লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
1. আপন অহংকার নিবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গেই প্রকাশিত হয় প্রভুর পরম প্রবৃত্তি।
2. অজ্ঞানতার অন্ধকারে আছন্ন যার দৃষ্টি, সে কি করে উপলব্ধি করবে জগতের পলে পলে বিরাজিত অনন্ত মহত্ত্বকে?
3. প্রতিটি মহাপুরুষের প্রাণ’ই একই সঙ্গে জগতের সকল কঠোরতা ও কোমলতাকে ধারন করে। বজ্রকঠোর কিংবা কুসুম কোমল সকল অবস্থাই তার আত্মগত। অথচ সে চরম নির্বিকার, নির্লিপ্ত।
4. যখনই মানুষ প্রভুর স্বভাবকে ভুলে আপনত্বে ধারন করেছে কামনা বাসনা বা রিপুর প্রভাব সম্বলিত স্বনির্মিত স্বভাব, তখনই সে হারায় তার সকল লক্ষ্য। ফলে তার জীবন হয়ে ওঠে শুধুই একটি বোঝা।
5. জগৎগুরু সবসময়ই তার অপার করুণাশক্তিতে ভক্তদের হৃদয়কে বহির্জগৎ থেকে ফিরিয়ে তার অন্তর্জগৎ এর দিকে ঘুরিয়ে দেন। যেখানে সে উপলব্ধি করে তার অনন্ত পরমগুরুকে।
6. প্রতিটি মানুষগুরুই জগৎগুরুর অনুগ্রহ শক্তি-সঞ্চারিণী প্রতিরূপ। মূলত এক উৎসধারার অভিন্ন প্রকাশ।
7. গুরুর পূর্ণস্বভাবে যিনি অধিষ্ঠিত, তিনিই জগৎগুরুর মূর্তরূপ বা প্রকট রূপ।
8. গুরুর পূতঃস্পর্শে তুমি যদি নিজেকে পূতঃপবিত্র করে গড়ে তুলতে সক্ষম না হও, তবে ধিক তোমার এ মানবজন্মকে।
9. স্বরূপ শক্তির পূর্ণ উপলব্ধিই হলো জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞান। যে জ্ঞান প্রতিটা মানুষকে অতিমানুষ করে তোলে।
10. পূর্ণ বিশ্বাসের মধ্যেই বিরাজ করে পূর্ণজ্ঞান। বিশ্বাস পূর্ণ না হলে কখনোই জ্ঞান পূর্ণ হবে না।
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী