লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
1.
কি অসহ্য জোৎস্না রে আজ,
ঘরে কি থাকতে দিবে না?
এত রূপ, এতো আলো, এতো কারুকাজ
কি করে পাশরী, প্রাণে তো সহেনা?
2.
জিবন পত্রে দিলাম প্রভু তোমায় নিমন্ত্রণ
মরণ দুয়ারে এসো আমায় করতে আলিঙ্গন!
3.
আমার হৃদকমলে চরণ তঁব পরবে বলে সখি
আমি দুয়ার খুলে অষ্টপ্রহর আশায় বসে থাকি।
4.
আবার বাসযোগ্য হও বসুমতি
ফিরিয়ে দাও প্রিয়জনের আলিঙ্গন,
প্রভু – অভিশাপ তব আশীষ করো
জীবন করো, শঙ্কাবিহীন।
5.
বুকেতে যার নিশায় বেঁধা বাণ,
সেই জানে তার কতো অভিমান!
কত ব্যাথার ভার, লুকায়ে বক্ষে জানি
প্রতি নিশার শেষে, দেয় তবু হাতছানি!
কত সে সুখের! দুরু দুরু প্রাণ –
একটু ভালোবাসা! একটু কাঁদার আহ্বান!
6.
মরে যাওয়া পৃথিবীটাকে মরতে দাও
মরে মরে আবার ফিরে পা’ক প্রাণ।
তাই মরে, যা ইতোমধ্যেই মরে আছে
অমরত্বকে নবকিশলয়ের প্রাণপ্রাচুর্য নিয়ে
পল্লবিত হতে দাও-
হতে দাও চির আয়ুষ্মান।
7.
হৃদয় যদি আকুল হয়
বাহির কি আর বাঁধে,
সকল কাজই পূণ্য হেথা
যেথা পরাণ তারে সাধে।
8.
দুঃখটাকেই তো ভালোবাসি! করুণ আঁখিচাওয়া
থমকে যাওয়া হৃদয়, সজল, নির্ঘুম, রাতগুলো,
এ যে প্রেমের মহাদান, শত প্রতীক্ষায় পাওয়া
নিযুত করুণাদীপ, নির্ঘুম, জ্বলে এলোমেলো!
9.
আমায় গ্রহণ করতে দাও মৃত্যুর স্বাদ
ওষ্ঠ নিমজ্জিত হোক বিষের পেয়ালায়,
শ্বাস প্রশ্বাসে পাই তোমার অনুভব
কি করে থাকবো, জীবিত এ ধরায়….
10.
আমি অভিযোগ করছি, যেনো আমার ধ্বংস হয়….
যখন থাকবি না তুই আমার কাছে
যদিও তুই’ই আমার সৌভাগ্য, তবু সর্বনাশও
জানি, তোর’ই হাতে লিখা আছে।
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী