অনুবাদ – ভালোবাসার চল্লিশ নিয়ম 19&20

পর্ব ১৯ এবং পর্ব ২০ একত্রে
ভাবানুবাদ – লাবিব মাহফুজ

পর্ব ১৯
সাধনায় সাফলতা লাভের পূর্বশর্ত হচ্ছে নিজের মনোযোগ কে সঠিক স্থানে নিবদ্ধ করা। একাগ্র মানসিক তন্ময়তা ও অনুরাগ সাধনার দ্বারা ভক্ত দ্রুত পৌঁছতে থাকে তাঁর অভিষ্ঠ গন্তব্যের দিকে। নিজের মনোযোগ কে সঠিক কেবলা পানে স্থির করা গেলেই ত্বরান্বিত হয় সাফল্য।

পথের চিন্তা বাদ দিয়ে তুমি বরং তোমার প্রথম পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তা করো। মনোনিবেশ করো একদম শুরুতে। প্রথম পদক্ষেপই তোমাকে পৌঁছে দিবে তোমার গন্তব্যে। পথ চলার ক্ষেত্রে এটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ জন্য তুমিই দায়ী থাকবে যদি তোমার প্রথম পদক্ষেপটি হয় ভুল। পথে অভিষিক্ত হও সুন্দর এবং যথাযথ একটি পদক্ষেপের মাধ্যমে।

স্রোতে মিশে যেও না। বরং নিজেই একটি প্রবাহে পরিণত হও। ডুবে যাও সে সমুদ্রে যে সমুদ্রটি প্রেমের। নিজেকে পূর্ণতর প্রেমময় সত্ত্বার পবিত্র চরণ কমলে সমর্পন করে দাও।

প্রভুগুরু তোমাকে মুক্তির পথ দেখাবেন। প্রেমের পথ দেখাবেন।

তুমি শুধু কায়েম করো তোমার পূর্ণতম সমর্পন।

পর্ব ২০
প্রভু আমাদেরকে তৈরী করেছেন তাঁর নিজ চেহারায়। প্রভু স্বয়ং অনন্য সত্ত্বা, তাই আমরাও অনন্য। প্রভু মূর্তিতে মূর্তিমান প্রতিটি মানুষ ধারণ করে এক একটি পৃথক পৃথক সত্ত্বা ও চেহারা। দু’জন মানুষ কখনো একরকম নয়। প্রভুর একত্বের প্রমাণ স্বরুপ তাঁর অস্তিত্বে অস্তিত্ববান মানুষও নির্মিত হয়েছে এক ও অনন্য রূপে।

প্রতিটি মানুষকে অনন্য ও আলাদা আলাদা করে সৃজন করা স্রষ্টার এক মহান পরিকল্পনার অংশ। প্রতিটি মানুষ সতন্ত্র। হৃদয়সমূহ কখনোই একই স্পন্দনে স্পন্দিত হয় না। কন্ঠসমূহ কখনো একই সুরে কথা বলে না। প্রতিটি মানুষের সামগ্রিক অস্তিত্বটিই একটি রহস্যের আধার, যা পূর্ণ সাতন্ত্রে সমুজ্জল। যদি ঈশ্বর চাইতেন যে, সবাই একরকম হোক, তবে তিনি এটা করতে পারতেন।

আপন স্বভাব ও বৈশিষ্টে আপনাকে ফুটিতে তুলতে হবে। সকল সাতন্ত্রতাকে স্বীকার করে যার যার মতো তৈরী করতে হবে বিশ্বাস ভক্তি তথা ধর্মচেতনার বলয়। কারো ওপর চাপিয়ে দেয়া ধর্ম তথা চিন্তা মানেই হলো ¯্রষ্টার পবিত্র পরিকল্পনাকে অস্বীকার করা!

নিজেকে সমুজ্জল করো স্বকীয় বৈশিষ্ট ও আপন স্বভাবের সৌন্দযের্র দৃঢ়তায়।

আপন খবর