সংকলন – লাবিব মাহফুজ চিশতী
একদম শুরু থেকেই দ্বীন মোহাম্মদীর ওপর প্রবাহিত হয়েছে বিরোধীতার তীব্র স্রোত। যার মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশের ওপর আসা সবচাইতে বড় আঘাতটি হলো ওহাবী-সালাফিবাদের আওতাধীন তাবলীগি মতবাদ বা তাবলীগ জামাত । যারা পরিকল্পিতভাবে দ্বীন-ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য মাঠে নেমেছিল। আপন খবরের এবারের আয়োজনে থাকছে তাবলীগ জামাতের মুখোশ উন্মোচণ –
শিব্বির আহমদ দেওবন্দি মোকালাতুস সাদরাইন নামক কিতাবে লিখেছেন, আশরাফ আলি থানভী ও ইলিয়াস সাহেবকে বৃটিশ গভ: এর পক্ষ থেকে নিয়মিত ৬০০ টাকা করে মাসিক ভাতা দেয়া হতো। প্রক্ষাত ঐতিহাসিক জনাব গোলাম মেহের আলী সাহেবের দেওবন্দি মাজহাব নামক কিতাবেও এই ভাতা প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করেছেন।
ব্রিটিশরা ওদেরকে টাকা দেন কেনো?
ওদের হেড অফিস লন্ডনে কেনো? কারণ,
ওরা ইঙ্গ-মার্কিন সহায়তায় নতুন ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত রয়েছে।
“জহিরুল হাসান, মেরা মুদ্দায়া কুই পাত্তা নেহি, লুগ ছমুজতেহেয় কে ইয়ে তাহরিকে ছালাত হেয়। মাই কসমসে কাহতা হো কেহ ইয়ে হারগেজ তাহরিকে ছালাত নেহি। একরোজ বরি হাছরতছে ফরমায়া, মিয়া জহিরুল হাসান এক নঈ কাওম পয়দা কারনি হেয়।” অর্থাৎ, মিয়া জহিরুল হাসান, আমার গোপন রহস্য কেউ জানেনা। লোকজন মনে করছে এটা নামাজের আন্দোলন, আমি কসম খেয়ে বলছি এটা কোনো নামাজের আন্দোলন না। একদিন খুবই আক্ষেপ করে বললেন, মিয়া জহিরুল হাসান! আমার উদ্দেশ্য হলো একটি নতুন কওম (দল) সৃষ্টি করা। (দ্বীনি দাওয়াত নামক উর্দু রেছালা ২৩৪পৃ মৌ ইলিয়াছ মেওয়াতি)।
“প্রচলিত ছয় উছুলি তাবলীগ জামায়াত কোরআন হাদীসের খেলাফ তথা শরীয়াত পরিপন্থি, ইসলাম ধর্মের বহির্ভূত।“ ইহা ওহাবি দলের একটি শাখা, চরমপন্থি বাতেল দল ও গোমরাহ ফেরকাহ।
মেশকাত শরীফের ৫৮২ পৃষ্ঠায় হযরত ইবনে ওমর (রা) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা) ফরমান, হে আল্লাহ আমাদের জন্য শামে বরকত দান করুন, হে আল্লাহ আমাদের জন্য ইয়ামেনে বরকত দান করুন। কতিপয় আসহাব আরয করলেন, ইয়া রাছুলাল্লাহ, নজদের জন্যও দোয়া করুন। পরপর তৃতীয় বারের অনুরোধে নবী (সা) বললেন, সেখান থেকে ভুমিকম্প ফেৎনা ও শয়তানের দল বের হবে।
নবী (সা) এর ভবিষ্যৎ বাণী মোতাবেক অষ্টাদশ হিজরির প্রথম ভাগে নজদে মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর জন্ম হয়। সে ছিল নবী, ওলী বিদ্বেষী, মিলাদ কিয়াম, ফাতেহা, ইছালে ছাওয়াব, মাজার বিরোধী । সে ছিল চরম ভ্রান্ত মতবাদী এবং নবী রাছুলগণের সাফায়াত অস্বীকারকারী গোমরাহ বা পথভ্রষ্ট।
তার রচিত ঈমান-নাশক কিতাব কিতাবুত তাওহীদ দেওবন্দিগণ অহীতুল্য মনে করে। এ কিতাবের আলোকে দেওবন্দে আরো কিছু কিতাব রচিত হয়েছে। যথাঃ তাকভিয়াতুল ঈমান, হিফজুল ঈমান, তাহজিরুন্নাছ, বারাহেনে কাতেয়া, ফতুয়ায়ে রশিদিয়া, রেছালায়ে আল এমদাদ, ছিরাতে মুস্তাকিম ইত্যাদি। ভারতে অবস্থিত দেওবন্দ মাদ্রাসার মাধ্যমেই পাক-ভারত উপমহাদেশে ওহাবি মতবাদ প্রসার লাভ করে।
বর্তমান সৌদি রাজ পরিবার ও ওহাবি মতবাদি। মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর বোন বিবাহ করে ইবনে সউদ উভয়ে মিলে ওহাবি রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করে এবং ইবনে সউদ এর নামে পবিত্র হেজাজ জাজিরাতুল আরবের নাম পরিবর্তন করে নাম রাখে সৌদি আরব।
আল্লামা ইবনুল আবেদনী শামী তার জগৎ বিখ্যাত কিতাব ফতোয়ায়ে শামীর ৩য় খন্ডের ৪২৮পৃ ওহাবি দের সম্পর্কে বলেন, কামা ওকায়া ফি জামানিনা ফি ইত্তেবায়ে আব্দুল ওহাব আল্লাজিনা খারাজু মিন নজদিন ওয়া তাগলাবু আলাল হারামাইন ওয়া কানু ইয়ানতাহালু মাজহবুল হাম্বালিয়াতে ওয়া লাকিন্না হুম ইয়তাকাদু আন্নাহুম হুমুল মুছলিমুন ওয়া আন্না মান খালাফা ইয়তেকাদুহুম মুশরিকুন। ওয়া ইছতাবাহু বিজালিকা কাতলা আহলুছ ছুন্নত ওয়া কাতলা উলামায়ুহুম। অর্থাৎ, আমাদের যুগে নজদ থেকে ওহাব নজদীর যে অনুসারিরা বের হয়ে মক্কা মদিনা আক্রমণ চালিয়েছে, ওরা নিজেদেরকে হাম্বলি বলে প্রকাশ করতো এবং ওরা এই বিশ্বাসী ছিল যে, একমাত্র ওরাই প্রকৃত মুসলমান, ওদের আকাইদ বিরোধীগণ মুশরিক। তাই ওরা আহলে সুন্নতের অনুসারিগণ ও তাদের ওলামাগণকে খুন করা হালাল মনে করত। (নাউযুবিল্লাহ)
ওহাবিগণ ছিল বৃটিশ ভক্ত একনিষ্ঠ অনুচর। বৃটিশদের পরামর্শ অনুযায়ি ওরা সকল কাজকর্ম করতো এবং নিয়মিত মাসিক ভাতাও পাইত। প্রচলিত তাবলিগ জামাত এই বৃটিশ মদদপুষ্ট।
ওহাবি দেওবন্দিদের ইংরেজ প্রীতির নমুনাঃ
ইলিয়াছ সাহেবের পীর রশিদ আহমদ গাঙ্গুহী এর তাযকেরাতুর রশিদ ৭৩পৃ লিখেছেন, বাজকে ছেরু পর মউত খেল রাহি থি।উনহুনে কোম্পানি কে আমান ও আফিয়ত কা জমানা কদরে নেগাহুছে না দেখখা আওর আপনি রহমদিল গভমেন্টকে ছামনে বাগাওয়াত আলম কায়েম কিয়া। অর্থাৎ কিছু সংখ্যক লোকের মাথার ওপর মৃত্যু খেলা করতেছিল। তারা কোম্পানির শান্তি ও নিরাপত্তার যুগ কে সম্মানের চোখে দেখেনি এবং দয়াবান সরকারের সম্মুখে বিদ্রোহ পতাকা স্থাপন করিল।
