লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
1.
না জানি মুছাতে প্রিয় আঁখিরও ধারা,
পরাণ ভরিয়া দিবো বেদনা পাহারা!
সকল যাতনা রাশি আমারে দিয়া –
তবু হোক ভালো থাকা-ওগো মরমীয়া!
2.
যখন তুমি নিজেরে লুকাও আড়ালে, মৌনতায় –
আমার ছন্দগুলো, শব্দগুলো নিঃশব্দে হারায়!
3.
দিনশেষে ঘরে ফেরা ক্লান্ত পাখিটির মতো
অপরিচিত পৃথীবি থেকে ফিরে আসে প্রাণ!
নিয়ে আসে একরাশ গ্লানি! অপরিচিত দীর্ঘশ্বাস –
অহেতুক আবছায়া, অসমাপ্ত প্রণয়োপাখ্যান!
4.
জানি কেউ বুঝবেনা
তবু নিয়ম মেনে কাটানো এ রাত,
এভাবেই কেটে যাবে, দূষিত সময়
তবু এথা নেই কারো হাত!
5.
যদি ভয় হয় – একা হয়ে যাওয়ার!
মাঠের মাঝের বটগাছ, কিংবা
চৌরাস্তার তালগাছটির মতন!
আমি বরং হতে চাইবো দূর্বাঘাস –
যত্নে, অযত্নে – পদতল, পথদলে
তবু র’ব সকলের কাছে নিশিদিন!
6.
মন তো অসহায়, তবু বার বার
কেনো জাগে সাধ, ভালোবাসিবার –
কেনো দূরন্ত বাসনা, অক্ষম প্রাণে
হাতটি ধরার, বুকে জড়াবার?
ক্ষমিও প্রিয়, ক্ষমিও আমার
অযাচিত এই, প্রণয়-অধিকার!
কেনো অসহায় মনে, বার বার জাগে
তিয়াসা…ভালোবাসিবার!
7.
যখন বুকে বাজে উজান বাঁশি
উত্তাল ছন্দে স্বর্গ রাশি –
আছড়ে পড়ে ঘুম হরনী
নিশিথীনির কূলে;
আমি হতাশ নদী সাঁতরে ফিরি
স্বরণে তাঁর মরণ তরী –
বাইতে থাকি নিরবধী স্বর্গসুধা ফেলে!
সুখের নয়গো স্বর্গ আমার
নিতি ভাসায় বিষবাদলে!
8.
যখন আমার জোৎস্না দেখা – ফুরাবে
যখন সজল নয়ন ভিজায়ে দিয়ে,
বাদল ধারা লুকাবে!
তখনো রাখিস যতনে!
হয়তো তখন থাকবো না আর- নয়নে
থাকবো না আর শেষ নিশিথের
বুকের আলিঙ্গনে!
তখনো এমনি রাখিস বেঁধে- পরাণে!
রাখিস যতনে!
9.
যেটুকু বাহিরের, সকলের
গুছায়ে রাখি প্রতিক্ষণ!
কেউ কি জানে, বয়ে চলি সদা
কত আগোছালো প্রাণ!
10.
আমার হৃদয়জুড়ে বেজে চলে করুণ বেহালার গান
সূরাপাত্র খালি পড়ে থাকে একাকিত্বে! ম্রিয়মাণ !
আর আমি পড়ে থাকি ডানা ভাঙা
সায়ক-সংহৃত পাখিরটির মতন!
তুই ছাড়া দিনরাত মোর- অসহায়, সকরুণ
আমি বড় বেমানান! যখন তুই অবর্তমান!
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী