লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
1.
নৈকট্যের অভিশাপে, আমি দূরত্ব ভিক্ষা করি,
আর পদ্মা যমুনা নয়, এবার নর্মদা, গোদাবরী!
2.
তোর পদধ্বনী, দিনরজনী, বাজে আমার কানে!
কি করে বল ভালো থাকি, প্রাণ বেধে পাষাণে!
3.
ওগো নিমীলিতা! তব অনিমিখ-আঁখি, হানিলে পাষাণে মির্মির!
হৃদয় বেসাতি ঘিরে, বহিল মরুঝড়, আমি মানিলাম চির-হার!
4.
সখি- এতো সুর, এতো প্রেম এতো মায়াগীতি-
সে বিহনে বৃথা মোর সকল আরতী!
5.
এমন করেই বৃষ্টি নামে মোর শহরে রোজ-
কেউ জানে না কতোটা হই প্রত্যহ নিখোঁজ!
6.
জমেছে হাজারো সন্ধ্যা, ধূধূ রোদে ভরে গেসে দিন!
প্রতীক্ষায় থেমে গেসে নদী, বিবর্ণ! পাতাঝড়া মন!
7.
যেদিন প্রভূ হইবো তব দাস,
সেদিন আমার মুক্তি হবে, মিটবে মনের আশ।
তোমার শত্রুর দাসত্ব বাণে,
আছি বদ্ধ অচেতনে,
তুমি যদি রাখ চরনে, তবেই ত্যাজিব কন্টক পাশ,
আমায় তোমার দাস করে নাও, এ মোর অভিলাষ ।
8.
আমার ইদ তো প্রভু তোমার চরণ পরশনে,
নিরবধি রেখো মোরে রাঙা শ্রী চরণে, প্রভু,
দিও ইদ আনন্দ প্রানে…
9.
যা ছিল অন্তরে,
নিঃশব্দের ভাষায়…
প্রকাশিল সপ্তসুরে,
সুরের মহিমায়।
সুরসাকী মোর প্রাণে আনে সুর
আনে চরণও ছন্দ আনন্দ মধুর,
সে আনন্দে আমি গেয়ে যাই গান,
তব মহিমার, তব রূপ মাধুরীর
যে মহিমায় ঝরে মোর অনন্ত কল্যাণ।
আমি গেয়ে যাই গান।
10.
অরূপ হতে মোর ফুটিয়াছে রূপ
আঘাতে আঘাতে, বেদনায় –
রক্ত আঁখির অশ্রুবানে, পেয়েছি আমারে
জীবনের প্রতিটি দিগন্তরেখায়!
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী