সংকলক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
পোস্টটিতে কুরআন শরীফ হতে নিত্য প্রয়োজনীয় ১২৫ টি গুঢ় ভাবব্যঞ্জনাধর্মী বাণী মোবারক তথা আয়াত সন্নিবেশিত হয়েছে। আশা করি পোস্টটি থেকে সত্যানুসন্ধীগণ উপকৃত হবেন।
আধ্যাত্মিক আয়াত সমূহ –
১ – আল হাককু মাররুন” -সত্য বড় তিতা।
২ – ইন্নাল্লাজিনা আমানু ওয়া আমিলুছ ছালিহাতি উলা ইকা হুম খাইরুল বারিয়্যাহ” -নিশ্চয় যারা আমানু ও সৎকর্ম করে তথা শুদ্ধির কর্ম করে তারাই শ্রেষ্ঠ।(বাইয়্যিনাহ ৭)
৩ – ক্বাদ আফলাহা মান যাক্কাহা ওয়া ক্বাদ খাবা মান দাসসাহা” -যে নিজেকে পবিত্র করবে সেই সফলকাম আর যে নিজেকে অপবিত্র করবে সে ব্যর্থ।(আস শামস ৯,১০)
৪ – লিকুল্লি জাআলনা মিনকুম শিরআতান ওয়া মিন হাজান” -তোমাদের জন্য নির্ধারন করেছি একটি বিধি(শরিয়ত) এবং একটি খাস পথ(তরিকত)। (সুরা মায়েদা ৪৮)
৫ – ওয়া আল্লামনাহু মিন লাদুন্না এলমান” -আমরা তাকে আমাদের জ্ঞান ভান্ডার হতে দান করেছি।(কাহাফ ৬৫)
৬ – ওয়া আছবাগা আলাইকুম নেয়ামাহু জাহেরাতান ওয়া বাতেনান” -আমরা তোমাদের দিয়েছি জাহের ও বাতেন দুটি নেয়ামত।
৭ – ইন্নাল্লাযিনা ইউবায়্যিউনাকা ইন্নামা ইউ বায়্যিউনাল্লাহা,ইয়াদুল্লাহি ফাওকা আইদিহিম” -নিশ্চয় যারা আপনার হাতে বায়াত হয় তারা নিশ্চয় আল্লার হাতে বায়াত হয়।আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর।(ফাত্তাহ ১০)
৮ – ফামান নাকাছা ফাইন্নামা ইয়ানকাহু আলা নাফসিহি,ওয়ামান আউফা বিমা আহাদা আলাইহুল্লাহা ফাছাউতিহি আজরান আজিমা” -যে উহা (বায়াত) ভঙ্গ করে সে তো আপন নফসের উপরই ভঙ্গ করে এবং তার ওপর আল্লাহর যে অঙ্গিকার ছিল উহা যে পূর্ণ করে আল্লাহ তাকে শিঘ্রই আজমত ওয়ালা পারিশ্রমিক দান করেন।(ফাত্তাহ ১০)
৯ – লাকাদ রাদিআল্লাহু আনিল মু’মিনিনা ইজ ইউ বাইয়্যিউনাকা তাহতাস সাজারাতি ফাআলিমা মা ফী কুলুবিহিম ফাআন জালাচ্ছা কীনাতা আলাইহিম অআছাবাহুম ফাতহান ক্বাবিরা” -নিশ্চয় আল্লাহ মুমিনদিগ হতে সন্তুষ্ট হয়েছেন যখন তারা বৃক্ষতলে তোমার নিকট বায়াত গ্রহণ করলো, তাদের অন্তরে যা ছিল তা তিনি জানতেন, সুতরাং তিনি তাদের ওপর নাযিল করলেন প্রশান্তি এবং তাদেরকে দান করলেন একটি আশু বিজয়।(ফাত্তাহ ১৮)
১০ – মান ইউতির রাছুলা ফাকাদ আতাআল্লাহ” -যে রাছুলের আনুগত্য করল সে আল্লাহরই আনুগত্য করল।(নিসা ৮০)
১১ – কুল ইন কুনতুম তুহিব্বুনাল্লাহা ফাত্তাবেউনি ইউহেব্বুকুমুল্লাহ” -বল হে রাসুল, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও তাহলে আমার আনুগত্য করো, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালোবাসবেন।(এমরান ৩১)
১২ – কুল আতিউল্লাহা ওয়া আতিউর রাছুলা” -বল আল্লাহ ও রাছুলের আনুগত্য করো।(এমরান ৩২)
১৩ – ওয়া আতিউল্লাহা ওয়ার রাছুলা লা আল্লাকুম তুরহামুনা” -আল্লাহ ও তার রাছুলের আনুগত্য করো সম্ভবত তোমরা তার রহমত লাভ করবে।(এমরান ১৩২)
১৪ – রাছুলের আনুগত্যে জান্নাতে দাখেল হবে।(নিসা ১৩)
১৫ – রাছুলের ওপর ঈমান না থাকলে দোযখে দাখেল হবে।(ফাত্তাহ ২৯)
১৬ – রাছুল এবং তার সঙ্গীরা কাফেরদের ওপর কঠোর।(ফাত্তাহ ২৯)
১৭ – রাছুলকে কষ্ট দিলে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি দিবেন আল্লাহ, তিনি আমানু দের রহমত স্বরূপ।(তাওবা ৬৯)
১৮ – যারা আল্লাহ ও রাছুলের কথা অমান্য করে তারা পথভ্রষ্ট।(আহযাব ৩৬)
