লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
প্রশ্নকর্তা – মাজারে কুকর্ম ও গাঁজা সেবন চলে। সমাজের উপর কুপ্রভাব পরা নির্মুল করতে তারা এ ধরণের কাজ করেছে! এর জবাবে কী বলবেন?
উত্তরদাতা – মাজারে কুকর্ম হয় এটা কি প্রমাণিত কোনো অপরাধ? নাকি তাদের দেয়া অপবাদ? কোন কুকর্মটা প্রমাণিত? আর প্রমাণিত অপরাধের ক্ষেত্রে বিধিসম্মতভাবে বিচার হওয়া উচিত। বিচারবহির্ভূত আক্রমণ, হামলা, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ সন্দেহাতিতভাবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। মাজার ভাঙ্গার সাথে জড়িত সবাই এক একটা সন্ত্রাসী।
আচ্ছা, মেনে নিলাম, কিছু মাজারে মাদকসেবন সহ কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন অনৈতিক কাজ হয়।
সেটার সাথে মাজারে শায়িত মহান ওলী আউলিয়ার কি সম্পর্ক?
মসজিদে ইয়াবা পাচার, ইমাম কর্তৃক ধর্ষন সহ হাজারো অনৈতিক কাজের অসংখ্য নিউজ আছে।
মসজিদ ভাঙবেন?
মাদ্রাসায় বলাৎকার তো মহামারির পর্যায়ে পৌঁছেছে।
মাদ্রাসা ভাঙবেন?
মানলাম আপনার গায়ে অসুখ। ঘাঁ। শরীরকেই মেরে ফেলবেন?
মানলাম, মাজারে অনৈতিক কাজ হয়। মামলা হোক। তদন্ত হোক। বিচার হোক। বিধিগত ভাবে প্রশাসন ভেঙ্গে দিক।
এবার আপনি বলেন, ভেঙ্গে দেয়া যোগ্য প্রমাণিত অপরাধ কোনটা মাজারের?
দেশকে কুকর্ম মুক্ত করা আপনার দায়িত্ব? আচ্ছা, মদের বার, পতিতালয়, সুদ-ঘুষ যুক্ত প্রতিষ্ঠান এসব কেনো ভাঙছেন না?
ওদের আক্রোশ শুধু মাজারে? একটা স্থাপনা ভাঙ্গার জন্য অধিকার তাদের কে দিয়েছে?
মাজারে ধর্মব্যবসার কথা বলবেন? ভাই – মাজারে তো ভক্ত ১০ টাকার মানত দেয়। ৩০ মিনিট ওয়াজে ৮০ হাজার টাকা – সেটা ধর্ম ব্যবসা না? ইমামতি করে টাকা নেয়া ধর্মব্যাবসা না? মাদ্রাসার নিরিহ ছেলেদের দিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করানো ধর্ম ব্যাবসা না?
মাজারে শিরক হয়? বরং, মাজার হলো মানুষকে শিরকমুক্ত করার কেন্দ্র। অনুমান কল্পনায় খোদাবিশ্বাসী প্রতিটা কাঠমোল্লা এক একটা মুশরিক।
তারা কেনো মাজার ভাঙ্গে জানেন? পেঁচা যেমন সূর্যালোক ভয় পায়, তারাও মাজারে ভয় পায়। মাজার কেন্দ্রিক সুফি ধর্মবিশ্বাস সমাজে প্রতিষ্ঠা পেলে তাদের ওয়াজ ব্যবসা, নামাজ ব্যবসা, মাদ্রাসা ব্যাবসা থাকবে না। মানুষ মাজার অভিমুখি হলে কাঠমোল্লাদের দুলাইন মুখস্ত আরবীভাষার বাহাদুরি সমাজে থাকবে না। দেশ জাহিলিয়াত মুক্ত হবে।
তাই জাহিলিয়াতের অনুসারী সন্ত্রাসীদের প্রথম ও মূল লক্ষ্য হলো মাজার সমূহকে নিশ্চিহ্ন করা। যাতে তাদের জাহিলিয়াত প্রতিষ্ঠা সহজ হয়।
সত্য কখনোই হারিয়ে যায় না। স্বমহিমায় চিরভাস্বর থাকে। ওদের মিথ্যা জাহিলিয়াতের বাহাদুরি অবশ্যই থামবে। সত্যের জয় হবেই।
লাবিব মাহফুজ চিশতী
সম্পাদক – আপন খবর পত্রিকা