পত্রিকা – আসরারে পাঞ্জাতন ১ম সংখ্যা

লেখক – কাজী বেনজীর হক চিশতী নিজামী

সমস্ত প্রশংসা সেই মহান জাতপাক আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি সৃজন করেছেন এ বিশ্ব মহিমন্ডল এবং দরুদ ও ছালাত ছালাম তাঁর হাবিব, রাহমাতুল্লিল আলামিন ইমামুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছালাম ও তাঁর আহলে বাইয়েত তথা-
– হযরত মাওলা আলী আলাইহিস সালাম
– খাতুনে জান্নাত মা ফাতেমাতুজ্জাহরা আলাইহিস সালাম
– হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম
– হযরত ইমাম হোসাইন আলাইহিস সালামের ওপর।

কোরানুল কারীমে আল্লাহপাক বলেছেন, “কুললা আছআলুকুম আলাইহি আজরান ইল্লাল মা-আদ্দাতা ফিল কুরবা। অমাঈ ইয়াক তারিফ হাছানাতান নাযিদ লাহু ফীহা হুছনা” অর্থাৎ বলে দিন [হে প্রিয় রাছুল] আমি চাইনা তোমাদের কাছে এই [নবুয়তের] বিষয়ে কোনো পারিশ্রমিক আমার নিকটবর্তীগণের [আহলে বাইয়েত] মা আদ্দাতা [ভালোবাসা] ব্যাতিত। যে ব্যক্তি ইহার [এই আদেশের] সদ্ব্যাবহার করে আমি [আল্লাহ] তার শ্রী ব ৃদ্ধি [বরকত] করে থাকি। [সুরা শুরা – ২৩ আয়াত]। উক্ত আয়াত দ্বারা আল্লাহপাক আহলে বাইয়েত এর প্রতি মহব্বত ওয়াজিব করে দিয়েছেন। সাহাবাগণ উক্ত আয়াত নাযিল হওয়ার পর রাছুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছালামকে প্রশ্ন করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছালাম! কারা আপনার নিকটবর্তী জন, যাদের প্রতি ভালোবাসা আল্লাহপাক আমাদের জন্য ওয়াজিব করে দিয়েছেন? উত্তরে রাছুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছালাম বললেন, “আলী, ফাতেমা, ইমাম হাসান ও হোসাইন” হলো আমার নিকটবর্তী জন। উক্ত আয়াতকে বলা হয় আয়াতে মাআদ্দাত বা প্রাণাধিক ভালোবাসার নিদর্শন।

কোরানুল করিমে সুরা আল ইমরানের ৬১ নম্বর আয়াতটিকে বলা হয় ‘আয়াতে মুবাহেলা’ বা চ্যালেঞ্জের নিদর্শন। এ আয়াতের শানে নযুল হলো হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে ধারাবাহিক ভাবে শাবী, দাউদ ইবনে হিন্দ, মোহাম্মদ ইবনে দীনার, বাশার ইবনে মিহরান, আহমদ ইবনে দাউদ মক্কী, সোলায়মান ইবনে আহমদ ও আবু বকর ইবনে মুরদিয়া বর্ণনা করেছেন, একদা আবিদ ও সাঈদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছালামের কাছে গিয়ে তাদের সাথে মুবাহিলা (চ্যালেঞ্জ) করার জন্য আহ্বান করলেন। এতে রাছুল করিম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছালাম বাধ্য হয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন। পরদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছালাম তাঁর আহলে বাইয়েত তথা হযরত মাওলা আলী, ফাতেমাতুজ্জাহরা, ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন আলাইহিস সালামকে সাথে নিয়ে মুবাহেলার জন্য বের হলেন। কিন্তু খ্রিষ্টানদেরকে মুবাহেলা করার জন্য খবর দিলে তারা ভীত হয়ে মুবাহেলার জন্য আসতে অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নাযিল হয় আয়াতে মুবাহেলা। আয়াতটি হলো “ফাকুল তা আলাউ নাদউ আবনা আনা ওয়া আবনা আকুম, অ নিছা অ-নিছাকুম, ওয়া আনফুসানা অ আনফুসানাকুম” অর্থাৎ বলে দিন হে রাছুল, এসো একত্রিত করি, তোমাদের ও আমাদের পুত্রগণকে, আমাদের ও তোমাদের স্ত্রীগণকে এবং আমাদের ও তোমাদের নিজেদেরকে, অতঃপর আমরা শফত পাঠ করি, মিথ্যুকদের ওপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক। তাফসীরে ইবনে কাসির ২য় খন্ডের ৪৭৭ পৃষ্ঠায় এবং তাফসীরে মাজহারী ৯ম খন্ডের ৪৯২-৯৩ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে, উক্ত আয়াতে মুবাহেলার বিষয়ে হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু বলেন,
‘আনফুসানা’ শব্দ দ্বারা রাছুল সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছালাম ও মাওলা আলী আল্ইহিস সালামকে,
‘অ নিছা আনা’ শব্দ দ্বারা মা ফাতেমাতুজ্জাহরা আলাইহিস সালামকে এবং
‘ওয়া আবনা আনা’ শব্দ দ্বারা ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন আলাইহিস সালামকে বুঝানো হয়েছে।

‘আসরারে পাঞ্জাতন’ অধ্যায়ে পাক পাঞ্জাতনের ধারাবাহিক বর্ণনা দেয়া হবে। বর্ণনাটি হবে –
প্রথম – রাছুলে পাক হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছালাম
দ্বিতীয় – হযরত মাওলা আলী আলাইহিস সালাম
তৃতীয় – খাতুনে জান্নাত মা ফাতেমাতুজ্জাহরা আলাইহিস সালাম
চতুর্থ – হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম
পঞ্চম – হযরত ইমাম হোসাইন আলাইহিস সালামের ওপর।
এ ধারায় থাকবে তার তত্ত্ব ও তথ্য সম্বলিত আলোচনা যা হবে সত্য সন্ধানীদের জন্য পথ নির্দেশিকা, বাতিলের চারিদেয়ালে চরম আঘাত।

সত্য সব সময়ই ‘যালযালার’ মতো প্রকাশ হয়, সত্যনিষ্ঠ লোক ছাড়া সত্যকে ধারণ করার মতো সাহস কারো থাকে না। আধ্যাত্মিক জ্ঞানে বা ধর্মজ্ঞানে হয় সৎ চিন্তার উদয়, সৎ চিন্তায় সৎকর্ম, সৎকর্মে হয় সৎ সাহসদ; তাতে সত্যনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব সৃষ্টি হয়। অজ্ঞ-মূর্খরা না বুঝেই প্রতিবাদ-সমালোচনা করে, গোঁড়ামী করে, জোর জুলুম করে, আর জ্ঞানীরা বিচার-বিশ্লেশণ করে সত্যকে স্বীকার বা প্রতিবাদ করে, কিন্তু জোর জুলুম করে না। ধর্ম শাস্ত্রের মুতাশাবেহাত বা রুপক-প্রতীক অলংকারিক ভেদ করে সত্যকে তথা মুহকামাতকে বুঝে নিতে হয়। ইলমে এলাহী বা আত্মার জ্ঞান যখন ওহী হয় তখনই তা রূপক-প্রতীক বা আলংকারিক রুপ ধরে প্রকাশিত হয়, সেই রুপক-প্রতীকের আড়ালেই রয়েছে চরম সত্য মুহকামাত-যাতে নিহিত আছে ধর্মজ্ঞান বা ইলমে এলাহী। যাক, কিছু আয়াত পেশ করা হলো পাক পাঞ্জাতন ও রাছুল সম্পর্কে- “ওয়া আরছাল্নাকা লিন্নাছে রাছুলান ওয়া কাফাঁ বিল্লাহি শাহিদান, মাইয়েতের রাছুলা ফাকাদ আতাল্লাহ” অর্থাৎ – এবং আমরা তোমাকে মানুষদের জন্য প্রেরণ করেছি রাছুল রুপে, এবং সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট ; (যদি) কোনো ব্যক্তি রাছুলের আনুগত্য করলো, সুতরাং অবশ্যই সে আল্লাহরই আনুগত্য করলো (সুরা নেছা ৭৯-৮০ আয়াত)। এ আয়াত দ্বারা বুঝা গেল রাছুলের আনুগত্য, অনুসরণ এবং মহব্বতই হলো আল্লাহর আনুগত্য বা অনুসরণ বা মহব্বত – এ বিষয়টি নিয়ে কোনো দ্বিমত পোষন করার কোনো অবকাশ নেই। কারণ, আয়াতে ‘অবশ্যই’ কথাটি রয়েছে যেনো কেউ তাতে কোনো প্রকার সন্দেহ-দ্বিমত পোষন না করে।

রাছুলকে ছেড়ে যারা আল্লাহর অনুসরণ করছে বা আল্লাহর আনুগত্য করছে বলে দাবী করছে তারা পথভ্রষ্ট। আল্লাহ, রাছুল ও মুমিনগনকে ভালোবাসার মধ্যে মুক্তির শর্ত নিহিত [সুরা মায়েদা-৫৬ আয়াত]। এ ব্যাপারে বিতর্ক করলে কাফের [সুরা ইমরান-৩২ আয়াত]। আল্লাহ, রাছুল ও মুর্শিদের (উলিল আমরের) আদেশ মান্য করা ফরজ [সুরা নেছা-৫৯ আয়াত]। রাছুলের হাত আল্লাহরই হাত এবং রাছুলের হাতে বায়াত মানে আল্লাহরই হাতে বায়াতই বলে বিশ্বাস করা ফরজ [সুরা ফাত্তাহ-১০ আয়াত]। রাছুলের ওপর ঈমান না থাকলে দোযখে ঠিকানা [সুরা ফাতাহ-১০ আয়াত]। রাছুলেন আনুগত্য হলেই দয়া প্রাপ্ত হবে [সুরা নূর-৫৬ আয়াত]। মুমিনের নিকট নবী মোহাম্মদ রাছুল নিজের প্রাণের চেয়ে প্রিয় [সুরা আহযাব-০৬ আয়াত]। সমস্ত সম্মান আল্লাহর, তাঁর রাছুলের এবং মুমিনগনের, কিন্তু মুনাফিকগন তা বুঝে না [সুরা মুনাফেকুন-০৮ আয়াত]। আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ রাছুলের ওপর দরুদ প্রেরণ করেন তথা তাঁর হাবিবের সাথে অবিচ্ছিন্নভাবে দায়েমীতে কায়েম আছে ফেরেশতাসহ [সুরা আহযাব-৫৬ আয়াত]। নিশ্চই আল্লাহ চাহেন যে, তিনি তোমাদের [আহলে বাইয়েতের] অপবিত্রতা দূর করেন এবং তোমাদেরকে পাক সাফ রাখেন [সুরা আহযাব-৩৩ আয়াত]। বলো আহ্বানের উজরত হিসেবে আত্মীয়দের [আহলে বাইয়াতের] সৌহার্দ্য ছাড়া আর কোনো প্রতিদান চাই না [সুরা শুরা-২৩ আয়াত]। হে নবী পরিবার [আহলে বাইয়াত] তোমাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর রহমত ও কল্যাণ [সুরা হুদ-৭৩ আয়াত]। এবং আল্লাহর রজ্জুকে [আহলে বাইয়েতকে] দৃঢ়ভাবে ধরো [সুরা ইমরান-১৩০ আয়াত]। এখানে অনেক ক্ষেত্রে আয়াতের ভাবার্থও উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরো অনেক আয়াত এ বিষয়ে কোরানে বিধৃত আছে।

‘পাক পাঞ্জাতন’ কথাটি আমাদের সাধারন সমাজে এমনকি চৌদ্দ আনা আলেম (?) সমাজেও পরিচিত নয়। এর কারণ হলো, রাছুলে করিম সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছাল্লামের ওফাত লাভের পরে মুনাফিক মুয়াবিয়ার আমল হতে রাছুলে পাক সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছাল্লামের আহলে বাইয়েতের বিরুদ্ধে তথা দ্বীনে মোহাম্মদী বা দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ধারা বর্তমান কাল পর্যন্ত চালু আছে এক শ্রেণীর আলেম নামধারী জালেমদের দ্বারা, সংখ্যায় তারা এবং তাদের অনুসারীগণ বাহাত্তুর কাতার। যার পরিপূর্ণ সূচনা হয় মুয়াবিয়া ও তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরী পুত্র ইয়াজিদ এবং তার পোষা বেতনভুক্ত আলেম-মোল্লাদের দ্বারা, যাদের বংশধর অদ্যাবধি বিদ্যমান। যার ইতিহাস বর্ণনা সামনে দেয়া হবে। ‘পাক’ অর্থ পবিত্র বা পরিশুদ্ধ বা সাফা, ‘পাঞ্জাতন’ অর্থ পাঁচটি তন অর্থাৎ পাঁচটি শরীর বা অস্তিত্ব। কাজেই পাক পাঞ্জাতন মানে পবিত্র পাঁচটি শরীর বা ব্যক্তি তথা হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছাল্লাম, মাওলা আলী হযরত ফাতেমাতুজ্জাহরা, ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম। “আয়াতে তাৎহির” মোতাবেক রাছুলে পাক সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছাল্লামের আহলে বাইয়েত বা আলী, ফাতেমা, হাসান ও হুসাইন পবিত্র চারজন এবং হাবিবে খোদাকে নিয়ে হলো পাক পাঞ্জাতন। “সৃষ্টির মূল ধারক-বাহক হলো পাক পাঞ্জাতন এবং তাঁর নবুয়তী সুরত হলো উক্ত পাঁচজন। তাঁদের বেলায়েতী রূপ সমগ্র সৃষ্টিব্যাপী স্থিত আছে এবং তাদের সেই স্থিতবস্থা হতে উপস্থিত রূপ হলো নবুয়তী সুরত।”

রাছুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তা’য়ালা আলাইহি ওয়াচ্ছালাম তাঁর আহলে বাইয়েত সম্পর্কে তথা তাদের শান, মান-মর্যাদা বা ফজিলত সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কালাম বলে গেছেন। যদিও নবীজির ওফাতের (ওফাতের বিপরীত কোনো শব্দ নেই অর্থাৎ যেমন ছিলেন তেমনই আছেন) পর তাঁর অনেক কালাম (হাদিস) বিকৃত করা হয়েছে যা ছিল আহলে বাইয়েতের শানে বর্ণিত।

“আন্না আলিউন মাওলাল মু’মিনিন” অর্থাৎ আলী মুমিনদের প্রভু এ কথাটি সূরা মায়েদার ৬৭ নম্বর আয়াতে যুক্ত ছিল বলে ইবনে আবি হাতেম রাদিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু বর্ণনা করেছেন আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ত’য়ালা আনহু হতে। ইবনে মারদূইয়া ইবনে ওমরু রাদিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেছেন যে, আমরা নবীজির সময় সুরা মায়েদার ৬৭ আয়াতে “আন্না আলীউন মাওলাল মুমিনিন” এ অংশটি পড়তাম। হযরত ওসমান যখন কোরআন সংকলন করেন সে সময় অনেক আয়াতেরই আংশিক বাদ দেয়া হয়েছিল। কোনো কোনো মুফাচ্ছেরগণ বলেছেন এ ধরনের আয়াতের সংখ্যা প্রায় তিনশতের মতো হবে। “আসরারুল কোরআন” বইটিতে এ বিষয়ে আলোচনা করা আছে। আয়াতের সংখ্যা নিয়েও পরবর্তীতে বিস্তর মতভেদ সৃষ্টি হয়েছে। হযরত আলী, আবু হুরায়রা, হযরত আয়েশা আরো কয়েকজন হতে বর্ণিত কোরানের আয়াত সংখ্যার মধ্যে অনেক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। কেউ স্বীকার না করলেও ইহা চরম সত্য যে, কোরান সংকলনের বিষয়ে ব্যক্তিস্বার্থ, প্রতিহিংসা, নিজেদের মধ্যে মতভেদ এবং স্বীয় পছন্দ-অপছন্দের বেশ প্রভাব পড়েছিল, ইতিহাসে বা তাফসীর গ্রন্থসমূহে তার যথেষ্ট নজীর রয়েছে। আল্লাহপাক মানুষকে নিজেই কোরান শিক্ষা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠাচ্ছেন সেই আল্লাহ কর্তৃক শিক্ষা দেয়া কোরান হতে মানুষ বিম্মৃত রয়েছে।

আপন খবর