অনুকাব্য – সে পলকে আসে

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

1.
নীড় হারা পাখি সম সুরগুলো মোর,
মন্দ্র তারে কাঁপে আকুল, বেদনা বিধুর!
প্রিয়, কত আর? তোমা পানে চেয়ে থাকা প্রাণ-
কাঁদিবে কূলে দাড়ায়ে, ব্যাথা পারাবার!

2.
স্বরচিত বেদনায়, মিলনেরে করিব আমি, কঠিন, বাধাময়…
কাঁদিবো একাই, বিরহের ছলে, ভালোবাসিতে, হতে ভালোবাসাময়!

3.
প্রেমের মরূতে আমি ভীতু পরিযায়ী
সূদুর সলিল পানে নিরখিয়া আছি,
আসুক সাইমুম, দিগন্ত ব্যাপী
হারাই আবারো, খুব কাছাকাছি!

4.
আঁখিতে জাফরি সম ঝুলে তিয়াসা
প্রদোষে সালতি বাসে, কৌমুদীর ভাষা!
মৃণাল চয়ন হেরী, নয়ন অভিরাম –
ব্যাকুল শম্বরও প্রাণ, চাহে ভালোবাসা!

5.
এ পথ কোথায় শেষ হইবে পথিক কি তা জানে?
তাঁর শেষ ঠিকানা জানে শুধু পথ হারানোর মানে!

6.
একটি আকাশ ভাড়া নিয়ে মেঘের চাষ করতে চেয়েছিলাম!
কেউ দিলো নাহ!
এবার একটি হৃদয় ভাড়া নিয়ে গল্পের চাষ করতে চাই!
যাতে সময়ে-অসময়ে বেলায়-অবেলায়; প্রচুর –
ইচ্ছে হলেই শুনে যেতে পারি মায়াদন্ডের আখ্যান!
কেউ আছে কি?

7.
সব কথা বলে দিয়ে – ইচ্ছে করে
একদম চুপ হয়ে যাই!
ইচ্ছে করে, সবাই কে পেয়ে
আমিই হারিয়ে যাই দূরে, অনেক দূরে!
খুব ইচ্ছে করে, অনেক ভালোবেসে
মরে যাই! আড়াল হয়ে যাই চিরতরে…

8.
তুমি আমার ভীষণ ব্যক্তিগত!
তাইতো নিতি বাড়াও জ্বালা, কাঁদাও আমায় অবিরত!

9.
সে পলকে আসে, পলকে হারায়
অখিল হৃদয় সলিল ধারায়,
আমি নিরবধী, অভিমানী হায়
কেঁদে ভরি বুক- যাতনারাশি –
একবার যদি বলতো! ভালোবাসি!

10.
আমি তো চাইনি
ফাগুন গোধূলীর স্বর্ণাভ আভায়
কিছুকাল- সবাই কে হাসিয়ে, রাঙিয়ে
মিলিয়ে যাবো শূণ্যতায়!
হতে চেয়েছিলাম কালবৈশাখী!
যার প্রলয় সংহার রুদ্র তান্ডবে
রেখে যাবো দীর্ঘ-রেখাপাত!
যাতে কেউ না ভুলে আমায়!

লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী

আপন খবর