লাবিব মাহফুজ চিশতী
ধীরে ধীরে নির্জনতার গভীরে প্রবেশ করে রাত
আমিও হয়ে উঠি শব্দহীন।
কেউ জানে না, অন্তরে জ্বলে এমন এক সূর্য –
বহু অন্ধকার বিদীর্ণ করা তেজস্বী রূপসমূহ
জন্ম নেয় একটি নিঃশ্বাস, নিরবতায়!
প্রতিটি নিঃশ্বাস ধারণ করে অগনিত নুক্তা
অব্যয় আলিফের মতো উন্নত মস্তকে –
আত্মায় ভেসে বেড়ায় আদি আহ্বান – কুন
ঈশ্বরের নিঃশ্বাস! হু হু স্বরে বয়ে চলে
আমার অস্তিত্বের আদিগন্ত জুড়ে।
দৃষ্টির সীমানা মেপে চলে মুনতাহা
আমি ফুল হয়ে ফুটে উঠি সিনাইয়ের তুরে –
যেখানে আমার দেহ-দরিয়ার উদগ্র উর্মিতে
নিয়ত বুদবুদ হয়ে ফুটে ওঠে প্রভূর পদচিহ্ন।
না আলোয়, না অন্ধকারে।
কেউ জানে না, পাজরের হাড়ে লেখা
তোমার নামখানি – মুর্শিদ
আমার প্রতি নিঃশ্বাসে নির্মম আগুন – জ্বেলে দেয়
তৌহিদের অগ্নিগিরি হতে গলে গলে পড়ে
তোমার নাম-রূপ আর তেজস্বী পদধ্বনী।
দেহের গহনে, আত্মার অতল অচেতনে
হিল্লোল তুলে সত্তর হাজার জোড়া ঘূঙুর –
সাড়ে তিন হাত দেহ-সরসীতে ডুবে যায় সাত তবক আসমান
আমিও ভেসে বেড়াই সে শব্দহীন রাতের সীমায়
কদরের সৌভাগ্যে, মিরাজের সৌভাগ্যে।
লাবিব মাহফুজ চিশতী
রচনাকাল 24-05-2025