লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
1.
আমার ভাগ্য লেখা হোক –
আমি চিরকাল, বিরহ প্রেমের
অযাচিত পরিব্রাজক!
2.
নিতান্তই আমার, সরল স্বীকার
প্রাণের বাসর ব্যাপী, তব অধিষ্ঠান,
ভক্ত প্রাণেতে মোর, ভক্তি অনিবার
হে প্রভূ, হে নাথ, হে ভগবান!
3.
ভেদী কংস কারার দ্বার
এসো নব যুগাবতার –
এসো অস্তিত্বে, বিপুল সংগ্রামে
হস্তে ধরি – জুলফিকার!
এসো নাথ, নারায়ণ – ভাঙ্গি, অর্গল পাষাণ
আনো আঘাত ভীষণ – মৃত প্রাণের পর!
আজ হউক সবার মোহঘুম দূর!
4.
প্রপঞ্চ পাপড়ী মেলে,
পূজারীর দেউলে
প্রতিমা সম ও শ্রী মুখ হেরী –
চান্দের প্রদীপ জ্বালি,
হৃদয় আকাশে
জাগিয়া-জাগিয়া, নিশিত বিভাবরী!
5.
আজব বাসনাগুলো আমার!
উঁকি দিতে গিয়েছিলাম স্বর্গে!
মাথায় ভেঙ্গে পড়লো –
তিনশো তেরটি পুলসিরাত!
শার্টের বোতাম দুটো খুলে,
বুকে চেয়েছিলাম নরকের হাওয়া!
প্রবল বেগে তেড়ে এলো –
তিনশো তেরটি আবহায়াত!
6.
চাই পথের ধারের পান্থশালা, ভর পেয়ালা, শারাব -সাকী!
চাই না যেতে মন্দির মসজিদ, লোভের বুলি! প্রেমের ফাঁকি!
বে-দীল প্রিয়ার পরশ তরে, বেহেশত-দোযখ পায়ে ঠেলি!
জনমভরা নয়নধারা-য়, লইযে দীলের দেউল তুলি!
আমি এক চুমুকের নেশায় কাটাই, হাজার জনম – পলক আঁখি!
7.
আততায়ী!
হাতে বিষাক্ত খঞ্জর
হয়ে চির পাষান,
হানো প্রবল মুদগর!
ফেরার তো পথ মোর রুদ্ধ –
সঁপেছি নিজেরে, ওগো তব তরবারী
চালাও অবিরাম, ভেদী বক্ষোপরি
তব আঘাতে এ প্রাণ, হোক পরিশুদ্ধ!
8.
কে পাপী আর কে পূণ্যবান, করেনিকো ভেদ কভূ!
সকলের অন্তরে গড়েছে প্রেমের, বেসাতি আমার প্রভু!
হয়ে তারি দাস বিভেদ বিষাদ, বুনিতেছি মনে ফের!
ভূলি মহাপ্রেম, হই অমানুষ, করিতেছি অধর্ম সার!
9.
ঐ দূর গোধূলীল স্বর্ণবাসরে
আমি হেরী রুপ মাধূরী দীপ্তকারে
প্রিয়ার রূপ পসরায় –
যেদিকে যায় মোর এ দুটি আঁখি
সেদিকেই দেখি মোর প্রাণ সখি
দৃষ্টিপথে, জগত কানায় কানায়।
10.
হে দয়াময়, দয়াল আমার
তব শ্রীচরণে ভিক্ষা চাহি অনিবার!
মোর দুনয়ন মাঝে, যেনো দিবানিশি রাজে
অনন্ত মহিমাধারী শ্রীরূপ তোমার।
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী