পত্রিকা – দ্বীনে মুহাম্মদী ও আহলে বাইয়্যেত – পর্ব ০২

লেখক – কাজী বেনজীর হক চিশতী নিজামী

হুসাইনের প্রতিপক্ষ ইয়াজিদ। হুসাইন আর ইয়াজিদের দ্বন্ধ- এটা কোনো অতীত ঘটনা নয়। যেহেতু ধর্ম জ্ঞান হলো আত্মার জ্ঞান তথা আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং সমস্ত ধর্মশাস্ত্র আত্মার জ্ঞান হতেই আগত। কাজেই আধ্যাত্মিক জ্ঞান বা আত্মার জ্ঞানে জ্ঞানী ছাড়া ধর্মশাস্ত্র আর কারো বুঝার সাধ্য মোটেও নেই। এজন্যই আলেম-মোল্লাগণ ধর্ম জ্ঞানী নয়, বরং শাস্ত্র বিদ্যায় অন্ধ-মূর্খ। মহররম মাস কোনো অতীত-ভবিষ্যতের বিষয় অবশ্যই নয়, তা চিরবর্তমান। মহররম হতেই আগত মহররমের দশ। এখানেই হুসাইনের শহীদের স্থান। এই দশই আশারায়ে মোবাশ্শারা।

মহররম মাস হতেই হয় সৃষ্টির সূচনা। কোরানে বর্ণিত বারো মাস চিরন্তণ, শাশ্বত মাস এবং এই বারো মাস মিলে এক বৎসর। এই বৎসরের সুরত-শেকেল আছে। ইহা জাগতিক কোনো মাস নয়। কোরানের মুহকামাত বুঝলে তা জানা যায়। যারা হুসাইনকে চিনে তারা ইয়াজিদকেও চিনে। তবে দ্বীনে মুহাম্মদীতে যারা আছে তারাই একমাত্র চিনবে হুসাইনকে এবং ইয়াজিদকে। ইয়াজিদের অনুসারী হলে কভু হুসাইনকে চিনা সম্ভব নয়। আর হুসাইনকে না চিনলে আল্লাহর কালামকে ধারণ করা মোটেও সম্ভব নয়।

যারা আল্লাহর কালামের হেফাজতকারী নয় তারা মানব সুরত হারাবে মানে দোযখী হবে। আর দোযখীদেরকে তাদের চেহারা দেখে চিনা যাবে অর্থাৎ তাদের মানব সুরত পরিবর্তন হয়ে যাবে (সুরা রহমান- ৪১)। আল্লাহর কালামের হেফাজতকারীগণই হলেন কোরানে হাফেজ। আর কোরানে হাফেজগণ জান্নাতী মানুষ। তারা বহু হয়ে এক মানে “হিজবুল্লাহ”।

রাছুল (সাঃ)-এর কালাম- “তোমাদের মধ্যে ঐক্যতা সৃষ্টি করা নামাজ, রোজা, সদকার চেয়েও উত্তম”। এই ঐক্যতা সৃষ্টিকারীগণই হলো “হিজবুল্লাহ” তথা আল্লাহর দল। এই হিজবুল্লাহগণই আল্লাহর রজ্জু তথা আহলে বাইয়্যেতকে ধারণ করে চির মুক্তির দেশে অবস্থান করছে। যারা আহলে বাইয়্যেতকে অস্বীকার করছে তারা মূলতঃ নিজের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করছে এবং কোরানের মুহকামাত তারা মোটেও বুঝে নি। যে কোরানের মুহকামাত বুঝে নি সে আল্লাহর কালামের কিছই বুঝে নি। যারা কোরানের মুহকামাত বুঝে তারা আহলে বাইয়্যেতকে বর্তমান চিনতে পারবে।

কোরান বিশ্বাস করা ফরজ, আহলে বাইয়্যেতকে বিশ্বাস করাও ফরজ। কোরান বিশ্বাস করলো আহলে বাইয়্যেত বিশ্বাস করলো না, তারা কুফরী করলো। আমাদের অধিকাংশ আলেম সমাজ এই কুফরীতেই লিপ্ত আছে। ইহাই তাদের অন্ধত্বের পরিচয়, মূর্খতার পরিচয়। এই সমস্ত মূর্খদের বিষবাষ্পে আক্রান্ত আজ মুসলিম সমাজ। পাকিস্তানের জাতীয় কবি আল্লামা ইকবাল বলছেন- “সবাই বলে মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে। আমি বলি কোথায়? সব দেখি মুসলিম বেশে বানর নৃত্য করছে!”

এ কথা অতীত নয়, বর্তমান। চোখ খুলে তাকালেই দেখা যাবে ধর্মের ছদ্মাবরণে বাহাত্তর কাতারই মুসলিম বেশে উলঙ্গ বানর নৃত্য করছে। এরাই হুসাইনের মোকাবেলায় দাঁড়িয়ে আছে। একবার মাওলা আলীকে নিয়ে খেজুর বাগানে হাটতে গিয়ে রাছুল (সাঃ) চিৎকার করে কেঁদে উঠলেন। মাওলা আলী (আঃ) কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে রাছুল (সাঃ) বললেন- “আলী আমি যখন থাকবো না তখন তোমাদের উপর অনেক অত্যাচার নির্যাতন আসবে। তুমি ধৈর্যের সাথে তার মোকাবেলা করিও। মাওলা আলী বললেন- ইয়া রাছুলুল্লাহ! এরা কি নিরাপত্তাসহকারে থাকবে? রাছুল (সাঃ) বললেন, হ্যাঁ! এরা ধর্মীয় নিরাপত্তা সহকারে বাস করবে” অর্থাৎ তারা ধর্মের ছদ্মাবরণে বাস করবে।

বুঝা দরকার রাছুলুল্লাহ (সাঃ) ওফাত লাভের সাথে সাথেই সেই ভবিষ্যত বাণী বাস্তবায়ন হয়েছিল। কারা রাছুল (সাঃ)-এর আহলে বাইয়্যেতের উপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল! এই ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব কে কে দিয়েছিল! ইতিহাসে তার যথেষ্ট নজীর রয়েছে। এই ধর্মের ছদ্মাবরণে বাস করা এবং তাদের দ্বারা ধর্ম জ্ঞানীদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন চালানোর কার্যটিও বর্তমান। ধর্ম জ্ঞানীরা নির্বাসিত, অন্ধ-মূর্খদের রাজত্ব চলছে মুসলিম সমাজে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান এবং মুসলমান সবার মাঝেই এই অন্ধ-মূর্খ জঙ্গী জঞ্জালগুলো ধর্মের ছদ্মাবরণে বাস করছে। এরা তখন আর এখন মিলে যুগে যুগেই বর্তমান বাস করছে। তুরস্কের জাতির পিতা কামাল পাশা এই ধরণের ধর্মান্ধ- মূর্খ মৌলবাদীদের দাওয়াত করে নিয়ে জাহাজে করে সমুদ্রের হাজার মাইল ভিতর নিয়ে নির্বাসন দিয়েছিলেন আর ঘোষণা করেছিলেন ঐ দ্বীপের কয়েকশত মাইলের মধ্যে যেনো কোনো জাহাজ না ঢুকে, তাহলে জাহাজ ধ্বংস করে দেয়া হবে। এভাবে তিনি ধর্মান্ধদের বিভ্রান্তি ও কুসংস্কার থেকে দেশকে রক্ষা করেছিলেন।

মাওলানা রুমী ঐ সমস্ত অন্ধ-মুর্খদের, মুর্দাদের, উলঙ্গদের পথ হতে বের হয়ে জিন্দা মানুষ শামছ তাবরীজের গোলামী করে জিন্দা হয়ে উঠলেন। জিন্দা হওয়ার আনন্দের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ তিনি সর্বক্ষণ সঙ্গীত আর নৃত্যের মধ্যেই দিন কাটিয়েছেন। তিনি বলছেন- “ইবাদতের বিভিন্ন পথ রয়েছে, আমি বেছে নিয়েছি গান আর নৃত্য”। যে গান-বাজনাকে তিনি এক সময় হারাম জানতেন, হারাম ফতোয়া দিতেন, চোখ খোলার পর, জিন্দা হওয়ার পর, মাওলানা হওয়ার পর, নিজেকে ফিরে পাবার পর তথা ঈদ পূণর্মিলনের পর তিনি সেই গান-বাজনা আর নৃত্যকেই তার ইবাদত হিসাবে গ্রহণ করে নিয়েছেন। যদিও উলঙ্গ অন্ধ-মূর্খদের তা মোটেও পছন্দ হয় নি, এখনো হয় না অর্থাৎ এরা যুগে যুগে বর্তমান এবং জ্ঞানীদের মোকাবেলায় অবস্থান করছে। এরা জ্ঞানী নয়, অন্ধ-মূর্খ-বধির এই জন্যই জ্ঞানীদের বিরোধীতা করছে।

বুঝা দরকার যখন তিনি ‘ওয়াহেদ আল্লাহ্’ তখন তিনি ‘আমি’। যখন ওয়াহেদ হতে পাকপাঞ্জাতনস্বরূপ হাস্তিতে বিকশিত হন তখন তিনি ‘আমরা’। কোরানের বহু জায়গায় এই ‘আমরা’ কথাটি আল্লাহপাক ব্যবহার করেছেন। ‘আমরা’ বহু বচন হলেও বহু নয়। মুহাম্মদসহ পাকপাঞ্জাতন। অর্থাৎ আল্লাহর হাস্তি পাকপাঞ্জাতন আর পাকপাঞ্জাতনের নাস্তি আল্লাহ। একই বহু এবং বহুই এক।

যারা পাকপাঞ্জাতন চিনে না বা মানে না তারা মূলতঃ আল্লাহকেই অস্বীকারকারী এবং জাহান্নামী। কোরানুল করিম সমস্তটাই মুহাম্মদ এবং তাঁর পবিত্র আহলে বাইয়্যেতের পরিচয় তুলে ধরছে- এ ভেদ-রহস্য একজন জ্ঞানীর নিকট বুঝে নিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

যখন নিজেকে চিনতে যাবে তখন পাকপাঞ্জাতন চিনতে পাবে, যখন পাকপাঞ্জাতন চিনবে তখন আল্লাহকেই চিনতে পারবে।

আর আল্লাহকে দেখাই উম্মতে মুহাম্মদীর ছালাত। আর খফির ঘর মুহাম্মদের মাঝে তথা বাকি চারজন তার ঘরের অধিবাসী তথা আহলে বাইয়্যেত। এখানেই ছালাতে খফি ধারাবাহিকতায় এসে হুসাইনী অজুদে মুহাম্মদী সুরতে, ছালাত আহসান সুরত নিয়ে জহুর হচ্ছে। এই জন্যই মুহাম্মদ পাঁচটি ছালাতের অধিকারী এবং মুহাম্মদী সুরতে ছালাত রয়েছে। এই হিজাবে মুহাম্মদীর মাঝেই আল্লাহ আছেন। রাছুলের সতের সুন্নাতের একটি হলো “জুয়িলাত র্কুরাতু আইনী ফিস্সালাত” অর্থাৎ ছালাতে আমার চক্ষু শীতল হয় অর্থাৎ ছালাতটি দেখে শান্তি পাই। পাকপাঞ্জাতনস্বরূপ পাঁচটি ছালাত প্রতিষ্ঠিত আছে মুহাম্মদী অজুদের মাঝে। সেই ছালাতগুলো হেফাজত করার হুকুম আসছে কোরানে (সুরা বাকারা- ২৩৮)। বেলায়েতের আহলে বাইয়্যেতের নবুয়তী রূপই হলো আলী, ফাতেমা, হাসান এবং হুসাইন (আঃ)। এরা হলো উম্মতে মুহাম্মদীর কান্ডারী, নূহ নবীর নৌকা বা নাজাতের কিস্তি। বোখারীর হাদিস হতেও ইহা প্রমাণিত। এজন্যই রাছুল মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর পবিত্র আহলে বাইয়্যেতকে আঁকড়িয়ে ধরার নির্দেশ দিচ্ছেন তার উম্মতদেরকে।

যারা তার পাক আহলে বাইয়্যেতকে আঁকড়িয়ে ধরেছে তারাই মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে, অন্যেরা পথভ্রষ্ট। একদিন হুসাইন আঃ রাছুলের জুব্বা গায়ে দিয়ে দেখলেন বিশাল এক অগ্নি সাগর। সে অগ্নি সাগরের মাঝে অসংখ্য লোক পড়ে মারা যাচ্ছে। আর কিছু সংখ্যক লোক একটি নৌকায় চড়ে নির্বিঘ্নে সাগর পাড়ি দিচ্ছে। সে নৌকাটিই হলো পাকপাঞ্জাতনের নৌকা। যারা এ নৌকায় আরোহণ করছে একমাত্র তারাই নাজাত পাচ্ছে। এজন্যই রাছুল (সাঃ) বলছেন- “মাছালা আহলে বাইয়্যেতী কামাছালা সাফিনাতুন্ নূহ, মান দাখালা ফানাজ্জী” অর্থাৎ আহলে বাইয়্যেতের মাছাল বা উদারহণ হলো নূহনবীর নৌকার মতো, যে এই নৌকাতে আরোহণ করবে সে-ই নাজাত পাবে।

ইয়াজিদের দল কখনো এ নৌকায় আরোহণ করতে পারবে না, নৌকায় আরোহণ করতে হলে দ্বীনে মুহাম্মদীতে দাখেল হতে হবে তথা আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে ঈমান আনতে হবে, আহলে বাইয়্যেতের সাথে অবিচ্ছিন্ন থাকতে হবে। যারা আল্লাহ পরিষদের একজন মানুষের নিকট বা পরকাল প্রাপ্ত একজন মানুষের নিকট তথা অবতার বা প্রেরিত রাছুলের নিকট আনুগত্য বা বায়াত গ্রহণ করলো তারাই আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে ঈমান আনলো। মুহাম্মদ (সাঃ)-এর কালো চাদরের নীচে বাস করছে তাঁর আহলে বাইয়্যেত।

আল্লাহপাক তাদেরকে পবিত্র বলে ঘোষণা দিয়ে সুরা আহযাবের ৩৩ নম্বর আয়াতটি নাজিল করেছেন বিধায় রাছুল (সাঃ)-সহ তাদেরকে পাকপাঞ্জাতন বলা হয়। আয়াতটি হলো- “ইন্নামা ইউরিদুল্লাহা লে ইউজহেবা আনকুমুর রেজসা আহলাল বাইয়্যেতি ওয়া ইউ তাহ্হেরাকুম তাত্হিরা” অর্থাৎ অবশ্যই আল্লাহর ইচ্ছা যে, আহলে বাইয়্যেত হতে সকল প্রকার অপবিত্রতা দূর করতে এবং পরিপূর্ণরূপে পুত পবিত্র রাখতে যতোটুকু রাখার হক তার আছে। এই আয়াতকে “আয়াতে তাত্হির” বা পবিত্রতার আয়াত বলা হয়। এই নৌকা এবং চাঁদর যারা উম্মতে মুহাম্মদী হবে তারা চিনবে এবং ঐ নৌকাতে আরোহণ করে মুক্তিপ্রাপ্ত হবে বা নাজাত লাভ করবে, ভবিষ্যতে (মৃত্যুর পরে) নয় বর্তমানে।

যারা নবীর স্ত্রীগণকে আহলে বাইয়্যেতে গণ্য করে এরা অন্ধ-মূর্খ। দ্বীনে মুহাম্মদী কি জিনিস তা তারা বুঝেই নি। দ্বীনে মুহাম্মদীই একমাত্র ধর্ম এবং ইহা মানব জাতির জন্য বাস্তব মুক্তি বিধান। কোনো গন্ডীভূত জাতি-গোত্রের ধর্ম ইহা অবশ্যই নয়। কারণ, মানুষ মুহাম্মদ সুরতে তৈরী- এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, মুসলমানের কথা বলা হয় নি। কাজেই যারা দ্বীনে মুহাম্মদীর অনুসারী তথা মানব ধর্মের অনুসারী তথা হায়ানীয়াত হতে বের হয়ে ইনসানীয়াতের মাঝে কায়েম হচ্ছে তারাই খাঁটি মুসলমান বা খাঁটি হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান- মূলতঃ এক ধর্মকেই ধারণ করছে তথা এক আল্লাহর ফেৎরাতকেই ধারণ করে চির মুক্তির দেশে অবস্থান করছে, একত্বের ভিতর বাস করছে। ধর্ম ত্যাগ বলতেও কিছু নেই, যা আছে তা হলো হায়ানী আত্মার ধর্ম ত্যাগ করে ইনসানী আত্মার ধর্মকে ধারণ করা, নফসে মুৎমাইন্নাহ্ অর্জন করা। এখানে জাতিগত মুসলমানের নফসের কথা বলা হয় নি বা জাতিগত হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টানকেও বলা হয় নি।

মানুষের নফসের কথা বলা হয়েছে কোরানে। কারণ, কোরান কোনো জাতিগত ধার্মিকদের নয়, কোরান বিশ্ব মানব জাতির জন্য প্রেরিত। গীতা, বাইবেল, তাওরাত, যাবুর ইত্যাদি ধর্মশাস্ত্র মানব জাতির জন্য প্রেরিত। অন্ধ-মূর্খ বধিরগণ ধর্মশাস্ত্রকে জাতি-গোত্রে বিভক্ত করেছে ব্যক্তিস্বার্থের কুমতলবটি বাস্তবায়ন করার জন্য। তারা ধর্ম শাস্ত্রের মুহকামাত বুঝেনি, বুঝেছে মুতাশাবেহাত তথা রূপক, কাঠামো। এজন্যই ধর্ম এবং ধর্মশাস্ত্র নিয়ে তাদের মধ্যে মতভেদের অন্ত নেই। সেই মতভেদের বেড়াজালে পড়ে হুঁশ-আক্কেল সব হারিয়ে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি, ফতোয়াবাজি, জোড়-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন, মানুষ হত্যা চালাচ্ছে। অর্থাৎ মানুষরূপে শয়তানই (ইন্নাহু লাকুম আদুউ্যুম মুবীনুন) ধর্মের ছদ্মাবরণে এসব করে যাচ্ছে। এরাই হলো অসভ্য জাতি, বর্বর জাতি, আহলে বাইয়্যেত হতে বিচ্ছিন্ন জাতি ইয়াজিদ, হায়ানীয়াত হলো এদের চরিত্র। কাজেই মানব জাতির ঐক্যতার প্রশ্নে তথা মুক্তির জন্য আহলে বাইয়্যেতকে ধারণ করে দ্বীনে মুহাম্মদীতে দাখেল হতে হবে। এ ছাড়া মানব জাতির মুক্তি মিলবে না। কারণ, প্রত্যেকটি মানুষের সাথেই আহলে বাইয়্যেত ঐক্যতার নিদর্শনস্বরূপ রয়েছে এবং এই আহলে বাইয়্যেতকে ধারণ করেই মুক্তি লাভ করতে হবে।

আপন খবর