরে বাস করে। যেমন – পানি বাষ্প হয়ে বাতাসের সাথে মিশে থাকে তেমনি ঈমান একজন মানুষের দিল হতে উদয় হয়ে ভিতর বাহির ঐক্যতায় স্থিত হয়ে যায় বা ওয়াজেব-এমকান ঐক্যতায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে ঈমানের সুরত প্রকাশ করে, যাকে বলে শাজারাতুল ইয়াকিন। যারা একাগ্র চিত্তে সাধনা করতে পারে তারা নির্ভেজাল ভাবে ঈমান ধরে রাখতে পারে। ঈমান ধরে রাখার মাঝে রয়েছে জান্নাতের সুখ আর যারা ঈমান ধরে রাখতে পারে না তাদের অবস্থানের দুর্বিষহতা দেখলে মানুষ আর পাপ কর্ম করতো না। কোরানের মাঝে বলে দেওয়া হয়েছে ‘তাদেরকে দেখলেই চিনা যাবে’ (সুরা রহমান)। যেমন – বালুর মাঝে লোহার গুড়া মিশ্রিত থাকে, চুম্বক নিয়ে বালুর মাঝে ধরলে লোহার গুড়াগুলো আলাদা করা যায় তেমনি যারা ঈমানদার হবে তারা এই নাসুতের জগতের ভেজালগুলো এড়িয়ে নিজ ঈমান অর্থাৎ নিজ মুর্শিদকে ধারণ করতে পারবে।
কারণ, এই নাসুতের দরিয়ার মাঝে নিজ ঈমানকে ধরে রাখতে হলে চুম্বকের মতো আকর্ষণ শক্তি অর্জন করতে হবে। দুনিয়ার সুখ বা বিষয়-বাসনা যদি মনের মাঝে প্রধান হয় তবে আর গুরুর প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হবে না, ঈমানের দূর্বলতা প্রকাশ পাবে। গুরু ভজন দ্বারাই ঈমানকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। কারণ, গুরু ভজনেই মিলবে মাওলার দর্শন। খোদার দর্শনবিহীন মনই অনিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। মনকে নিজ অস্তিত্বের মাঝে ধারণ করে রাখার মূল হলো নিজ সত্ত্বাকে ফিরে পাওয়া। হৃদয়ের টান আর চোখের জল দ্বারাই ঈমান প্রতিষ্টিত হয়। গুরুর অনুগামী হতে পারলে ঈমান প্রতিষ্ঠিত করা যাবে। কারণ, এই বাহিরের ভাব দিয়ে গুরুকে সন্তুষ্ট করা যাবে না। গুরুকে লাভ করতে হলে একনিষ্ঠ চিত্তে গুরু ভজনের দিকে মনকে নিবিষ্ট করে ধরে রাখতে হবে। হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) ‘আল্ ফাত্হুর রাব্বানী ওয়া আল্ ফায়জুর রাহমানী’ কিতাবের মাঝে বলছেন – ‘তুমি আমার কথা না শুনিয়া স্বীয় নফস ও কামনা সাথে লইয়া ইবাদত খানায় বসিয়াছ।
সর্ব প্রথম তোমার প্রয়োজন পীরের সহচর্য লাভ করা। স্বীয় নফস, কামনা এবং আল্লাহ ব্যতীত সকল কিছু হত্যা করিয়া পীরের দ্বারে চাপিয়া বস।’ একজন সাধকের সারাটা জনমই তার নিজ মনকে পাহারা দিয়ে রাখতে হয়। আমার মুর্শিদ হযরত খাজা কাজী বেনজীর হক চিশতি নিজামী তাঁর আলোচনার মাঝে বলতে থাকেন – ‘একজন মানুষের মনই তাকে আউলিয়া বানাতে পারে আবার চোরও বানাতে পারে’। তাই একজন মানুষের কর্ম হওয়া উচিত সর্বক্ষণ নিজ সম্পর্কে চেতন থাকা, তা না হলে এই মনই অচেতন হয়ে একজন মানুষকে ভুল কাজে লিপ্ত করতে পারে। ফজরের আজানের মাঝে বলতে থাকে “আচ্ছালাতু খাইরুম মিনান্নাউম” অর্থাৎ ঘুম হইতে নামাজ ভালো। যারা অচেতনের ঘুমকে জয় করে সর্বক্ষণ নামাজে তথা চেতনের ঘরে থাকতে পারে তারা পরিপূর্ণ ভাবে ঈমানকে হেফাজত করতে পারে। এই পারাটার মাঝেই রয়েছে এই মানব জনমের স্বার্থকতা। স্বার্থকতা না থাকলে মানব জনমের পূর্ণতা হাছিল হয় না। স্বার্থক জনম হবে তখনই যখন মন নিয়ন্ত্রন হবে গুরু জ্ঞানের আলোকে। যেমন – আলোর উৎস হলো সূর্য, তেমনি নফসের