লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
1. বাহ্যিক নিয়মে সীমাবদ্ধ থেকো না শুধু, এবার দৃষ্টি নিবদ্ধ করো হৃদয়ের দরোজায়। হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করে আল্লাহর একত্বকে, তবেই তাঁকে চিনতে পারবে।
2. নিজের ছায়াকেই যদি ভয় পাও, তাহলে আলোর উৎস কিভাবে খুঁজে পাবে? প্রকৃত ইনছান তো সেই, যে নিজেকে অন্ধকারে দেখে আর আলোতে চিনে নেয় আপন মাওলাকে।
3. প্রতিনিয়ত প্রভূ কড়া নাড়েন আমাদের দেহতীর্থের দ্বারে। তালাবদ্ধ সে দ্বার না খুলে আমরাই ঘুমিয়ে থাকি সে ডাক অগ্রাহ্য করে।
4. অনাদী অনন্ত যোগে, সৃষ্টিরও বহু পূর্বে, এমন একটি হরফ ছিল, যে এশকের তাড়নায় কাঁদতো। সে কান্না থেকেই সৃষ্টি হয়েছে শব্দ, সে শব্দ থেকেই কলম, কিতাব, তুমি ও আমি।
5. আরেফের গন্তব্য ফানায়, আর প্রেমিকের গন্তব্য বাকায়। প্রেম যেখানে চূড়ান্ত আত্মসমর্পণ, সেখান থেকেই শুরু হয় ‘লা ইলাহা’র গোপন তাফসির।
6. কেবল দেহ নও তুমি! তোমার অস্তিত্বে মিশে আছে এমন এক রহস্য, যদি তা জানতে তাহলে খুঁজে পেতে বিশ্বরহস্যের একমাত্র চাবিকাঠি।
7. আল্লাহকে সেই ভয় করে যে জানে আল্লাহ উর্দ্ধাকাশে। আর যে আল্লাহকে ভালোবাসে সে আপন কাবাকে খুঁজে পেয়েছে।
8. সালাতে তো অনেকে দাঁড়ায়! নূরের শিরণী পায় সেই অল্প ক’জন- যারা কেবল মস্তক নয়, নিজের অস্তিত্বটিকেই ছুঁড়ে ফেলে দেয় ওয়াজহুল্লাহর চিরন্তন গভীর গহ্বরে, সিবগাতাল্লাহর জায়নামাজে।
9. লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তেই অস্তি নাস্তির হরণ পূরণ। সুরা বা হরফ নয়, হৃদয়ের স্পন্দনে যার ধ্বনিত হয় লা ইলাহা, তারই কলমে নূর কালিতে লেখা হয় ইল্লাল্লাহ।
10. তোমার রুহে আছে এমন এক কিবলা, যেখানে প্রতিটি নিঃশ্বাস এক একটি আজান। তবু তুমি শুনতে পাওনা, কারণ, তোমার হৃদয়ের মিনার যে পরিত্যাক্ত!
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী