আতিকুর রহমান চিশতী
ওহে নবীন, এসো চির উন্মুক্ত যৌবন দ্বারে
তুমি সামান্য নও, সৃষ্টি সকল তোমারেই খুঁজে,
চেয়ে দেখো, তুমিই ব্রহ্মা – ব্রহ্ম তব করতলে।
যাহাকে দিখেতে জগত উতলা
সে তো তুমি, খুঁজিতেছো কারে?
গ্রন্থ চুষে খায় ভন্ডের দল! যেওনা তাদের কাছে
তুমি চাষার ছেলে, তুমি চষো জমি, দেহজমি।
যাহার বেদ পুরান, কুরানের বাঁধন নাই, তুমিই মহাগ্রন্থ
ঈসা, মুসা, ইব্রাহিম খলিল, মুহাম্মদ-
তাঁরা পড়েছে কি গ্রন্থ? গড়েছে কিতাব।
তুমি আনো নবীনগ্রন্থ, বিশ্ব আজো দেখেনি যাহারে!
ধর্মের যাতাকলে পিষিবে ওরা,
মানবতা খাবে ভর্তা করিয়া
তুমি তো চক্ষুষ্মান! চক্ষু পেয়েছো, দেখোনা চাহিয়া।
গাধার বোঝা কেনো বইবে? আনো নতুন প্রাণ
পৃথিবীকে নিয়ে ভাবো?
সে তো ধুলিকণাসম এ মহাধরিত্রীতলে,
এখানে বন্দী হয়ো না
স্বর্গের লোভ, নরকের ভয়, তিলে তিলে খাবে তোমারে।
ঐ যে গায়ে পড়া জিঞ্জির!
মারিবে তোমায় নাস্তিকতার তীর
মহাপ্রভূ সে তো ধর্মহীন! তুমি তাতে ভিন্ন নও-
সে মহাপ্রলয় আনে, ভেঙ্গে গড়ে নতুন পৃথিবী
ছড়িয়ে দাও নতুন প্রাণ নব নব গ্রহে মহাবিশ্বে।
তুমি আগুনে পুড়েছো, শুলে চড়েছো, তুমি তো নির্ভয়
এখানে চিরযৌবন! নাহি জন্ম-মৃত্যু-জরা
বিশ্ব ছাড়ায়ে নিয়ে চলো আতিক ফকিরে।