তাজকেরাতুর রশিদ এর ১ম খন্ডের ৮০পৃ লিখেছেন, যব মাই হাকিকতমে ছরকারকা ফরমা বরদারহো তু জুটে এলজাম ছে মেরা বাল বিহি বাকা না হোগা। আওর আগার মারা বিহি গিয়াতু ছরকার মালিক হেয় উছে এখতিয়ার হেয় জুচাছে কারে। অর্থাৎ, প্রকৃতপক্ষে আমি যখন সরকার (বৃটিশ) এর অনুগত, কাজেই মিথ্যা অভিযোগের দরুণ আমার বাল (চুল) ও বাকা হবার নয়। আমি যদি মারাও যাই তাহলে সরকারই আমার মালিক। তার এখতিয়ার রয়েছে তিনি যা ইচ্ছা করবেন।
হিন্দুস্থানে অবস্থিত দেওবন্দ মাদ্রাসা ওহাবিদের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উক্ত দেওবন্দ মাদ্রাসায় শিক্ষাপ্রাপ্ত ও তাদের ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বাসী দিল্লির ইলিয়াছ মেওয়াতি স্বপ্নের মাধ্যমে প্রচলিত ছয় উছুলি তাবলীগ জামাত ও চিল্লা গাশতের নিয়ম পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। (মলফুজাতে ইলিয়াছ ৫০পৃ)
“আপনে ফরমায়া কেহ এছ তাবলিগ কা তরিকা বিহি মুজপর খাব মে মুন কাশেফ হুয়া” অর্থাৎ ইলিয়াছ বলেন, প্রচলিত তাবলীগ জামায়াতের নিয়ম পদ্ধতি আমি স্বপ্নের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়েছি। অতএব এটা কুরআন সুন্নাহ সমর্থিত নয়। যার মুল উৎস হলো ইলিয়াছের স্বপ্ন। (মলফুজাতে ইলিয়াছ ৫০পৃ)। স্বপ্ন কখনো শরীয়তের দলীল হতে পারে না।
ইলিয়াছের স্বপ্ন শয়তানের স্বপ্ন এবং তাবলীগ জামাত শয়তানের দলও হতে পারে। স্বপ্নে কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ে করলে সকালে তাকে ঘরে আনতে পারবে কি? স্বপ্নে বউকে তালাক দিলে সত্যিই তালাক হবে কি? স্বপ্ন শরিয়ত নয়। একমাত্র নবীগণের স্বপ্ন ব্যাতিত অন্য কারো স্বপ্ন দ্বারা কোনো হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয় না। এজন্যই মনে হয় ইলিয়াছ নবুয়তের দাবিও করেছে! তবে কি করে ইলিয়াছের তাবলীগ শরিয়ত সম্মত হবে?
“কুনতুম খায়রা উম্মাতিন উখরিজাত লিন্নাছে তামুরুনা বিল মারুফে ওয়া তানহাওনা আনিল মুনকারে ওয়া তুমিনুনা বিল্লাহ কি তাফছীর খাব মে ইয়ে এলকা হুইয়ি কেহ তুম মিছলে আম্বিয়া আলাইহে ওয়া সাল্লামকে লুগুকে ওয়াস্তে জাহের কি গাইয়ি হু” (মলফুজাত ৫০পৃ) অর্থাৎ, ইলিয়াছ বলেন, কুনতুম খায়রা উম্মাতিন এ আয়াতের তাফসির আমার ওপর এরুপ হলকা হয় যে, হে ইলিয়াছ, তুমি নবীদের মতই মানুষের জন্য প্রেরিত হয়েছো। এখানে মিছলে আম্বিয়া দ্বারা ইলিয়াছ পূর্ণ নবুয়তের দাবি করেছে। কারণ, আরবিতে মিছল শব্দটি সমকক্ষতা বুঝানোর জন্য ব্যাবহৃত হয়। তাই ইলিয়াছ মিছলে আম্বিয়া বা নবীগনের সমকক্ষ হওয়ার দাবি করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)।
