সম্পাদকীয় – ধর্মান্ধদের চক্ষুশূল ফকির আবুল সরকার

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

এই যৌবনজলতরঙ্গ রোধিবি কি দিয়া বালির বাঁধ?
কে রোধিবি এই জোয়ারের টান গগনে যখন উঠেছে চাঁদ?

যখনি সত্য স্বমহিমায় সমুদ্ভাসিত হয়েছে, তখনি পেঁচা সম্প্রদায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে সত্যকে পাথরচাপা দেয়ার জন্য। সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম-মূমুর্ষদের (ধর্মান্ধ) প্রবল বিরোধিতায় যুগে যুগে সত্যের ধারক বাহকগণ হয়েছেন নির্যাতিত, লাঞ্ছিত! তবু থেমে থাকনি সত্যের বিজয় কাফেলা। সকল নির্যাতন হাসিমুখে মেনে নিয়ে কেউ কেউ প্রদীপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে চলেছেন ফাঁসিকাষ্ঠের দিকে।

ফকির আবুল সরকার। কয়েক দশক ধরে যিনি বাংলার ধর্মীয় সংগীতাঙ্গনে বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। সুরে ছন্দে বলে বেড়াচ্ছেন আহলে বাইয়্যেত এর কথা, দ্বীনে মোহাম্মদীর কথা। স্বভাবতই তথাকথিত লেবাসসর্বস্ব ধর্মান্ধদের কাছে চক্ষুশূল তিনি।

সত্যের প্রকাশ কখনোই নিরুদ্ধ হবে না। শত বাধা বিপত্তিতেও কন্ঠে সুরলহরী বাজিয়ে যেতে হবে। সত্য প্রকাশের এ শাশ্বত কর্তব্যকে পালন করে যেতে হবে নিরন্তর। ফতোয়াবাজদের কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি তে আমাদের কন্ঠ যেনো অবরুদ্ধ না হয়।

সত্যের প্রকাশকদের কবি বলছেন আকাশের পাখি।

“জিঞ্জির-পায়ে দাঁড়ে বসে টিয়া ছানা খায়, গায় শিখানো বোল,
আকাশের পাখি! ঊর্ধ্বে উঠিয়া কণ্ঠে নতুন লহরি তোল!”
“আলোক হেরিয়া কোটরে থাকিয়া চ্যাঁচায় প্যাঁচারা, ওরা চ্যাঁচাক
মোরা গাব গান, ওদেরে মারিতে আজও বেঁচে আছে দেদার কাক!”

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
সম্পাদক – আপন খবর পত্রিকা

আপন খবর