রেফারেন্স – বাইয়াত ফরজ বিষয়ে ১৬ টি কুরআনের আয়াত

সংকলন – লাবিব মাহফুজ চিশতী

দ্বীন ইসলামের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং অবশ্য পালনীয় কর্মটি হলো কামেল মুর্শিদের নিকট আত্মসমর্পণ করা তথা বাইয়াত গ্রহণ করা। বাইয়াতের মাধ্যমে ব্যক্তি দ্বীনে ইসলামে প্রবেশ করে। অর্থাৎ – যিনি বাইয়াত নেন নি তিনি দ্বীন ইসলামের কেউ নন। বাইয়াত ই হলো দ্বীন ইসলাম তথা দ্বীনে মোহাম্মদীর প্রবেশের মূল ফটক। কোরআন হাদীস সহ সকল ধর্মীয় কিতাবাদীতে বাইয়াত প্রসঙ্গে হাজারো সুস্পষ্ট বিধানাবলী থাকা সত্ত্বেও একশ্রেণীর মূর্খ স্বার্থান্ধ নামধারী তথাকথিত মোল্লা সমাজ অজ্ঞানতাবশত বাইয়াত প্রথার বিরোধিতা করে থাকে। তারা আসলে কোন ধর্ম বা কার ধর্ম পালন করে তা ভাববার বিষয়। যাইহোক, পবিত্র কোরআনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে হাজারোবার বাইয়াত গ্রহণ করে ধর্ম পালনের আদেশ দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে কয়েকটি মাত্র আয়াত সত্যানুসন্ধানীদের পেশ করছি।

কোরআন হতে বাইয়াত প্রসঙ্গে ১৬ টি আয়াত –

১. তোমার নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দাদের পথে আমাকে পরিচালিত করো। (সুরা ফাতিহা ৬,৭)

২. নিশ্চয় যারা আপনার হাতে বাইআত গ্রহণ করে তারা তো আল্লাহরই হাতে বাইআত গ্রহণ করে। আল্লাহর হাত তাদরে হাতরে উপর। (সুরা ফাতাহ ১০)

৩. আল্লাহ মুমিনদের ওপর সন্তুষ্ট হয়েছেন যখন তাঁরা গাছের নিচে আপনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করছিল। (সুরা ফাতাহ ১৮)

৪. হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর অনুসরন করো, রাসুলের অনুসরন করো এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর (মুর্শিদ) তাদের অনুসরন করো।(সুরা নিসা ৫৯)

৫. যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও রাছুলের আনুগত্য করবে, সে আল্লাহ যাদের প্রতি নিয়ামত দান করেছেন তাদের সঙ্গী হবে। তারা হলেন নবী, সিদ্দিক, শহীদ, নেককার ব্যাক্তিবর্গ। আর তাদের স্বানিধ্যই হলো উত্তম স্বানিধ্য। (সুরা নিসা ৬৯)

৬. স্বরণ করো সেই দিনের কথা যে দিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাদের নেতা সহ আহ্বান করবো। (সুরা বণী ইসরাইল ৭১)

৭. অনুসরন করো তাঁদের যারা তোমাদের নিকট কোনো বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত। (সুরা ইয়াছিন ২১)

৮. যে বিশুদ্ধ-চিত্তে আমার অভিমুখি হয় তাঁর অনুসরন করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে হবে এবং তোমরা যা করতে সে বিষয়ে আমি তোমাদের অবহিত করবো। (সুরা লুকমান ১৫)

৯. তোমরা যদি না জানো তবে যে/যারা জানেন তাদের নিকট হতে জেনে নাও। (সুরা আম্বিয়া ৭)

১০. হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সাদেকিন/সত্যবাদিদের সঙ্গী হও। (সুরা তাওবা ১১৯)

১১. নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক এর রহমত আউলিয়া কেরাম গণের নিকটবর্তী। (সুরা আরাফ ৫৬)

১২. আল্লাহ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন সেই সৎপথ প্রাপ্ত হয়। তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন সে কখনো সাহায্যকারি অলি বা মুর্শিদ পাবে না। (সুরা কাহাফ ১৭)

১৩. সাবধান, আল্লাহর অলিগণের ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও নহে। (সুরা ইউনুস ৬২)

১৪. হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ পাককে ভয় করো এবং তার নৈকট্য লাভের জন্য উসিলা অন্বেষন করো। (সুরা মায়েদা ৩৫)

১৫. যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহন করেছে সে ব্যতিত অন্য কেউ সুপারিশ করার অধিকার প্রাপ্ত হবে না। (সুরা মারঈয়াম ৮৭)

১৬. হে নবী, আপনার নিকট যদি নারীরা এ শর্তে বাইয়াত হতে আসে যে, তারা শিরক করবে না, চুরি, যিনা, সন্তান হত্যা করবে না, অপবাদ রচনা করবে না, নায্য ব্যাপারে আপনার অবাধ্যতা করবে না – তা হলে আপনি তাদের বাইয়াত কবুল করুন। (সুরা মুমতাহিনা ১২)

এমন স্পষ্ট আদেশ জারী করার পরও যেসম অধার্মিক/বকধার্মিকগণ বাইয়াতের বিরুদ্ধে কথা বলে, নিঃসন্দেহে তারা ধর্মের শত্রু। তারা ধর্ম বিনাশের মিশন বাস্তবায়ন করার জন্য বাইয়াতের বিরোধিতা করে থাকে। এইসব ওহাবী সালাফী দজ্জাল গোষ্ঠী হতে সাবধান!

সংকলক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
সম্পাদক – আপন খবর
চেয়ারম্যান – আপন ফাউন্ডেশন

আপন খবর