লেখক – নূর মেহেদী আব্দুর রহমান
কুরআনুল কারীম নূরের জ্যোতি
মহা আধ্যাত্ম ইশারা
বাকার হইতে নাছ, গরু হইতে মানুষ
একশত চৌদ্দ সুরা।
লৌহে মাহফুজে সংরক্ষিত কোরান
আল্লাহর হেফাজতে,
মানব মুক্তির সংবিধান সনদ
প্রকাশ এ জগতে।
শেষ সুরাটি নাছ এসেছে
প্রথম সুরাটি গরু,
অজ্ঞানতার প্রমান মানবে
বাকার দিয়ে তাই শুরু।
মানব দেহেতে আত্মগোপনকারী
ষড় রিপুগণ,
অজ্ঞান পাহাড়ের আড়ালে প্রস্তুত
করিতে আক্রমন।
মানুষেতে নিহিত পশুর স্বভাব
নফছে আম্মারা,
মানুষের মাঝেই রুহ হায়ানী
শত্রু আবরাহা।
মোমিনের ক্বালবে আল্লাহর আরশ
অতি পবিত্র স্থান,
ধ্বংস করিতে এ দিল কাবা
সদা যাদের অভিযান।
এক মুহুর্ত সময়ে বান্দা
থাকে যদি বিস্বরণ,
আর ঐ মুহুর্তে নফসানী ওছওয়াছার
জেগে উঠবে আস্ফালন।
আবাবিল পাখী মানুষের এই দম
কংকর আল্লাহর জিকির,
ধ্বংস করিতে পারে আম্মারার ফেল
বদ তাছির এই রুহের।
নচেৎ হইয়ে যায় ধ্বংস এ দিল কাবা
পড়িয়া নফসানী ফেলে,
কালব যায় আধার হইয়া, সৎ আমল
তাছির হয়না দেলে।
স্বীয় উদরের লালা হইতে
মাকড়সায় বুনে জাল,
নীজের জালে নীজেই পড়িয়া
একদিন সে নাজেহাল।
মানুষ দিয়া মানুষ তৈয়ারী
সৃষ্টির আদি কৌশলে,
মোহমায়ায় পড়িয়া মানুষ
স্রষ্টাকে যায় ভুলে।
কোরআনে এসেছে তাই সুরা আনকাবুত
শুন্যের ওপরে ঘর,
বাতাস লাগিলেই নড়বর করে
কি করিবে আসিলে ঝড়।
লোভ লালসায় কাম কামনায়
মোহ বিজড়িত মানুষ,
আনকাবুত এসেছে আল কোরানে
ফিরাইতে মানুষের হুঁশ।
নাহল নামেতে এসেছে মৌমাছি
মৌমাছি আসেনি শুধু,
আশিটা রোগের উপকার করে
তার নাম ঐ মধূ।
নমল এসেছে সমাজতন্ত্র নিয়ে
যার নাম পিপিলিকা,
খাদ্যের সন্ধান পাইলে তারা
খায়না কভু একা একা।
আসিয়াছে কোরান পাকে
সুরা আর রহমান,
আমার কোন নিয়ামতকে মিথ্যা গন্য
কর ওহে জ্বীন এনসান।
জামাদী নাবাতী হায়ানী ইনসানী
রুহু কুদসী পাই,
আল কোরআন ই মহা আধ্যাত্ম ইশারা
তারকা চিহ্ন তাই।
আরও রহিয়াছে জ্ঞানীদের জন্য
হরফে মুকাত্তায়াত,
সাংকেতিক হরফেতে কালাম
সে সকল আয়াত।
হুয়াল আউয়ালু ওয়াল আখেরু
জাহির ওয়াল বাতেন,
অতীত বর্তমান ভবিষ্যত আরও
প্রকাশ্য ও রহিয়াছেন।
বিশ্বাসী ও জ্ঞানীদের জন্য
রহিয়াছে নিদর্শন,
আল কোরানই মহা বিজ্ঞানময়
আধ্যাত্মিক দর্শন।
মওলানা রুমী বলিয়াছেন –
মগজেকোরা মগজেরা বারদাস্তাম
উষ্টকা পেশে ছাগা আনদাখতাম।
কোরানের মগজ আমি চুনিয়া লইয়াছি,
হাড় হাড্ডিগুলো কুকুরের জন্য রহিল।
এই মর্মে একটি গান-
কেহই পইড়া জ্ঞানী হইল
কেই শিখিল ভিক্ষা করা
আধ্যাত্মিক ইশারা কোরান আধ্যাত্মিক ইশারা।
মুন্সি মওলানা মৌলবী, কোরান পড়ার করছে দাবী
করলাম না পীরের পায়রবী, যারা অহংকারে ভরা
কয় পাইছি কোরানের মগজ,
হাড্ডি কামরায় কুকুরেরা।
আমরা বাঙালী মুসলমান, আরবীতে পড়ছি কোরান
হিসাব করি খতম কয়খান বাকী কয় সিপারা।
ছফিনা খতম করিয়া নেকীর পাহাড় গড়া
কি কইলাম কিছুই বুঝলাম না
কেউ বুঝলোনা শুনলো যারা।
আল কোরানের ভেদ রহিয়াছে কামেল মুর্শিদের কাছে
চার তরিকার খবর আছে চাই তার পায়রবী করা।
একদল লোক পতন হবে ওরাও কোরান পড়া।
আর একটা দল উত্থান হবে আল কোরানে জ্ঞানী যারা।
আশরাফুল মাখলুকাতে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষ জাতে
সমাজতন্ত্র নমলেতে পিপীলিকার গড়া
একটি খাদ্য ভাগ করে খায় সবাই মিলে ওরা
আনকাবুতের অক্টোপাশে এই মানুষই আটকে পড়া।
এই দেহেতে আছে কাবা, জ্ঞান চক্ষেতে দেখতে পাবা
ধ্বংশ করতে মারে থাবা ঐ নফছ আম্মারা
দম যেন আবাবিল পক্ষি করছে উড়া ফিরা
আল্লাহ জিকর করে
রুহ হায়ানীর দফাসারা।
তাই কয় রহমান বাউলে, বুঝতাম কথা বাংলায় কইলে
আধ্যাত্মিক জ্ঞানী হইলে মর্ম বুঝতাম মোরা
ভাষা জ্ঞানে সাধারনে শিখছি কয়টা সুরা
যাহা আছে ব্রহ্মান্ডেতে তা আছে এই ভান্ডে ভরা।