কালো আধার কেটে গেলে রূহ নামক সূর্যের আলো মানব অজুদকে নূরে নূরান্বিত করে তুলবে। যেমন – মাটির নিচে অনেক জীব বাস করে থাকে, খাবারের খোঁজে ও বিভিন্ন প্রয়োজনে এরা মাটির নিচ থেকে বের হয়, আর যেই সমস্ত জীব মাটির নিচেই বসে থাকে তারা অকালেই মৃত্যুবরণ করে থাকে। তেমনি সমাজের বেশির ভাগ লোক তারা ঈমানের আলোকে গ্রহন করতে পারে না, তারা হায়ানী আত্মার গর্তে লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে, এইরূপ অবস্থানের কারণে তাদের ইনসানি আত্মা হারিয়ে যায় (সুরা আনআম)। তাদের অবস্থান সম্পর্কে তারা অচেতন, ঠিক পশুর ন্যায়।
ঈমান যেদিন পূর্ণ হবে সেদিন দিব্যদৃষ্টি অর্জিত হবে। সূরা নাহলের ৩৬ নং আয়াতের মাঝে আল্লাহপাক বলে দিয়েছেন – “ওয়ালাকাদ্ বা আছনা ফিকুল্লি উম্মাতির রাছুলান্ আনিবু দুল্লাহা ওয়াজ্তানিবুত্ তাগুতা” অর্থাৎ এবং অবশ্যই আমরা প্রত্যেক জাতির মধ্যে একজন রাছুল প্রেরণ করি, যাতে তারা (সে জাতি) আল্লাহর ইবাদত এবং তাগুত বর্জন করে। আর এই রাসুলই হলো একজন মুরিদের/আমানুর ঈমান। রাসুলের অবস্থান হলো দীলে নীলুফারীর দেশে। একজন চেতন মানুষ সর্বক্ষণ দীলে নীলুফারীর দেশে দৃষ্টি দিয়ে রাখে। এই চেতন দৃষ্টিটার মাঝেই রয়েছে আখেরে তার কি ফল হবে তার ভেদ। একজন ভক্ত তার ঈমানের বলেই পুলছিরাত পার হয়ে যাবে। যার ঈমানের গভীরতা যত বেশী সে ততো দ্রুতগতিতে পার হবে। যেমন – পানির উৎস হলো মাটির নিচে সেই মাটির নিচে যদি পানি না থাকে তবে কি আর পানির ট্যাঙ্কির মাঝে পানি ভরতে পারবে ? তেমনি হয় একজন মানুষের অবস্থান তার ঈমানের মূল উৎস হলো মুর্শিদের প্রতি বিশ্বাস, ভক্তি, প্রেম এই তিনটি বিষয়ের একটি যদি না থাকে তবে আর তার ঈমানের পরিস্থিতি ঠিক থাকবে না। এই ঠিক না থাকার নামই হলো অচেতন অবস্থা। যারা চেতন তাঁদের অবস্থান হবে পরকালে, মূলতঃ চৈতন্যতাই পরকাল। এই জগতে তাঁদের দেখলে সাধারণ মানুষ অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারবে। যার আখেরাত সম্পর্কে জানার আগ্রহ রয়েছে বা আখেরাত লাভ করতে চায় সে-ই পারে ঈমানকে হেফাজত করতে।
কারণ, সব কিছুর ভিত্তি হলো ঈমান, ঈমানই হলো শক্তি (ইহা ১৭ সুন্নতের একটি)। এই পারাটার মাঝে রয়েছে জান্নাতি গুণ-খাছিয়তের অবস্থান। হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহঃ) ‘আল্ ফাত্হুর রাব্বানী ওয়া আল্ ফায়জুর রাহমানী’ কিতাবের ২৮নং পৃঃ বলছেন – পীরের রুক্ষ কথা এবং অভাব অনটনের মধ্যেই আমার লালন পালন। তোমরা যখন আমার কোন কথা শোন তখন উহাকে আল্লাহর পক্ষ হইতেই মনে করিয়া গ্রহন কর। কারণ তিনিই আমার দ্বারা বলান। ‘তুমি যখন আমার নিকট আগমন কর তখন স্বীয় অস্তিত্বকে ভুলিয়া আস।’ প্রকৃত ঈমানদারের অবস্থান হবে এইরূপ। আমি অধম এইরূপ হইতে পারি নাই। যারা সাত পাঁচের হিসাব অর্থাৎ জাত এবং সেফাত সম্পর্কে অবগত হয়েছে সে পারে ঈমান শূন্যতাকে ঈমানের পূর্ণতায় নিয়ে আসতে। মুর্শিদের আদেশ নিষেধ নিজ মানব জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারলে মানব জনমে আসবে স্বার্থকতা। এই স্বার্থক জনম হয় চিরস্থায়ী। কারণ, এই জনমটাকে মূল্য দিতে হবে, দেখা গেছে যারা এই জনমটাকে মূল্যহীন করবে তাদের জন্য দোযখের শাস্তি ঠিক ঐ মুহুর্ত থেকেই রেডি হয়ে যাবে। যারা অচেতন জীব অর্থাৎ তাদেরকে আর মানুষ বলা যায় না। যেমন – সাপের মাঝে বিষ দাঁত রয়েছে, কৌশলে যদি সাপের বিষ দাঁতগুলো ভেঙ্গে দেওয়া যায় তবে আর সাপটি ক্ষতি করতে পারবে না তেমনি একজন মানুষের হায়ানী স্বভাবটা হলো সাপের বিষ দাঁতের মতো এই স্বভাবের বিষ দাঁতগুলো ভাঙ্গতে না পারলে ঈমান প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। কারণ, হায়ানী স্বভাব একজন লোক ধারণ করে রাখলে ঐ ব্যক্তির ইনসানী স্বভাবটি পর্দাবৃত (মুদ্দাসসির) হয়ে যায়। অর্থাৎ মৃত্যু হলো পরিবর্তন হয়ে যাওয়া।
আমার মুর্শিদ হযরত খাজা কাজী বেনজীর হক চিশতি নিজামী (কুঃ ছেঃ আঃ) তাঁর একটি গানের মাঝে বলছেন:
জাগো আমার মন, কেনো ঘুমেতে মগন
নইলে বৃথা জীবন, হবেরে আখেরে।
মানুষ কুলে জন্ম পেয়ে কেনো রইলি ভুলে
এই দেহ ভাঙ্গিয়া গেলে দাঁড়াবি কোন কূলে,
তোমার বেঁহুশী জীবন পাবে পশুরই গঠন
দোযখেতে গমন হবে আখেরে।
পেয়ে মন মানুষ আকার, করলিনা তার আচার
অবিচারের বিচার শেষে পাবি পশুরই আকার,
কেনোরে মন তুই হইলি না চেতন
অচেতনে পশুর গঠন হবে আখেরে।
বিষয় বাসনায় সদা ডুবে রইলি ভবে
একদিনও কি ভাবলি মনে আখেরে কি হবে,
দিন থাকিতে মন ভজ শ্রীগুরুর চরণ
নইলে বৃথা জীবন ঘুরবি বারে বারে।
চেতন মানুষ ভবে যারা মায়ার এ সংসারে
সদায় দেয় রূপের পাহারা, থাকে হুঁশের ঘরে,
হবে হুঁশেতে মানুষ, আর বেহুঁশে পশু
হুঁশ হলো না কভু, তাই ভাবছে বেনজীরে।
আখেরে কি রূপ হবে তা এই জনমেই নির্ধারণ হয়ে যাবে। কারণ, কর্ম ফলে ফলাফল ৩৯ বস্তু নিয়ে রেডি হয়ে থাকবে। যারা এই জগতে চেতন মানুষ তারা সদায় রূপের ঘরে দৃষ্টি দিয়ে রাখে। দৃষ্টি দিয়ে রাখার মাঝেই মানুষের ছুরত এবং পশুর ছুরত তৈরি হবে। যেমন – একটি খালি বোতলের মাঝে তেল ভর্তি করতে হলে বোতলটিকে শক্ত ভাবে ধরতে হবে তেমনি একজন মুরিদের অবস্থান হওয়া দরকার। তার মন যদি ভেজাল মুক্ত হয় আর অনুরাগ নিয়ে মুর্শিদের দিকে অগ্রসর হতে থাকে তবেই পারবে ঈমানের নূর ধারণ করতে। এই ধারণ করাটা হয় দুই রকমের, কেউ দীলে মুখে ধারণ করবে আবার কেউ শুধু মুখে ধারণ করবে। যারা অনুরাগের আশ্রয় নিয়ে সাধনা করবে তারা মূল গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। কারণ, পারলে সু-ফলাফল আর না পারলে কু-ফলাফল। যারা অনুরাগের বাহনে দাঁড়াবে তারা অনড় হয়ে থাকবে এই তরিকতের জগতে। তারা সর্বক্ষণ তাদের রূপের ঘরে মনকে নিবিষ্ট করে রাখে। এই মানব জনমটা পাওয়া গেছে অতি ভাগ্যগুণে। গুরু সর্বসময় চাইতেছে একজন মুরিদকে ভক্তে পরিণত করতে। কারণ, যার ঈমানের মাঝে দুর্বলতা রয়েছে সে শিষ্য, ভক্ত হতে পারবে না। যারা অনবরত সাধনা করতে থাকে তারা পারে সৌভাগ্যবান হতে।
যারা নিজ সম্পর্কে গাফেল তারা কোনদিন খোদার দীদার লাভ করবে না, যারা খোদার দীদার লাভ করবে তাদের অবস্থান অতি উচ্চ পর্যায়ে হবে। হযরত খাজা মাঈনুদ্দীন চিশতী (রাঃ) বলছেন “গাফেল হৃদয়ে কিভাবে বন্ধুর দয়া ও ভালোবাসার আলো জ¦লবে, চেতন হৃদয় ব্যতিত সে নূরের অবরোহন স্থল নেই”। গাফেলতি দূর করাটাই হলো সাধনা, এই গাফেল মনকে যারা সফলতার দিকে নিয়ে গেছে তারাই এই মানব জনমকে সুন্দর করতে পেরেছে।