ভাবানুবাদ – লাবিব মাহফুজ
1.
জগত জানায়ো জিহি সাকাল সো জাগ জানিয়ো নাহি
জিয়ো আঁখি সব দেখিয়ে আঁখি না দেখি জাহি।
অনুবাদ –
আমি নয়ন দ্বারা জগত হেরী, না পাই ‘নয়ন’ হেরীতে
তেমনি জগতে যে জগত পতি, তারে যায়না ধরা জগতে।
2.
সবয় রাসায়ন ম্যায় কিয়া প্রেম সমান না কোয়
রতি ইক তান মে সনচারে সব তন কাঞ্চন হোয়।
অনুবাদ –
সকল হেরী নিলাম জেনে, কিছুই প্রেমের সমান নয়
প্রেমের এক রতিতে, পূর্ণ দেহ, খাঁটি স্বর্ণ হয়।
3.
নয়না অন্তর আও তু তিউহি ন্যায়ন ঝাপেউঁ
না হউ দেখুঁ অওর কু না তুঝে দেখন দেউঁ।
অনুবাদ –
নয়ন মাঝে এসো আমার, অতঃপর নয়ন মুদে নিবো
দেখবে না কেউ তোমায় কভূ, আমিও কাওরে না দেখিবো।
4.
দস দুয়ারে কা পিনজরা তা মে পনছি পওন
রহিবে কো আচরজ হ্যায় জায়ে তো আচরজ কওন।
অনুবাদ –
দশ দুয়ারী এ পিঞ্জরায়, পবন পাখি রয়
উড়ে যাওয়াই স্বভাব পাখির, থাকা বিষম দায়।
5.
বিরহা ভুজঙ্গম প্যায়ঠি কারি কিয়া কলেজা ঘাও
সাধু অংগ না মোড়হি জিউ ভাওয়ে তিও খাও।
অনুবাদ –
হৃদয়ে দংশিছে বিরহ ভূজঙ্গ, ব্যাথা বিষে জড়জড়
অঙ্গ নাড়েনা প্রেমিক তবু! সয়ে রয় নিরন্তর।
6.
আয়ে সাকুঁ না তুঝ পে সাকুঁ না তুঝ বুলায়ে
জিয়ারা য়ুঁহি লেহুংগে বিরহা তাপায়ে তাপায়ে।
অনুবাদ –
না পারি ডাকতে তোমায়, না পেলাম তোমাতে আশ্রয়
বিরহ অনলে, এমনি জ্বালিলে, আমারে করে নিরুপায়।
7.
বিরহা জলন্তি ম্যায় ফিরুঁ জলত জলহারি জাউঁ
মো দেখয়া জলহারি জ্বলে সন্তোঁ কাহাঁ বুঝাউঁ।
অনুবাদ –
এ কোন অনল জ্বালিলে হৃদে, পুড়িল পরাণ পাখি
নেভাতে গেলাম, সলিল অবধি, জ্বলিয়া উঠিল সখি।
8.
মায়া তো ঠগিনে বানি ঠগত ফিরে সব দেস
জা ঠগ য়া ঠগিনে ঠগি তা ঠগ কো আদেস।
অনুবাদ –
এ মায়াধামে ভূলিল জগত, এতই মায়ার মায়া
এ মায়ারে যে ভুলাইতে পারে, সেইতো পরম কায়া।
9.
মুয়ে পিছে মাত মিলো কহে কবিরা রাম
লোহা মাটি মিল গ্যায়া তব পারস কেহি কাম।
অনুবাদ –
মরণের পর দেখা দিবে প্রভু, কি লাভ হবে তাতে
কি হবে দিয়া পরশপাথর, লোহা মিশিলে মাটিতে!
10.
হাঁসি হাঁ কান্ত না পাইয়া জিন পায়া তিন রোয়
হাসেঁ খেলে হরি মিলে কওন সুহাগন হোয়।
অনুবাদ –
সুখ সাগরে সে মণি-কাঞ্চন, বলো কে পেয়েছে তারে
আঁখিনীড়ে তারে পেতে হয় প্রিয়, তপ্ত অশ্রূ ধারে।