লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
1.
পেয়েও তারে পাইনি আজো
আর কি করে পাবো তায়?
কেমনে তারে ধরবে আঁখি
নয়ন মাঝে যে লুকায়??
2.
প্রভু –
দোযখ জ্বালায় জ্বলবো আমি
তুমি যদি রহ সাথে,
কি হবে দিয়া সুখ সুধা-রাশি
তুমি হীনা জান্নাতে!
3.
যেদিন শূণ্য বীণা বাজবে আবার
ভগ্ন দেউল সাজবে আবার
রাঙবে আবার নতুন উষা
নূতনাদিত্য নব প্রাণ –
আমিও সেদিন নতুন স্রোতে
ভাসাবো মোর তরীখান!
4.
ওগো মোর পাপের কারিগর!
আপন নেশায় আপনি মেতে
আপন সীমায় – চিত্তপাতে –
পাপের তরী বাঁধলে ঘাটে
সেধে মোর দেহের কূল-ধার!
আমায় পাপী করে, পাপহরণী –
হলে – প্রবুদ্ধ-সুন্দর!
আমার প্রাণ- সীমন্ধর!!
5.
আমি হিয়ায় রেখে রূপ সরোবর
কোন ঘাটে আর নোঙর করি,
আমি প্রাণে বেঁধে প্রাণ-প্রতিমায়
কোন দেউলে খুঁজে ফিরি?
6.
প্রেম; মুক্ত করো আমায়
আমার হতে –
অতঃপর আনো বন্ধন –
পরমের বৃন্তে!
প্রেম; আমি তব মহিমায়
ত্যাজিয়া আপনারে –
বাঁধিবো ফের নিজেরে বাধনে
তাঁহার শ্রীচরণ ধারে!
7.
আমি অনন্ত হতে অন্তর পানে
ফিরে আসি বারেবার –
বদ্ধ-আঁখি খুলে দেখি – আমার
আঁখির কোনেই বসত তাঁর!
8.
অনন্তকালের স্তব্ধতা (শক্তিশালী রাত্রি) ভেদ করে
দিকে দিকে বেজে উঠলো প্রণয়ের দামামা!
নিশিথ প্রিয়া! তার অবগুন্ঠন ত্যাজি –
সামনে এসে দাড়ালে! ভীত চকিত প্রেমিক প্রাণ –
শাখ-ই-নাবাতের গভীর পরশ-প্রশান্তিতে
হাফিজের বল্গাহারা কাব্যসুন্দরীর মতোই, প্রবাহিত হলো
প্রণয় গাঁথা! মুহাম্মদের অন্তর জুড়ে!
9.
আমার অস্তিত্বে আজ মৃত্যুর পিপাসা
দন্ডদাতা! কেনো তুমি দূরে –
হৃদয় রুধিরাক্ত! চাই নির্মম মৃত্যু
জল্লাদ! তব তলোয়ারে –
দেখি কতো জোর!! পোক্ত বাজু দুটি
কর উত্তোলন! হানো মরণ দংশন শিরে!
সমর্পণের আকুলতা! তৃপ্ত হউক প্রাণ
শাশ্বত গন্তব্যে! মরণ অভিসারে!
10.
দিকে দিকে আজ এতো আয়োজন
শুধু তোমার প্রণয় পরশ লাগি,
আকাশ বাতাস আজ সুরে আর গানে
শুধু যে তোমার তরে রয়েছে জাগি!
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী