আত্মপরিচয়ের মীমাংসার সন্ধানে যাত্রা আদিকাল হতেই বহমান। তারই ক্রমোন্নতির ধারাবাহিকতায় ভাবুক, ধ্যানী, জ্ঞানী, প্রেমিকের বিকাশ মানব সমাজে। পরিশুদ্ধ চিত্তবৃত্তির পরিমন্ডলে সেই জ্ঞান-প্রেমের অনুরণন ঝংকারিত হচ্ছে। অসীম সীমের মধ্যেই/ আপন ভুবনে ঝলক দিচ্ছে, রূপায়িত হচ্ছে, ধরা দিচ্ছে। ধ্যানী, জ্ঞানী, প্রেমিকগণই এ প্রেম সাগরে অবগাহন করছে। এরাই মুক্ত উদার মনের মানুষ, জাতি গোত্রের বাহিরে তাদের অবস্থান। তাদেরকেই নবুয়তে নবী-রাছুল আর বেলায়েতে অলি-আউলিয়া বলে, তাদের পথই ‘সিরাতুল মুস্তাকিম’।
আত্মপরিচয় বা আধ্যাত্মিক জ্ঞানই ধর্ম জ্ঞান; যা মাদ্রাসার আলেম-মোল্লাগণ অস্বীকার/পরিহার করে নিজেদের প্রবৃত্তির অসার ক্রিয়াকর্ম, বাণীকে ধর্মজ্ঞান বলে লোক সমাজে প্রচার করছে। তাতে নিজেকেই অস্বীকার করা হচ্ছে। মূলত আত্মপরিচয়ের পথেই মানব জাতির আদি উৎসের, মুক্তির সন্ধান জানা সম্ভব; চিরন্তন-শাশ্বত মানব ধর্মকে অর্জন করা যায়। এ পথেই চিত্তবৃত্তির কলুষতা দূরীভূত করে উদার মুক্ত মনের মানুষ সৃষ্টি হয়। তাতে আধ্যাত্মিকতা, মানবতাবাদ ও প্রেমের ভাব-ভাবনা ও বাণী প্রচারিত হয়ে বসন্তের হিন্দোল তানে মানব সমাজ উজ্জীবিত হয়ে শান্তির আলয়ে অবস্থান করবে। কোরানে ইহাকে নফসে মুতমাইন্নাহ বলা হয়েছে।
আপন খবর কাগজটি মানুষের আধ্যাত্মিক চেতনা বিকাশে গুরুত্বুপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি এবং তার সুদীর্ঘ প্রচার প্রসার কামনা করছি।
হযরত খাজা কাজী বেনজীর হক চিশতী নিজামী
মহান মুর্শিদ কেবলা, ঝাউগড়া বেনজীরিয়া চিশতীয়া দরবার শরীফ
আড়াইহাজার, নারায়নগঞ্জ