পত্রিকা – সত্য বড় তিতা – ১০ সংখ্যা ২য় পর্ব

ছালমা আক্তার চিশতী

মনের মাঝে শয়তানের ক্রিয়া থাকলে নিজের সন্তান ও ভাইয়ের সন্তান এক দেখার মতো মনোভাব দীলে থাকবে না। তাই একজন নারীর ধর্ম জগতে যদি তার চাচা বা মামা বাধাস্বরূপ এসে দাঁড়িয়ে যায় তবে সেই নারীর ভাবতে হবে তার সামনে প্রকাশ্য শত্রু শয়তান এসে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাবা-মা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, সন্তান হলেও তারা হবে মানবরূপী শয়তান। দুনিয়ার স্বার্থপূরণ করতে গিয়ে মা ও বাবা সন্তানের দিকে ফিরে তাকায় না। আমি জাগতিক জগতের কথাই বলি যেমন – একটি মুরগির যখন বাচ্চা ফুটে তখন দেখা যায়, মুরগির বাচ্চাকে কোন মানুষ বা জীব-জন্তু ধরতে আসলে মুরগি তার বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য তার সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে। যারা ব্যক্তিস্বার্থ পূরণ করতে গিয়ে সন্তানের কথা ভুলে যায় সেই বাবা এবং মা সামান্য একটি মুরগির চেয়েও নিকৃষ্ট। বাদুর যেমন যেই মুখ দিয়ে খায় আবার সেই মুখ দিয়ে পায়খানা করে, কিছু কিছু মা বাবার আচরণ ঠিক বাদুরের ন্যায়। ব্যক্তিস্বার্থ পূরণ না হলে চেহারা হয়ে যায় পেঁচার মতো। জগতের    আত্মীয়তা ক্ষণস্থায়ী, চিরস্থায়ী অবশ্যই নয়, যদি না একই গুরুর অনুসারী হয়। প্রবাদ বাক্যে রয়েছে ‘অর্থই হলো অনর্থের মূল।’ সম্পর্কের মাঝে পরিবর্তন আসে বিশেষ করে ব্যক্তিস্বার্থের কারণে, অর্থের মোহে বিবেক-জ্ঞান হারিয়ে ফেলার কারণে। তাতে মানুষ নিজ মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলে।

অর্থের যেই অহংকার তা ভাঙতে হলে গুরুর দয়া থাকতে হবে। যারা ব্যক্তিস্বার্থের পূজা করে বা বিষয়-সম্পদের পিছনে দৌঁড়াতে থাকে তারা গুরু ভজন করতে পারে না, মুক্তির দরজা তাদের জন্য কখনো খুলবে না। নিজ মনের পরিবর্তন আনতে না পারলে গুরু ভজন হয় না। গুরু ভজনের মাধ্যমেই একামাত্র মুক্তির পথ পাবে,  সে ওয়াদাই করে এসেছি (সুরা হিজর-১৭২)। গুরু কখনো ভক্তের জাগতিক জগতের উন্নতির জন্য দোয়া করতে পারেন না। যারা ভক্তের জাগতিক জগতের ধন-সম্পদের জন্য দোয়া করে ওরা গুরুই নয়, কখনো হতে পারে না। তবে আল্লাহর অলীদেরকে/গুরুকে যারা অতিরিক্ত কষ্ট দেয় তখন ঐ লোকটির জন্য দোয়া করেন, যেন তাকে প্রভূত ধন-সম্পদ দান করেন। তার কারণটি জেনে নিন সুরা হুমাযা পড়ে। কারণ, এ দুনিয়ার ধন-সম্পদই তার আখেরাতের জন্য পাহাড়সম বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। বিশ^াস না হলে একজন ধনী লোককে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন অথবা লক্ষ্য করে দেখতে পারেন তার মানসিক পরিস্থিতি কেমন, সে কি নিয়ে ব্যস্ত দুনিয়া না আখেরাত। যাক, আত্মসুখ গুরুর নিকট বিসর্জন দেওয়ার নামই হলো ধর্মবোধ জাগ্রত করা। সমাজ এবং সংসারের মানুষ একজন নারীকে দূর্বল ভাবতে পারে কিন্তু অনুরাগ সাধনার বলে একজন দৈহিক নারী হাকিকতে পুরুষে পরিণত হয়। একজন নারী সমাজের এই অন্ধকার দেওয়ালকে ভাঙতে পারে। হযরত রাবেয়া বসরী (রাঃ) তিঁনি দৈহিক নারী হলেও হাকিকতে তিনি পুরুষ। অন্যের বাড়িতে সারাদিন কাজ করেও সারা রাত খোদার ধ্যানে কাটিয়ে দিতেন। আমার মুর্শিদ হযরত খাজা কাজী বেনজীর হক চিশতী নিজামী বলছেন – নারীদের মাঝে আউলিয়ার সংখ্যা বেশি।

রাসূলের (সাঃ) যুগে নারী স্বাধীনতা ৪১ পৃঃ বর্ননা করা হয়েছে –

 “রসূলের (সা.) যুগই আমাদের জন্য স্থায়ী আদর্শ যুগ। জ্ঞানের এই সমুন্নত উৎসসমূহ থেকে জ্ঞানার্জনে আকাঙ্খিত থাকা উচিত। নারীদেরকে প্রখ্যাত ও জ্ঞানসমৃদ্ধ শিক্ষকদের নিকট থেকে জ্ঞানার্জনে বাধা দেয়া উচিত নয়। কিংবা পরুষদেরকেও প্রখ্যাত ও জ্ঞান সমৃদ্ধ কোন মহিলা শিক্ষকের নিকট থেকে জ্ঞানার্জনে বাধা দেয়া উচিত হবে না।”                

“পুরুষদের সাথে একই মজলিসে জ্ঞানার্জন করার ব্যবস্থা বর্জন করতে চাচ্ছিল বলে নারীরা একটি নির্দিষ্ট দিন দাবি করেছিল, তা নয়। বরং এই একই মসজিদে পুরুষদের জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি তারা আরেকটু ব্যাপক ও বিস্তৃত সুযোগ লাভ করতে চাচ্ছিল। তাই ঐরূপ একটি দিন নির্দিষ্ট হওয়ার পরও তারা মসজিদ ও ঈদের মাঠে উপস্থিত হয়েছে এবং পুরুষদের সাথে মনোযোগসহকারে জ্ঞানের কথা ও উপদেশবাণী শুনেছে।”

বর্তমানে আলেম-মোল্লাদের শিক্ষা এবং পর্দা নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে নারী জাতির এবং সমাজকে পথভ্রষ্টের দিকে দ্রুত ধাবিত করছে। তাদের ফেরকাবাজির ডিগবাজিতে মানুষ পথভ্রষ্ট হচ্ছে। তা বোধ সম্পন্ন লোকেরা ঠিকই বুঝতে পারছে। ইসলাম নারীদেকে শালীনতার মধ্যেই স্বাধীনতা দিয়েছে কিন্তু মৌলবী সমাজ নারীদের স্বাধীনতা হরণ করেছে তাদের অজ্ঞতা এবং ব্যক্তি স্বার্থের জন্য। ব্যক্তিস্বার্থ থেকেই সমস্ত দ্বন্দ্ব-বিভেদ সৃষ্টি হয়। যেমন – একটি ঘর তার মাঝে দরজা থাকে, ইচ্ছে মতো দরজা খোলা যায় আবার সেই দরজা তালা দিয়ে বন্ধ করে রাখা যায় ঠিক তেমনি মনে করে মেয়েদেরকে তাদের ইচ্ছে মতো চালাবে। যেমন – মেয়েরা শোকেসে সাজানো পুতুলের মতো। আঠারো বৎসরের পর থেকে মেয়েরা স্বাধীন ভাবে চলা ফেরা করতে পারবে। কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা হলো মোল্লাপন্থি, এই দুর্বল সমাজ ব্যবস্থার জন্য মেয়েরা স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে না। সেজন্য দায়ী পুরুষের ভোগবাদী অনিয়ন্ত্রিত মন মানসিকতা।  সেই ক্যান্সারে আক্রান্ত সমাজে মুক্ত মনে মুক্ত জ্ঞান আহরণ করা কষ্টকর। যদি দ্বীনে মুহাম্মদীর শিক্ষা সমাজে থাকতো তবে অন্ধ-মূর্খদের এ ধরণের দৌরাত্ম মোটেও থাকতো না।

রাছুল পাক (স).-এর সময় নারীদের স্বাধীনতা একদল আলেম-মোল্লা নামধারীদের কারণে ভুলুণ্ঠিত হচ্ছে। মুখ খোলা রাখা, হাতের কব্জী এবং পায়ের কণ্ঠার নিচে খোলা রাখা রাছুলের যুগের সুন্নত। কিন্তু মোল্লাদের আইন তার বিপরীত। রাছুলের সাথে মেয়েরা মসজিদে, ঈদের জামাতে নামাজে শরীক হতো। মেয়েরা মসজিদে নববী ঝাড়– দিতো, মেয়েরা যুদ্ধাহতদের সেবা-শুশ্রুষা করতো- রাছুল (স). নিজেও খেদমত করতেন, মাথার উকুন বেঁচে দিতো, চুল আচঁড়িয়ে দিতো, সাহাবাগণ প্রয়োজনে মেয়েদের নিকট বা মেয়েরা সাহাবাগণের নিকট যেতো এবং তাদের সাথে কথাবার্তা বলতো, মেয়েরা   আত্মীয়স্বজনের মেহমানদারী করতো, তাদের সাথে একত্রে বসে খাবার খেত, সাহাবাদের সাথে ছালাম বিনিময় করতো, কুশলাদি জিজ্ঞেস করতো, স্বামীদের সাথে কাজে যোগদান করতো। উম্মে শরাইক একজন ধনী আনসারী মহিলা ছিলেন দান-সদকার ব্যাপারে তিনি খুবই উদারহস্ত ছিলেন। তাঁর বাড়িতে মেহমানের ভীড় লেগেই থাকতো।  কোনো পরামর্শ সভায় মসজিদে যোগদান করতো, রাছুল স. এর স্ত্রীগণ ছাড়াও অন্য মেয়েরা জমিতে কাজ করতো ইত্যাদি পুরুষের পাশাপাশি মেয়েরা জ্ঞানার্জন করতো, মেয়েদের নিকট হতে পুরুষগণ জ্ঞানার্জন করতো। যেমন, হযরত ফাতেমা (আঃ) হযরত আয়েশা (রাঃ) নিকট হতে অনেক সাহাবাগণ জ্ঞানার্জন করেছেন। আর মোল্লাদের আইন তার বিপরীত চলছে। এ ধরনের বলতে গেলে বহু কিছুই নেই যা রাছুলের যুগে ছিল। সুরা নূরে বলা হয়েছে, “যারা চরিত্রবান, সরলমনা ও মুমিন নারীদের উপর অপবাদ দেয় তাদের প্রতি দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহর অভিসম্পাত।”  সুরা বুরজের বলা হয়েছে, “যে সব লোক ঈমানদার  পুরুষ ও ঈমানদার নারীদের উপর নিপীড়ন ও জুলুম-নিয়ার্তন করেছে এবং তার জন্য আল্লাহর নিকট তওবা করেনি, তাদের জন্য জাহান্নামের শাস্তি ও প্রজ¦লিত অগ্নিকুন্ডের সাজা রয়েছে।” এ ধরণের অন্ধ-মূর্খদের থেকে দ্বীনে মুহাম্মদীকে রক্ষা করার জন্য  আধ্যাত্মিক ধর্ম জ্ঞানীদের এগিয়ে আসা বর্তমানে জরুরী হয়ে পড়ছে।

বর্তমান সারা বাংলায় একজনই আছেন যিনি আধ্যাত্মিকতার প্রাণপুরুষ, মহাসাধক, লেখক হযরত খাজা কাজী বেনজীর হক চিশতী নিজামী (মাঃ জিঃ আঃ) যিনি পথভ্রষ্ট মানুষকে দ্বীনে মুহাম্মদীর সেই জ্ঞান দান করে মুক্তির পথ বাতলিয়ে দিচ্ছেন। তাঁর রচিত বইগুলো দ্বীনে মুহাম্মদীর এক অমূল্য সম্পদ। মোল্লাতন্ত্র যে ইসলাম নয়, নিছক ফেরকাবাজি তা তিনি প্রমাণ করেছেন। রাছুলের (স.) যুগে নারীদের অবস্থা আর বর্তমান নারীদের অবস্থা যে কতো বিস্তর প্রভেদ তা জানতে চান তবে আরব বিশে^র সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক আবদুল হালীম আবু শুক্কার লেখা ‘রাছুলের স. যুগে নারী স্বাধীনতা’ কিতাবটি পড়ে দেখতে পারেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ বইটি ৪ খন্ডে বাংলায় অনুবাদ পাওয়া যায়। কোরান ও হাদিসের আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নারীদেরকে নিয়ে ওহাবী-কওমী আলেম-মোল্লাদের বিকৃতির ডিগবাজি খেলাটি পরিস্কার বুঝতে পারবেন। যুগে যুগে তারা কিভাবে রাছুলের স. এর নীতি আদর্শকে পরিবর্তন করেছে এবং ফেরকার বেড়াজালের শৃঙ্খলে, ঘরের চারি দেয়ালে আবদ্ধ করে নারীদেরকে অবরুদ্ধ করছে তার আলোচনা দেখতে পাবেন।

সুরা হজ্জের ৭৮ নম্বর আয়াতটি হলো, “দ্বীনের ব্যাপারে তিনি তোমাদের উপর কোনো কঠোরতা আরোপ করেননি।”  তাহরীরুল মারআ ফী আসরির রিসালাহ্ (রাছুলের স. যুগে নারী স্বাধীনতা) কিতাবের ১ম খন্ডের ৬০ পৃষ্ঠায় চেহারা খুলে রাখার ব্যাপারে বলা হয়েছে, “নারীদের চেহারা খুলে রাখার ব্যাপারে শরীয়তের স্বীকৃতির প্রতি এবং শরীয়তের নির্ধারিত সীমার মধ্যে থেকে পুরুষদের উপস্থিতিতে সামাজিক জীবনে অংশগ্রহণের বৈধতার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুস্পষ্ট দলিলের ভিত্তিতে প্রমাণিত হওয়ার পর তা সঠিক পথে আহ্বানেরই নামান্তর। আমি তাদেরকে (যারা নারীদের মুখ খোলা রাখা হারাম জানে) শরীয়তের আহকামের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যার ব্যাপারে ও হাদিস শরীফে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে সে বিষয়ে সতর্ক করবো। কোরানে বলা হয়েছে, “হালালকে হারাম মনে করা হারামকে হালাল মনে করার সমতুল্য।”এ দুটোই শরীয়তের দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য। রাছুল (স). যখন নারীদের চেহারা খুলে রাখা ও সামাজিক কর্মকান্ডে তার অংশগ্রহণের কথা বললেন তখন মুসলমানদের কল্যাণের উদ্দেশ্যই ছিল।

জীবনের কল্যাণের পথে সহজে ফিরে যাওয়া এবং নারীদের সামনে সৎকর্ম করার সুযোগ সৃষ্টির দ্বার উন্মুক্ত করাই তার লক্ষ্য ছিল। তা হবে জ্ঞানার্জন, শিক্ষা, অর্থ উপার্জনে দূর্বল স্বামী বা সংসারের সহযোগীতা, উত্তম সামাজিক কাজে ও গঠনমূলক রাজনৈতিক অংশগ্রহণ এবং খারাপ কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা। হিজাব পরিধান করা রাছুলের (স). স্ত্রীদের বিশেষত্ব যেমন স্বীকৃত তেমনি সম্মানিত মহিলা সাহাবীগণ রাছুল (স). এর স্ত্রীদের এ ব্যাপারে অনুকরণ করতেন না। রাছুল স. এর যুগে মেয়েরা তাদের প্রয়োজন ও জীবন ধারণের তাগিদে কারিগরি, রাজনৈতিক সমস্যায় অংশ নিতো। কায়িক পরিশ্রম ও কারিগরি ক্ষেত্রে মেয়েরা পশুপালন, কৃষিকাজ, হস্তশিল্প, ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা, নার্সিং, পরিস্কার-পরিছন্নতা ও গৃহকর্মে ব্যাপৃত থাকতো (রাছুলের স. যুগে নারী স্বাধীনতা-১ম খন্ড, ৫৬ পৃষ্ঠা)।   মেয়েদের অধিকার পুরুষের সমতুল্য তবে পুরুষের মর্যাদা অগ্রাধিকার রয়েছে (সুরা বাকারা-২২৮)। বুঝতে হবে কুচক্রিগণ কতোগুলো বানোয়াট হাদিস দ্বারা মেয়েদেরকে মসজিদে এবং ঈদের নামাজে যোগদান করা থেকে দূরে রাখার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতো।

এশার নামাজে একজন মেয়ে আক্রান্ত হলে সেই হতে হযরত ওমর (রা). মেয়েদের মসজিদে যেতে নিষেধ করলেন। যদি তাই হয় তবে  ছেলে-মেয়েদের ধর্ষণ-বলাৎকারের কারণে মাদ্রাসায় যেতেও নিষেধ করা উচিত। শালীনতার ভিতরে নারীদের যে স্বাধীনতা রাছুল (স). দিয়েছেন একদল আলেম-মোল্লা সমাজ তা সেই নীতি আদর্শ পরিবর্তন করে তাদের মনগড়া মতবাদ চালু করেছে এবং নারীদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করছে। কোরান বলছে, মুমিন পুরুষ-নারী একে অন্যের বন্ধু (সুরা তাওবা-৭১)। কোরানের কালাম রূপকের আবরণে আবৃত বা কোরান রূপক সাহিত্য, সে রূপকের আড়ালেই রয়েছে কোরানের জ্ঞান। মাদ্রাসার আক্ষরিক বিদ্যা দিয়ে তা কোনো দিনই বুঝা সম্ভব নয়।

আপন খবর