১৯ – যারা মুমিন তারা রাছুলের অনুমতি ছাড়া স্থান ত্যাগ করে না।(নুর ৬২)
২০ – রাছুলের আদেশ বা হুকুম তোমাদের একে অন্যের মতো নয়।(নুর ৬৩)
২১ – নবী আমাদের মতো নয়। (মুমিনুন ২৪)
২২ – আল্লাহপাক তার ফেরেস্তা গন সহ নবীজির ধ্যানে থাকেন।(আহযাব ৫৬)
২৩ – ওয়ামা আরসালনাকা ইল্লা রাহমাতাল্লীল আলামিন” -আমরা আপনাকে সমস্ত জগতের রহমত স্বরুপ প্রেরন করিয়াছি। (সুরা আম্বিয়া ১০৭)
২৪ – আল্লাহু নুরুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব, মাছালু নূরীহি কামিশকাতিন ফিহা মিছবাহুন, আল মিছবাহু ফী যুজাযাহ, আয্যুজাযাতু কাআননাহা কাউকাবুন দুররিয়্যাহ ইউক্বাদু মিন শাজারাতিম মুবারাকাতিন, যাইতুনা তিল্লা শারাকিয়্যাতিউ ওয়ালা গাবিয়্যাহ, ইয়াকাদু যাইতুহা ইউদীউ ওয়ালাউ লাম তামছাছহু নার, নুরুন আলা নুর, ইয়াদিল্লাহু লিনুরীতি মাইয়্যাশাউ, ওয়াইদ্বরিবুল্লাহুল আমাছালা লিননাসি, আল্লাহু বিকুল্লি শাইয়্যিন আলিম” -আল্লাহ হলেন আকাশ ও জমিনের (মানস জগত ও দেহ জগত) এর নুর। নুরের মেছাল হল যেমন একটি প্রদীপ দানী বা তাক, তার মধ্যে একটি প্রদীপ। প্রদীপ টি একটি কাচের ভিতর, কাচটি যেন একটি উজ্জল তারকার মতো, প্রজ্জলিত হয় পবিত্র একটি জয়তুন বৃক্ষ হতে, যা পূর্বেও নহে পশ্চিমেও নহে, ইহার (প্রদিপের) তৈল বিরামহীন আলো দান করে, যদিও অগ্নি উহাকে স্পর্শ করে না। নুরের ওপর নুর। আল্লাহ তার নুরের জন্য হেদায়েত করেন যে সর্বদা ইচ্ছা করে। এবং আল্লাহ মানুষদের জন্য উপমা দিয়ে থাকেন। এবং আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের জন্য জ্ঞানবান। (সুরা নুর ৩৫)
২৫ – ওয়া ইয়ান ইলাল্লাহি বিইজনিহি ওয়া সিরাজাম মুনিরা” -হে রাসূল,আমি আপনাকে সত্যের দিকে আহব্বান কারী রুপে এবং প্রজ্জলিত বাতি বা প্রদীপরুপে প্রেরন করেছি। (সুরা আহযাব ৪৬)
২৬ – ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানুজকুরুল্লাহা জিকরান কাছিরা” -হে আমানুগন,তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমানে স্বরন করো বা ধ্যান করো।(আহযাব ৪১)
২৭ – আর রাহমানু ফাসআল বিহী খাবিরা” -তিনিই রাহমান,সুতরাং তার (ইনছানুল কামেল) কাছে খবর জিঙ্গাসা করুক।(ফুরকান ৫৯)
২৮ – ওয়ালাক্বদ বা আছনা ফিকুল্লি উম্মাতির রাছুলান আনিবু দুল লা হা ওয়াজতানিবুত তাগুতা” -অবশ্যই আমরা প্রত্যেক জাতির মধ্যে একজন রাসূল প্রেরন করি, যাতে তারা আল্লাহর ইবাদত করে এবং তাগুত বর্জন করে।(নাহল ৩৬)
২৯ – ওয়া মা আরসালনা মিন রাছুলিন ইল্লা বিলিসানি কাওমেহী লিইউবাইয়্যেনা” -আমরা কোনো রাসূল পাঠাইনি তার কওমের ভাষা ব্যাতিত, যাতে তিনি তাদের বুঝতে পারেন।(ইব্রাহিম ৪)
৩০ – নাহনু নাকাসসু আলাইকা আহসানাল কাসাস” -আমরা আপনার ওপর নাযিল করেছি উত্তম কাহিনি। (সুরা ইউসুফ ৩)
৩১ – উলাইকা কাতাবা ফী কুলুবিহিম ঈমানা ওয়া আইয়্যাদাহুম বিরুহিমমিনহু” -তাদের অন্তর আল্লাহ দৃঢ় করে দিয়েছেন ঈমান দ্বারা এবং নিজ রুহ দ্বারা করেছেন শক্তিশালী।(মুজদালাহ ২১)
৩২ – ওয়া ইন তাদউহুম ইল্লা হুদা লাইয়াসমাউ। ওয়া তারাহুম ইয়ানজুরুনা ইলাইকা ওয়াহুম লা ইউবসিরুনা” -এবং যদি তোমরা তাদেরকে হেদায়েত এর দিকে ডাক, তা হলে তারা তা শুনবে না। তুমি দেখিতেছো যে তারা তোমার দিকে দেখিতেছে অথচ তারা তোমাকে দেখিতেছে না।(আরাফ ১৯৮)
৩৩ – ওয়া কুনু মাআস স্বদিকিন” -তোমরা সাদেকিন দের সঙ্গী হও। (সুরা তওবা ১১৯)