এছাড়া ইলিয়াছ (উর্দু) মলফুজাতের ১২৫পৃ বলেন, আমি উত্তরাধিকার সুত্রে নবুয়তের তোহফা প্রাপ্ত হয়েছি। (নাউযুবিল্লাহ)।
তাবলীগ জামাত এর অনুসারীরা বলে ‘প্রচলিত তাবলীগ নারী পুরুষ প্রত্যেকের ওপর ফরজে আইন!’ যেমন, বর্তমানে আমরা তাবলীগ শুধু আলেমদের জন্যই খাছ করিয়া দিয়াছি। অথচ তাবলীগ প্রত্যেকের ওপর ফরজে আইন। (দাওয়াতে তাবলীগ, ২য় খন্ড, মাও আম্বর আলি )
‘মুসলমান দুহি কিছিমকে হুছেকতে হেয় তেছরি কুই কিছিম নেহি ইয়া আল্লাহকে রাস্তে মে খুদ নিকালনে ওয়ালেহু, ইয়া নিকালনে মদদ কারনে ওয়ালেহু’ অর্থাৎ মুসলমান দু রকম হয় যারা নিজে আল্লাহর রাস্তায় (চিল্লায় বের হয়) ও যারা এদের মদদ/সাহায্য করে। এছাড়া ৩য় প্রকার কোনো মুসলমান নেই! (মলফুজাত ৪৬পৃ ইলিয়াছ)
‘তাবলীগের মাধ্যমে যারা প্রচার না করবে তাদেরকে নাকি জাহান্নামে যেতেই হবে!’ (আল আছরে, হাছান আলি)
প্রচলিত তাবলীগ যদি প্রত্যেকের ওপর ফরজে আইন হয় তবে ইলিয়াছ পূর্ববর্তী জামানার আলেম, মুজতাহেদ, মুজাদ্দেদ, গাউছ কুতুব, ইমাম, ফুকাহা, আউলিয়ায়ে কেরাম ও দুনিয়ার সকল মানুষ ছয় উছুলি তাবলীগ জামাত না করে চিল্লা গাশত টঙ্গি সোনাবানের বাড়ি ইজতেমায় যোগদান না করে ফরজে আইন তরক করে গিয়েছে? যারা তাবলিগ জামাত করবে না বা সাহায্য করবে না তারা যদি মুসলমান না হয় তবে তো ইলিয়াছের বাপ দাদাগণও মুসলমান না।
১৪শত বৎসর পূর্বে মদিনার ইসলাম কে ২৫ বছরের দিল্লির মেওয়াতির স্বপ্নের ইসলাম দ্বারা বদলায়ে ফেলেছে। তাবলীগ জামাত না করলে যদি জাহান্নামে যেতে হয় তবে যারা তাবলীগী জামানা পাননি তারা সকলেই কি জাহান্নামি? যারা এখনও তাবলীগ করছেন না তারা সকলেই কি জাহান্নামি? একমাত্র যারা শয়তানের ফির্কা তাবলীগ করছেন তারাই জান্নাতি? সে জান্নাত কোথায় অবস্থিত?
ইসলাম ধর্মের বেণা ৫টি। যথা : কালেমা, ছালাত, যাকাত, সাওম, হজ্জ। ইলিয়াছ এই ৫ বেণা ভেঙ্গে মনগড়া ৬ উসুলে রুপান্তরিত করে নিয়েছে। যথা কালেমা, নামাজ, একরামুল মুসলিমিন, এলেম ও জিকির, ছহি নিয়্যত, নফর ফি সাবিলিল্লাহ বা তাবলীগ। ইসলামের পঞ্চবেণা সবগুলোই ফরজ, একটিকে অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যাবে। নবী করিম (সা) এর শরিয়তে কারো কর্তৃত্ব চলেনা। শরীয়তের হুকুম বাড়ানো কমানো নবীর কাজ, ইহাতে কারো অধিকার নেই। ইলিয়াছ নবী (সা) এর পঞ্চবেণার ইসলাম ভেঙ্গে ছয় উছুলি ভাওতাবাজির ইসলাম বানিয়ে নিয়েছে।
ওরা বলে এগুলো ইসলামের বেণা নয়! এইগুলো তাবলীগের উছুল! বেণা এক জিনিষ আর উছুল এক জিনিস! এভাবে ওরা সাধারন মুসলমানদের ধোকা দেয়। অথচ বেণা ও উছুলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আরবি ব্যাকরণ মতে এরূপ শব্দকে মুরাদেফ লফজ বলে। উছুল শব্দটি আছলের বহুবচন। আছল শব্দের অর্থ মূল, শিকড়, স্তম্ভ ইত্যাদি। অতএব ৬ উসুলকে বেণা বললেও কাফের হবে, ইসলামের বেণা নয় বললেও কাফের হবে।
নবী (সা) এর সাবধান বাণীঃ বুখারি শরিফ ২য় খন্ড ১১২৮পৃ আবু সাঈদ খুদরি থেকে বর্ণিত, হুজুর (সা) ফরমান, পূর্বদেশ থেকে একটি দল বের হবে, এরা কুরআন পড়বে কিন্তু ওদের কুরআন পড়া হলকুমের নিচে থাকবে। ওরা দ্বীন ধর্ম থেকে এরুপ ভাবে বের হয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে চলে যায় আর কখনো শিকারের ওপর ফিরে আসে না। জিঙ্গাসা করা হলো ইয়া রাছুলাল্লাহ ওদের চেনার উপায় কি? বললেন, ওরা অধিকাংশ লোকই মাথা কামায়ে রাখবে। মেশকাত শরিফের ২য় খন্ড ৪৬২পৃ হাশিয়া লুময়াতে বর্ণিত আছে ওরা গোল হয়ে বসবে।
গায়েবের সংবাদদাতা হায়াতুন্নবী বলেন, আখেরি জামানায় মিথ্যাবাদি দাগাবাজ লোক বের হবে।তারা তোমাদের নিকট এমন মিথ্যা হাদিস নিয়ে আসবে যা তোমরা ইতিপূর্বে শোননি এমনকি তোমাদের তোমাদের বাপ দাদাগণও শোনেনি। (মেশকাত শরিফ) । যেমন এক কদমে ৪০ বছরের পাপমোচন, দ্বিতীয় হজ্জ, চিল্লায় এক রাকাত নামাজে ৭ লক্ষ রাকাতের ছওয়াব, এক টাকা চিল্লায় খরচ করলে ৪৯ কোটি টাকার ছওয়াব, টঙ্গির ইজতেমা আরাফাত সমতুল্য ইত্যাদি।
পবিত্র কোরআন মাজিদের এবং সহি হাদিসের কোথাও এই ছয় উছুলি তাবলিগের প্রমাণ নেই। ভারত, পাকিস্থান, বাংলাদেশে প্রচলিত ছয় উছুলি চিল্লা তাবলিগ ইলিয়াছ এর স্বপ্নে প্রাপ্ত মনগড়া বানানো ধোঁকাবাজি মাত্র। যারা বাইরে নামাজ রোজা মেসওয়াক, ঢিলা কুলুখের লেবেল লাগিয়ে মুনাফিকি ও শয়তানি কাজকর্ম তথা স্বভাব ধর্ম ইসলাম কে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
ভন্ড ইলিয়াছ মেওয়াতির স্বপ্নে প্রাপ্ত তাবলীগ জামাত এর
– উছুল হলো ৬টি যথা, কালেমা, নামাজ, ইলম ও জিকির, ছহীহ নিয়্যত, ইকরামুল মুসলিমিন, নফর ফি সাবিলিল্লাহ।
– তাবলীগী দ্বীনের ভন্ড নবী দিল্লির ইলিয়াছ মেওয়াতি।
– তাবলীগী দ্বীনের কিতাব ইলিয়াছ মেওয়াতির মলফুজাত।
– তাবলীগী দ্বীনের উৎস ইলিয়াছের স্বপ্ন।
– তাবলীগী দ্বীনের ইজতিমা টঙ্গি, ঢাকা।
এই ইজতিমা সুত্রপাত হয় খারেজিদের দ্বারা ৩৬ হিজরিতে। খারেজিরা হযরত আলি (রা) এর হক দল ত্যাগ করে নিজস্ব দল গঠনের জন্য ইরাকে আব্দুল্লাহ বিন ওহাব রাসেবির গৃহে সমবেত হয় তাহাই ছিল ওদের প্রথম ইজতিমা। ইলিয়াসি তাবলীগীরা ঐ দলের ই একটি শাখা।
সংকলক – লাবিব মাহফুজ চিশতী