প্রবন্ধ – কথিত আলেম শ্রেণী আসলে একটি ‍উদ্ভট সম্প্রদায়

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

মুসলিম বামুন যাদের বলি, যারা আমাদের সমাজে আলেম বলে পরিচিত (জগতের অন্যকোনো জাতিতে বোধকরি জ্ঞানী বলে আলাদা একটা সম্প্রদায় নেই) তারা যে হাস্যকর ও আজগুবি টাইপের সম্প্রদায় বিশেষ – তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এসব মহামূর্খদের কিছু বিশেষত্ব বলছি-

১. এরা ধর্ম বোঝে না। ধর্মের আক্ষরিক ব্যাখ্যাকে ধর্মজ্ঞানে পালন করে। ফলে এদের পালিত ধর্ম উদ্ভট, শারিরিক কসরত ছাড়া কিছু না।
২. এরা আরবী ভাষা জেনে কোরান জানার উদ্ভট দাবি করে। রূপক প্রতীকের রহস্য এদের মোটা মাথায় ধরে না।
৩. ধর্মীয় ইতিহাস জ্ঞান প্রায় শূণ্যের কোঠায়। দর্শন বা সাহিত্য জ্ঞান তো দূরের কথা। নির্ধারিত কিছু আরবী ব্যাকরণ সমেত আজগুবি একটা সিলেবাসে পাঠক্রম শেষ করে তারা এক একটা বড় বড় বলদ হয়ে শিং উঁচিয়ে সমাজে জাহির হয়। বস্তুনিষ্ঠ কোনো জ্ঞান অর্জনে না থাকায় এরা মূলত এক একটা কলুর বলদ হয়েই জিবন যাপন করে।
৪. সামান্য কিছু ব্যাতিক্রম বাদে সবাই পুরোমাত্রায় কট্টর হয়। এ কট্টর হওয়ার শিক্ষাও তারা তাদের পাঠক্রমেই পেয়ে থাকে।
৫. তাদের মতে, তারা জগতের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী। তারা ছাড়া কেউ ধর্ম বোঝেনা। ধর্ম তাদেরি বাপ দাদার সম্পত্তি। আর তারা তো আল্লার প্রাইভেট সেক্রেটারি বটেই!
৬. তারা প্রত্যেকেই এক একটি স্বঘোষিত ধর্মবিধাতা(আল্লামা, মাওলানা, মুফতি, মুফাচ্ছের, ইত্যাদি)! তারা তাদের কূয়োর ব্যাঙের জ্ঞান দিয়ে যা বুঝে, ধর্ম সেটাই! আর কিছু বোঝার সুযোগ নাই!
৭. বিজ্ঞান বা বস্তুনিষ্ঠ জ্ঞান তো তাদের কাছে বরং ঘৃণিত, পরিত্যাজ্য! তারা উটের মূত্র, গাধা ঘোড়াতেই আটকে থাকতে পছন্দ করে।
৮. পেঁচা যেমন সুর্যালোক ভয় পায়, তারাও তেমনি জ্ঞান-বিজ্ঞান কে ভয় পায়। কারন, জ্ঞানের আলোয় তো বামুনত্ব টিকে না! তারা সকল বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে প্রথমে হারাম ফতোয়া দেয়, তারপর নিজেরাই সেটার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে।
৯. তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট হলো, তাদের মূর্খতার সাথে যা যা মিলবে না, তাই হারাম! অর্থাৎ ফতোয়া তাদের একচেটিয়া সম্পত্তি। মনের মিল না হলেই ফতোয়ার কারসাজি! ফতোয়া দিতে আর দিনক্ষণ লাগে না। ফতোয়াবাজিতে তারা খুব ওস্তাদ।
১০. এবার ‍মূল পয়েন্ট বলি। ধর্মজ্ঞান প্রতীকি ভাষায় হওয়ায় তারা ধর্মজ্ঞান না বুঝে তাদের অজ্ঞতার দ্বারা ধর্মকে নিজেদের মতো কাস্টমাইজ করে নিয়েছে। আর তাদের ব্যাখ্যাত ধর্ম আজগুবি হওয়াই স্বাভাবিক! তাই হয়েছে। তারাই ধর্মকে পরিয়ে ছেড়েছে ৭২ তালির পোষাক। প্রতিটি ধর্মবাণীর করেছে অপব্যাখ্যা। প্রগতিশীল সমাজের কাছে তারা ধর্মকে বানিয়ে ছেড়েছে জোকার! হাসির পাত্র! তাদের দ্বারা ব্যাখ্যাত হওয়ায় ধর্ম আজ শত শত প্রশ্নবিদ্ধ! তাদের অজ্ঞানতার ফলেই ধর্ম আজ জ্ঞান জগতে নিছক ঢিলা কুলূখের বিধানাবলীর সমাহার মাত্র।

যে জন্য এতো কথা বলা – আপনারা দয়া করে মোল্লার ধর্ম কে ইসলাম ভাববেন না। ওরা ধর্মের ঘাড়ে বসে থাকা পরজীবি মাত্র। ওদের উৎখাতের সময় এসেছে। ধর্ম প্রগতির বিধান। আপনা পালিত হবে। জ্ঞানীদের দ্বারা ধর্ম আবাদ হবে। ওরা ধর্মজ্ঞানের তেজ সহ্য করতে না পেরে একাই খসে পড়বে।

আবারো বলছি, মোল্লাতন্ত্রকে ইসলাম ভাববেন না। ইসলাম চির প্রগতির ধর্ম। বিজ্ঞানের ধর্ম। বস্তুনিষ্ঠ উভয়জাগতিক শান্তির ধর্ম ইসলাম। প্রকৃত ইসলাম কে জানুন। জ্ঞানীর থেকে ইসলামের শিক্ষা নিন। স্বঘোষিত ধর্মবেত্তাদের চক্রান্ত থেকে নিজেকে বাঁচান, ধর্মকে বাঁচান।

রচনাকাল – 04/08/2020
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

আপন খবর