৩৪ – ওয়া মিমমান খলাকনা উম্মাতান ইয়াহদুনা বিল হাক্কে বিহি ইয়াদেলুনা” -আমাদের সৃষ্টির মধ্যে এমন একটি দল আছে যারা ভাবে হেদায়েত দান করে এবং ন্যায় বিচার করে।(আরাফ ১৮১)
৩৫ – ফাওয়াল্লি ওয়াজহাকা শাতরাল মাসজিদিল হারাম” -তুমি তোমার মুখমন্ডল মসজিদে হারামের দিকে ফিরাও।(বাকারা ১৪৪)
৩৬ – ফাইন জালালতুম মিন বাদি মা জাআতকুমুল বাইয়্যিনাত” -তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট বাইয়্যেনাত (ইনছানুল কামেল) আসার পরও যদি তোমাদের অধঃপতন হয়, ফাআলামু আননাল্লাহা আজিজুন হাকিম” -তাহলে জেনে রাখ নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ব্বোচ্চ হেকমতের অধিকারি। (বাকারা ২০৯)
৩৭ – ফালাম তাকতুলুুহুম ওয়ালা কীন্নাল্লাহা কাতালাহু, ওয়ামা রামাইতা ইজ রামাইতা ওয়ালা কিন্নাল্লাহা রামা” -তোমরা তাদেরকে হত্যা করোনি বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন, এবং তুমি (রাছুল) যখন ধুলি নিক্ষেপ করছিলে তখন তুমি নিক্ষেপ করোনি বরং তা আমিই নিক্ষেপ করছিলাম।(আনফাল ১৭)
৩৮ – ওয়াহুয়া মাআকুম আইনামা কুনতুম” -তুমিও যেখানে আল্লাহু সেখানে।(হাদিদ ৪)
৩৯ – হুয়াল আউয়ালু ওয়াল আখিরু ওয়াজ জাহিরু ওয়াল বাতিনু,ওয়াহুয়া বিকুল্লি শাইয়্যিন আলিম” -তিনি আদি,তিনি অন্ত,তিনি প্রকাশ,তিনি গোপন; তিনি প্রত্যেক বিষয়ের সাথে জ্ঞানবান। (সুরা হাদিদ ০৩)
৪০ – ওয়ালিল্লাহিল মাশরেকু ওয়াল মাগরিবু ফা আইনামা তুয়াল্লা ফাসাম্মা ওয়াজহুল্লাহ” -পুর্ব ও পশ্চিম আল্লাহর ই জন্য,তোমরা যেদিকেই ফির না কেন সেদিকেই আল্লাহর চেহারা রয়েছে।(বাকারা ১১৫)
৪১ – ফাজকুরুনি আজকুরুকুম ওয়াশকুরুলি ওয়ালা তাকফুরুন” -আমাকে জেকের (ধ্যান,স্বরন) করো আমিও তোমাদের জেকের করবো।(বাকারা ১৫২)
৪২ – লা ইকরাহা ফিদ্দিন” -ধর্মের মধ্যে জোর জুলুম নাই। (সুরা বাকারা ২৫৬)
৪৩ – আমানুদ খুলু ফিছছিলমি কাফফাতান” -হে ঈমানদার গন তোমরা পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামে প্রবেশ করো। (সুরা বাকারা ২২৮)
৪৪ – আরাআইতা মানিততাখাজা ইলাহাহু হাওয়াহু” -তুমি কি দেখনা যে ব্যাক্তি তার প্রবৃত্তিকে উপাস্যরুপে গ্রহন করেছে।(ফুরকান ৪৩)
৪৫ – আর রাহমানু ফাসআল বিহি খাবিরা” -যে রাহমান সম্পর্কে খবর জানে তার কাছে জিজ্ঞাসা করো।(ফুরকান ৫৯)
৪৬ – ফাসআলু আহলাজ জিকরি ইন কুনতুম লা তা’লামুন” -যদি তোমরা না জানো তবে জিকিরকারি(ধ্যানকারি)দের কাছে জিজ্ঞাসা করো।(আম্বিয়া ৭)
৪৭ – আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি খালাকাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা ওয়াজা আলাজ জুলমাতি ওয়ান নুর” -সমস্ত প্রসংসা আল্লাহর যিনি আসমান জমিন সৃষ্টি করেছেন এবং সৃষ্টি করেছেন জুলমাত ও নুর।
৪৮ – ওয়ামান কানা ফি হাজিহি আমা ফাহুয়া ফিল আখিরাতি আমা ওয়া আদাল্লু ছাবিলা” -যে ইহলোকে অন্ধ সে পরলোকেও অন্ধ ও চরম পথভ্রষ্ট।
৪৯ – ইন্নাছ ছালাতা তানহা আনিল ফাহসাই ওয়াল মুনকার” -নিশ্চয়ই ছালাত সমস্ত অশ্লিলতা এবং অবিশ্বাস নিবারন করে। (সুরা আনকাবুত ৪৫)
৫০ – ওয়াকিমুচ্ছালাতা লি জিকরি” -ছালাত কায়েম করো জিকির (আল্লাহর ধ্যান/স্বরন) এর জন্য।(ত্বাহা ১৪)
৫১ – ইন্নাল মুছাল্লাযিনা হুম আলা ছালাতিহিম দায়েমুন” -নিশ্চয়ই তারাই মুছল্লি যারা দায়েমি ছালাতে রত আছে। (সুরা মাআরিজ ২২-২৩)
৫২ – ওয়াকিমুচ্ছালাতা লিদুলুকিস শামছে ইলা গাসাকিল লাইলে ওয়া কুরআনাল ফাজরে, ইন্না কুরআনাল ফাজরে কানা মাশহুদা” -ছালাত দাড় করো বা প্রতিষ্ঠিত করো এজন্য যে, সূর্য হেলিয়া যাইয়া রাত্রির অন্ধকারাচ্ছন্নতার দিকে চলে যায় এবং প্রভাতের কোরআনের জন্য।(বণী ইসরাইল ৭৮)
৫৩ – ইয়া আইয়্যুহাললাযিনা আমানুত্তাকুল্লাহা ওয়াবতাগু ইলাইহিল ওছিলাতা ওয়া জাহিদু ফি ছাবিলিহি লাআল্লাকুম তুফলিহুন” -হে ইমানদারগন,আল্লাহকে ভয় করো এবং তার দিকে (নৈকট্য লাভের) উপায় অন্বেষন করো এবং তার জন্য জিহাদ (সাধনা)করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।(মায়েদা ৩৫)
৫৪ – বাইনাহুমা বারযাখুল্লা ইয়াবগিয়ান, ইয়াখরুজু মিনহুমাল লু’লুউ ওয়াল মারজান” -তাদের দুইয়ের মাঝে একটি বাধ আছে যা তারা ভঙ্গ করে না। এই দুই হইতে বাহির হয় লুলু এবং মারজান।(আর রাহমান ২০,২২)
৫৫ – কুল্লুমান আলাইহা ফান, ওয়া ইয়াবকা ওয়াজহু রাব্বুকা জুল জালালি ওয়াল ইকরাম” -সবকিছুই ফানা তথা নশ্বর, এবং স্থায়ী তোমার রবের চেহারা যা জালাল ও কেরামতের অধিকারি।(আর রাহমান ২৬,২৭)
৫৬ – আকিমুছ ছালাতা ওয়া আতুয জাকাতা ওয়া আকরিদুল্লা হা কারদ্বান হাসানা” -ছালাত প্রতিষ্ঠিত করো, যাকাত আদায় করো এবং আল্লাহকে কর্জে হাসানা দাও।(মুজাম্মিল ২০)
৫৭ – ওয়ামা আতাইতুম মিন যাকাতিন তুরিদুনা ওয়াজহাল্লা হি ফাউলা ইকা হুমুল মুদ্বইফুন” -তোমাদের মধ্য হইতে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য যাকাত আদায় করে তাহাদের ধন সম্পদ বৃদ্ধি পায় এবং তারাই সমৃদ্ধশালী।(রুম ৩৯)
৫৮ – ইয়া আইয়্যুহাল্লাযিনা আমানু কুতিবা আলাইকুমুস সিয়াম, কামা কুতিবা আলাল্লাযিনা ফি কাবলিকুম লা আল্লাকুম তাত্তাকুন” -হে ঈমানদার গন, তোমাদের ওপর সিয়াম কেতাবস্থ করা হইল যেমন কেতাবস্থ করা হইয়াছিল তোমাদের পুর্ববর্তি গনের ওপর, যেন তোমরা তাকওয়া করো।(বাকারা ১৮৩)
৫৯ – শাহরু রামাদানাল্লাযি উনযিলা ফীহিল কুরআনু হুদাল্লিন্নাছি ওয়া বায়্যিনাতি মিনাল হুদা ওয়াল ফুরকান” -রমজান মাস হইতে কোরআন নাযিল হয় যাহা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং হেদায়েতের একটি ব্যাখ্যা ও ফুরকান। (সুরা বাকারা ১৮৫)
৬০ – ফাআম্মাল্লাযিনা ফী কুলুবিহিম যাইগুন ফাইয়াত্তাবিউনা মাতাশা বাহা” -যাদের অন্তরে শয়তান আছে তারাই অনুসরন করে রুপকের বা অলংকারের।
৬১ – নাহনু আকরাবু ইলাইহি মিন হাবলিল ওরিদ” -আমরা তাহার প্রানশিরা অপেক্ষা নিকটে আছি।(কাফ ১৬)
৬২ – ওয়া ফিল আরদ্বি আইয়াতুল্লিল মুমি’নিন, ওয়া ফি আনফুসিকুম আফালা তুবসিরুন” -আছে দৃঢ় বিশ্বাসী দের জন্য নিদর্শন পৃথিবিতে, তোমাদের মধ্যেও, অনন্তর তোমরা কি দেখিতেছ না।(জারিয়াত ২০,২১)
৬৩ – ওয়া ছিয়া কুরসিউহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব” -আসমান ও জমিন ব্যাপি তার সিংহাসন।
৬৪ – ইন্নাজ জান্না লা ইউগানি মিনাল হাককি শাইয়ান” -নিশ্চয়ই অনুমান সত্যের সামনে কিছুমাত্র কাজে আসবে না।
৬৫ – ফালানা কুচ্ছানা আলাইহিম বিইলমিউ ওয়ামা কুন্না গাইবিন” -অতঃপর আমি তাদের নিকট বিবৃত করব জ্ঞান/প্রমান সহকারে যে আমি অদৃশ্য ছিলাম না।(আরাফ ৭)
৬৬ – ফাইযা সাওওয়াতুহু ওয়া নাফাকতু ফিহি মিররুহি ফাকাউ লাহু সাজিদিন” -যখন তার আকৃতি গঠন করবো এবং তাতে আমার রুহু ফুকে দেবো তখন তার জন্য সেজদা করিও।(হিজর ২৯)
৬৭ – ওয়া ইজ কুলনা লিল মালাইকাতিস জুদু লি আদামা ফাসাজাদু ইল্লা ইবলিসা, আবা ওয়াসতাকবারা ওয়া কানা মিনাল কাফেরিন” -যখন আমরা ফেরেস্তা গনকে বললাম, সেজদা দাও আদমের জন্য, সুতরাং সবাই সেজদা করল, একমাত্র ইবলিস ছাড়া। সে অস্বিকার করল এবং কাফেরদের দলভুক্ত হল।(বাকারা ৩৪)
৬৮ – ফাসাজাদাল মালাইকাতু কুল্লুহুম আজমাউনা” -সমস্ত ফেরেস্তারা সঙ্গে সঙ্গে সেজদা করল।(হিজর ৩০)
৬৯ – ওয়ামা খলাকতুল জিন্না ওয়াল ইনছান ইল্লা লিয়া’বুদুন” -আমি সৃষ্টি করেছি জ্বীন ও মানুষকে আমার ইবাদতের জন্য।(জারিয়াত ৫৬)
৭০ – ওয়াবুদু রাব্বাকা হাত্তা ইয়াতিইকাল ইয়াকিন” -ইবাদত করো তোমার রবের ইয়াকিন অর্জন না হওয়া পর্যন্ত।(হিজর ৯৯)
৭১ – ওয়া রাফাআ আবাওয়াইহে আলাল আরশী ওয়া খাররু লাহু সুজ্জাদান” -সে পিতা মাতাকে উচ্চাসনে বসালো এবং ওরা তার প্রতি সেজদায় লুটিয়ে পড়ল।(ইউসুফ ১০০)
৭২ – ওয়া লিল্লাহি ইজ্জাতু ওয়ালি রাছুলিহি ওয়ালিল মু’মিনিনা ওয়া লাকিননাল মুনাফিকিনা লাইয়া’লামুন” -ইজ্জত আল্লাহর জন্য, রাছুলের জন্য এবং মুমিনদের জন্য, মুনাফিকরা তা বুঝে না।(মুনাফিকুন ৮)
৭৩ – কুললা আছআলুকুম আলাইহি আজরান ইল্লাল মা আদ্দাতা ফিল কুবরা। অ মা ঈয়াক তারিফ হাছানাতান নাযিদ লাহু ফীহা হুছনা” -হে রাসূল বলে দিন, আমি চাইনা এই বিষয়ে (নবুয়্যত) কোনো পারিশ্রমিক তোমাদের কাছে, আমার নিকটবর্তি গনের ভালোবাসা ব্যাতিত। যে ব্যাক্তি এই আদেশের সদ্ব্যাবহার করে আমি (আল্লাহ)তার শ্রী বৃদ্ধি করি।(শুরা ২৩)
৭৪ – ফাকুল তাআলাউ নাদউ আবনা আনা ওয়া আবনা আকুম, অ নিছা আনা অ নিছাকুম, ওয়া আনফুসানা অ আনফুসানাকুম। সুম্মা নাবতাহেল ফানাজ আল লানাতাল্লাহি আলালু কাজেবিন” -সুতরাং তুমি বল এসো, আমরা ডাকি আমাদের সন্তানদেরকে এবং তোমাদের সন্তানদেরকে এবং আমাদের নারিদেরকে এবং তোমাদের নারিদেরকে এবং আমাদের নফসকে এবং তোমাদের নফসকে, অতঃপর আমরা শপথ পাঠ করি, মিথ্যুকদের ওপর আল্লাহর লানত বর্ষিত হোক।
৭৫ – আন নাবিয়্যু আওলা বিল মুমিনিনা মিন আনফুসিহিম” -নবী বিশ্বাসীগণের নিকট তাদের প্রাণাপেক্ষা অধিক প্রিয়।(আহযাব ৬)
৭৬ – আল ইয়াওমা ইয়া ইসাল্লাযীনা কাফারু মিন দ্বীনিকুম ফালাতাখ শাওহুম ওয়াখশাওনি, আল ইয়াওমা আকমালতু লাকুম দ্বীনাকুম ওয়া আত মামতু আলাইকুম নেয়ামাতি ওয়া রাজিতু লাকুমুল ইসলামা দ্বীনা” -আজ কাফেরগন তোমাদের দ্বীন হতে নিরাশ হয়ে গেছে, অতএব তাদেরকে আর ভয় করিও না, ভয় কর আমাকে। আজ তোমাদের দ্বীন পুর্ন করে দিলাম,তোমাদের ওপর আমার নেয়ামত পুর্নতা দান করলাম এবং তোমাদের দ্বীন ইসলামের ওপর রাজি হলাম।
৭৭ – মাইয়্যেতের রাছুলা ফাক্বাদ আতাআল্লাহ” -যে রাছুলের আনুগত্য করল সে আল্লাহরই আনুগত্য করল।
৭৮ – ইয়া আইয়্যুহার রাছুলু বাল্লিগ মা উনযিলা ইলাইকা মির রাব্বিকা, ওয়া ইনলাম তাফআল ফামা বাল্লাগতা রিসালাতুহু, ওয়াল্লাহু ইয়াছিমুকা মিনান্নাসি, ইন্নাল্লাহা লা ইয়াহদিল কাওমাল কাফিরিন” -হে রাসুল,পৌছে দিন যা কিছু অবতীর্ণ করা হয়েছে আপনার প্রতি আপনার প্রতিপালকের নিকট থেকে, যদি না করেন তবে আপনি কোনো সংবাদই পৌছালেন না। এবং আল্লাহ আপনাকে রক্ষা করবেন মানুষ হতে। নিশ্চয় আল্লাহ কাফের দলকে হেদায়েত করেন না।(মায়েদা ৬৭)
৭৯ – লাহুম কুলুবুন লাইয়াফকাহুনা বিহা, ওয়ালাহুম আইউবসিরুনা বিহা, ওয়ালাহুম আজনুন লা ইয়াসমাউন বিহা” -তাদের অন্তর আছে কিন্তু তারা বুঝে না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তারা দেখে না, তাদের কান আছে কিন্তু তারা শুনে না।(আরাফ ১৭৯)
৮০ – ইন্নামা ইউরিদুল্লাহা লি ইউজ হিবা আনকুমুর রিজসা আহলাল বাইয়াতি ওয়া ইউ তাহহিরাকুম তাতহিরা” -আল্লাহর ইচ্ছা যে, আহলে বাইয়াত হতে সকল প্রকার অপবিত্রতা দুর করতে এবং পরিপুর্নরুপে পুত পবিত্র রাখতে যতটুকু রাখার হক তার আছে।(আহযাব ৩৩)
৮১ – মান ইয়াহ দিল্লাহি ফাহুয়াল মুহতাদ, ওয়া মান ইউদলিল ফালান তাজিদা লাহু ওয়্যালিয়্যান মুর্শিদান” -আল্লাহ যাকে হেদায়েত করেন সেই হেদায়েত প্রাপ্ত হয়, যাকে পথহারা করেন সে কোনো ওলি বা পথ প্রদর্শক পাবে না।(কাহাফ ১৭)
৮২ – ফা কতুলু আনফুসাকুম জালিকা খাইরুল্লাহকুম ইনকুন্তুম তা’লামুন” -তোমাদের নফসকে কতল করো যদি তোমরা জ্ঞানি হয়ে থাকো।
৮৩ – ওয়াল্লাহু লা ইয়াহদিল কাওমাল ফাসিক্বিন” -আল্লাহ ফাসেকদের পথ প্রদর্শন করেন না।
৮৪ – মিনহা খলাকনাকুম, ওয়া ফিহা নুইদ্বুকুম, ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তারাতান উখরা” -মাটি থেকে তোমাদের সৃষ্টি করেছি, পুনরায় এ মাটির মধ্যেই ফিরিয়ে আনব এবং এ মাটি হতেই পুনরায় তোমাদের বের করব।
৮৫ – ইন্নাল্লাহা ইউহিব্বুত তাওয়াবিনা ওয়া ইউহিব্বুল মুততাহহিরিন” -নিশ্চয়ই আল্লাহপাক তওবা কারিকে ও পরিচ্ছন্ন ব্যাক্তি দিগকে মহব্বত করেন।
৮৬ – আলা ইন্না আউলিআল্লাহু লা খাউফুন আলাইহিম ওয়া লাহুম ইয়্যাহজানুন, লাহুমুল বুশরা ফিল হায়্যাতিদ দুনিয়্যা ওয়াল আখিরাহ” -আল্লাহর অলি দের কোনো ভয় নেই, তারা দুশ্চিন্তা গ্রস্তও হবে না। তাদের জন্য রয়েছে পার্থিব জিবনে শান্তি ও পরকালে মুক্তির সুসংবাদ।
৮৭ – আল্লাহু মায়াস্সবিরিন” -আল্লাহ ধৈর্যশীল দের সাথী।
৮৮ – আল্লাযিনা ইয়্যাজকুরুনাল্লাহা কিয়ামাউ ওয়া কু’উ দান ওয়া আলা জুনুবিহিম ওয়াইয়্যাতা ফাক্কারুনা ফি খলাকিচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব” -তারাই পরিনাম দর্শী, যারা উপবিষ্ট, দন্ডায়মান, অর্ধ শায়িত সকল অবস্থায় আল্লাহর ধ্যানে মশগুল থাকে এবং আসমান জমিনের সৃষ্টি রহস্য সম্বন্ধে চিন্তা করে।
৮৯ – বিলগুদুব্বি ওয়াল আছাল” -সকাল সন্ধায় জেকের করো।(রা’দ ১৫)
৯০ – ওয়ালা রাতাবিন ওয়ালা ইয়া বিছিন ইল্লা ফি কিতাবিম মুবিন” -কোনআন শরীফে রয়েছে বিশ্বের যাবতীয় জ্ঞান এবং রত্নের সমাবেশ।(আনআম ৫৯)
৯১ – ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন” -নিশ্চয় আমরা তার নিকট থেকে এসেছি এবং তার ই নিকট ফিরে যাব।
৯২ – ওয়ালা তাকুলু লিমাইইউ কতালু ফি ছাবিলিল্লাহি আমওয়াতুন, বাল আহইয়াউন, ওয়ালাকিন লা তাশউরুনা” -যারা আল্লাহর রাস্তায় (সাধনায়)কতল হয়েছেন, তাকে মৃত বলিও না। বরং তারা জীবিত, তোমরা জান না।(বাকারা)
৯৩ – আতিউল্লাহা ওয়াআতিউর রাছুলা ওয়া উলিল আমরি মিনকুম” -এতায়াত করো আল্লাহর, রাসুলের এবং উলিল আমর বা নেতার।
৯৪ – ইন্নামা ওয়ালীইয়্যু কুমুল্লাহু ওয়া রাছুলাহু ওয়াল্লাজীনা আমানুল্লাজীনা ইউকিমুস সালাতা ওয়া ইউতুনাজ্জাকাতা ওয়া হুম রক্বেউন” -নিশ্চয়ই তোমাদের অভিভাবক হলেন আল্লাহ ও তার রাছুল। যারা ইমান আনয়ন করে।যারা ছালাত কায়েম করে ও যাকাত আদায় করে তারাই হলো রুকুকারি(রুজুওয়ালা)।(মায়েদা ৫৫)
৯৫ – আনাল্লাহু মাআল মুমিনিনা” -আল্লাহ মুমিনগনের সাথে আছেন।
৯৬ – লিল্লাজি খলাক্বাছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বা ওয়ামা বাইনাহুমা ফী ছিত্তাতি আইয়্যামিন ছুম্মাসতাওয়া আলাল আরশ, আর রাহমানু ফাসআল বিহি খাবিরা” -যিনি আসমান, জমিন এবং এর মধ্যবর্ত্তি সমস্ত কিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন, তারপর অধিষ্ঠিত হলেন আরশের উপর। তিনিই রাহমান, তার কাছেই জ্ঞাতব্য খবর জিজ্ঞাসা করো।(ফুরকান ৫৯)
৯৭ – ফালা ইয়ানজু ইললা মান আতাললাহা বি কালবিন ছলিম” -যে পবিত্র অন্তকরন নিয়ে আসবে সেই নাজাত পাবে।(শুরা ৮৯)
৯৮ – ওয়ালিল্লাহি মা ফিস্সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্ব ওয়া কানাল্লাহু বি কুল্লি শাইম্মিম মুহিত” -আকাশ সমুহ এবং পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে সবি আল্লাহর জন্যে। আল্লাহ সব কিছু কে পরিবেষ্টন করে রয়েছেন।(নিসা ১২৬)
৯৯ – লাইসাল বিররা আন তুওয়াললু উজুহাকুম কেবালাল মাশরিক ওয়াল মাগরিব, ওয়া লাকিননাল বিররা মান আমানা বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি ওয়াল মালাইকাতি ওয়াল কিতাবি ওয়ান নাবিয়্যিন” -তোমাদের মুখমন্ডল পুর্ব বা পশ্চিমে ফেরানোতে কোনো পুন্য নেই, বরং পুন্য রয়েছে যে ব্যাক্তি আল্লাহতে ইমান এনেছে এবং পরকাল, ফেরেস্তা, কিতাব ও নবী গনের প্রতি ঈমান এনেছে।(বাকারা ১১৭)
১০০ – লাক্বদ জায়াকুম রাছুলুম মিন আনফুসিকুম আজিজুন আলাইহি মা আনিত্তুম হারিছুন আলাইকুম বিল মু’মিনিনা রাওফুর রাহিম” -তোমাদের নিকট তোমাদের মধ্য হইতে এমন একজন রাছুল আগমন করেছেন যিনি তোমাদের দঃখ কষ্ট দেখে বিচলিত হন, তিনি তোমাদের কল্যানকামি, মুমিনদের জন্য অত্যন্ত দয়ালূ।(তাওবা ১২৮)
১০১ – কুল ইন্নামা আনা বাসারুম মিছলাকুম, ইউহা ইলাইহা” -বলো আমি তোমাদের মতোই মানুষ, কিন্তু আমার প্রতি যে ওহী হয়।
১০২ – খালাকা কুমমিন নাফসিউ ওয়াহেদাতিন ছুম্মা জাআলা মিনহা জাউজাহা” -তোমাদের এক নফস হতে সৃজন করেছেন অতঃপর তা হতে যুগল সৃজন করেছেন।(যুমার ৬)
১০৩ – কাদ খাসিরাল্লাজীনা কাজজাবু বি লিকাইল্লাহি ওয়ামা কানু মুহতাদিন” -যারা আল্লাহর সংঙ্গে মিলনকে মিথ্যা বলেছে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তারা কখনো হেদায়েত প্রাপ্তদের অর্ন্তভুক্ত ছিল না।(ইউনুস ৪৫)
১০৪ – ওয়াত্তাকুল্লাহা ওয়ালামু আন্নাকুম মুলাকুহু, ওয়া বাশশেরিল মু’মিনিনা” -আল্লাহকে ভয় করো এবং জেনে রাখ তোমরা তার মুখোমুখি হতে যাচ্ছ। এবং সুসংবাদ মুমিনদের জন্য।(বাকারা ২২৩)
১০৫ – ওয়া ইন্না কাছীরাম মিনান্নাসি বিলিক্বাই রাব্বিহিম লা কাফিরুন” -নিশ্চয়ই মানবমন্ডলীর মধ্যে অধিকাংশই রবের সাক্ষাৎ স্বীকার করে না।(রুম ৮)
১০৬ – লা তুদরেকুহুল আবসারু ওয়া হুওয়া ইউদরিকুল আবসারা, ওয়া হুয়াল লাতিফুল খাবির” -কোনো চক্ষুই তাকে ধারন করতে পারে না, অথচ তিনি সকল চক্ষুকে ধারন করে আছেন, তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী।(আনআম)
১০৭ – ওয়ামা ইয়াত্তাবিউ আকসারুহুম ইল্লা জান্নান, ইন্নাজ জান্না লা ইউগনি মিনাল হাক্কি শাইয়্যান, ইন্নাল্লাহা আলিমুন বিমা ইয়াফআলূনা” -বস্তুত তাদের অধিকাংশই ধারনা ব্যাতিত অন্য কিছুর অনুসরন করছে না। নিশ্চয় ধারনা সত্যের মোকাবেলায় কোনো কাজেই আসবে না। আল্লাহ তাদের কর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।(ইউনুস ৩৬)
১০৮ – ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানুত্তাকুল্লাহা হাক্ক তুকতিহি ওয়ালা তামুতুন্না ইল্লা ওয়া আনতুম মুসলিমুন” -হে ঈমান দার গণ, আল্লাহকে ভয় করার মতো ভয় করো এবং মুসলমান না হইয়া মৃত্যুবরন করিও না।(আল ইমরান ১০২)
১০৯ – লাক্বাদ খলাকনা ইনছানা ফি আহসানি তাকভিম” -বাস্তবিকই আমরা ইনছানকে উত্তম গঠনে সৃষ্টি করিয়াছি।
১১০ – আফালা ইয়া তাদাব্বারুনাল কুরআনা আম আলা কুলুবিন আকফা লুহা” -তবে কি তারা কোরআন সম্পর্কে গভীর চিন্তা করে না?(মুহাম্মদ ২৪)
১১১ – ইন্নাল ইনছানা খুলিকা হালুআ,ইযা মাসসাহুশ শাররু জাযুআ, ওয়া ইযা মাসসাহুল খাইরু মানুয়া, ইল্লাল মুসাল্লিনাল্লাযিনা হুম আলা ছালাতিহিম দায়েমুন” -ইনছানকে সৃষ্টি করা হয়েছে দুর্বল চিত্তরুপে, যখন মন্দ তাকে স্পর্শ করে তখন হয় ধৈর্যচ্যুতি, যখন কল্যান স্পর্শ করে তখন হয় কৃপন, মুসল্লি ব্যাতিত যারা সার্বক্ষনিক /অবিরাম (দায়েমি) ছালাতে আছে।(মাআরিজ ১৯-২৩)
১১২ – ইয়া আইয়্যাতুহান নাফসুল মুতমাইন্নাহ, ইরজিয়ী ইলা রব্বিকি রদিয়াতাম মারদিয়্যাহ, ফাদখুলি ফি ইবাদি, ওয়াদখুলি জান্নাতি” -হে প্রশান্ত আত্মা, ফিরে আস তোমার রবের দিকে খুশি মনে, সুতরাং আমার সেবক দলে দাখেল হও, এবং দাখেল হও আমার জান্নাতে।(ফাজর)
১১৩ – ওয়ামা আরছালনাকা ইল্লা রাহমাতাল্লীল আলামিন” -আমরা আপনাকে বিশ্বের জন্য রহমত স্বরুপ পাঠাইয়াছি।(আম্বিয়া ১০৭)
১১৪ – ওয়ান্নাজমু ওয়াশ্শাজারু ইয়াসজুদান” -তৃনলতা ও বৃক্ষাদি সেজদাবনত আছে।(রাহমান ৬)
১১৫ – ওয়াছজুদু ওয়াকতারিব” -সিজদা করো এবং নিকটবর্তি হও।(আলাক্ব ১৯)
১১৬ – ওয়াজকুরিছমা রাব্বিকা ওয়াতাবাত্তাল ইলাইহি তাবতিলা” -তোমার রবের নাম স্বরন করো এবং একাগ্রভাবে তাতে মগ্ন হও।(মুযাম্মিল ৮)
১১৭ – আলাবি জিকরিল্লাহিল তাতমাইন্নুল কুলুব” -আল্লাহর স্বরনে চিত্ত প্রশান্ত হয়।(রাদ ২৮)
১১৮ – কুল্লু শাইয়্যিন হালিকুন ইল্লা ওয়াজহু” -আল্লাহর মুখ ব্যাতিত সব ধ্বংস হবে।(ক্বাছাছ ৮৮)
১১৯ – লা তাবদিলা লি কালিমাতিল্লাহি” -আল্লাহর বানীর কোনো পরিবর্তন নেই।(ইউনুছ ৬৪)
১২০ – ইন্নাল হাছানাতি ইউজহিবনাছ ছাইয়্যিআত” -সৎকর্ম অবশ্যই অসৎকর্মকে দুর করে দেয়।(হুদ ১১৪)
১২১ – ওয়া ইজা ছাআলাকা ইবাদি আন্নি ফাইন্নি ক্বারিবুন” -বান্দাগণ যখন আমার সম্পর্কে প্রশ্ন করে তখন বলুন আমি তো নিকটেই।(বাকারা ১৮৬)
১২২ – ওয়াল্লাহু ওয়ালিউল মু’মিনিন” -আল্লাহ বিশ্বাসীদের অভিভাবক।(আল ইমরান ৬৮)
১২৩ – বালহুয়া কুরআনুম মাজিদুন ফি লাওহে মাহফুজ” -বস্তুত এ সম্মানিত কোরআন যা সংরক্ষিত ফলকে লিপিবদ্ধ।(বুরুজ ২১-২২)
১২৪ – ইন্নাহু লা কুরআনুল কারিম। ফি কিতাবিম মাকনুন। লা ইয়ামাচ্ছুহু ইল্লাল মুতাহহারুন” -নিশ্চয়ই ইহা সম্মানিত কোরআন, যাহা আছে সুরক্ষিত কিতাবে, পুতপবিত্রগন ব্যাতিত কেহ ইহাকে স্পর্শ করতে পারে না।(ওয়াক্বিয়াহ ৭৭-৭৯)
১২৫ – ফাআক্বিম ওয়াজহাকা লিদ্দিনি হানিফা, ফিতরাতাল্লাহিল্লাতি ফাত্বরান্নাসা আলাইহা, লাতাবদিলা লিখালক্বিল্লাহি, জালিকাদ দীনুল ক্বাইয়্যিম, ওয়ালাকিন্না আকছারান্নাছি লাইয়া লামুন” তুমি একনিষ্ঠ হয়ে নিজেকে দ্বীনে প্রতিষ্ঠিত করো, আল্লাহর ফেৎরাতের অনুসরন করো, যে ফেৎরাতে আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছে, আল্লাহর সৃষ্টিতে কোনো পরিবর্তন নাই, ঐটাই স্বরনীয় দ্বীন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানেনা।(রুম ৩০)
সংকলক – লাবিব মাহফুজ চিশতী