লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী
1.
জবাকুসুমসঙ্কাশ শ্রীরূপধারী
মোহনও রূপে মা হৃদয়ও চারী,
আসিলো, আসিলো, বেদীর পরে –
নিত্যপূজার তরে!
জাগ্রত জননী হৃদি বিন্ধ্যাচলে
দনুজদলনী জাগো মা,
জাগো গো, বুকের ঘরে।
2.
তুমি দেখা দিবে বলে
তোমারে দেখার যোগ্য করে আমার এ নয়ন গড়িলে!
আমি অন্ধ তাই
নিজের অজান্তে বারেবারে আমি নিজেরেই দেখে যাই!
মূর্খ বলে কথা!
তোমার আমার ব্যাবধান আজো বলে বেড়াই যথাতথা!
3.
মনের দরে মন কেনা যার
শ্যামের প্রেমের জ্বালা সেই জানে,
সে বয় রাধা সম কলঙ্কভার
মন হারানোর বৃন্দাবনে।
4.
প্রেমানলে পরাণ যাহার পুড়েছে গো সই-
সে দিনরজনী রাধারানী
তমাল ডালে কলঙ্কিনী
যমুনার ই কূলে কাঁদে শ্যামবিরহী রাই।
শ্যামের রূপ অনলে হৃদয় যাহার পুড়েছে গো সই!
5.
কেনো রহ নিশ্চুপ-
আমি যে তোমায় ডাকি বারেবারে
আকুল হয়ে, ভিতরে বাহিরে,
তবু কেনো হায়, না দাও সাড়া
না দাও দেখা- জ্বেলে রূপের প্রদীপ!
প্রিয়তম গো! কেনো রহ নিশ্চুপ!
6.
তুমি তো পতিতপাবন,
তোমার দয়া হতে কভূ নাহি ফিরে কেহ,
সকল সখা সখীর, তুমি পুরাও মনোরথ
কেবল রাধার তরেই ‘বিরহ’!
7.
গভীর ও বিজন রাতে
শুধু তব ছবি ভাসে আঁখিপাতে!
কি করে নয়ন, মুদিবো আমি
তোমারে ছাড়িয়া এ আধারে, নিশিতে!
8.
কেনো আর আসা যাওয়া,
সব তো এখানেই, শুধু পাওয়া, না পাওয়া!
9.
তব শ্রীরূপ ঝড়ে আঁখিনীড়ে
এমন ও ফাগুন পূর্ণিমায়,
আমি হেরী ক্ষণে ক্ষণে, নব বৃন্দাবনে
অনন্ত মহিমাধারী, রূপ জোতির্ময়!
10.
জীবন পত্রে দিলাম প্রভূ তোমায় নিমন্ত্রণ,
মরণ দুয়ারে এসো আমায় করতে আলিঙ্গন!
লেখক – লাবিব মাহফুজ চিশতী